হে স্রষ্টা! তোমার আজব কৃতি অদ্ভূত কারিগরি,

চর্মচোখে যা দেখা যায় না দেখি অণুবিক্ষণ ধরি।

শত শত প্রাণী বিন্দুতে নড়ে তা সৃজিলে কেমনে?

পাকস্থলি শিরা-উপশিরা নাসিকা-কর্ণও রয়েছে সেখানে।

রয়েছে আরও কলিজা মগজ হৃদপিন্ড তার,

চলিতে দিয়াছ হস্ত-পদ আর যা কিছু দরকার।

তাহার দেহের যন্ত্রগুলি আবার না জানি কতটুকু,

চলা ফেরায় দেখা যায় সেও কত পটু!

ঐ যে দেখি পাখির ডিম বুকের নীচেতে তার,

খোলস ফাটার আগে প্রাণ কেমনে গেল তার?

চিউঁ চিউঁ করছে ছানা ভিতরে থাকিয়া,

হে সষ্ট্রা! তোমার আজব কৃতি না পারি উঠিতে বুঝিয়া।

চন্দ্র-সূর্য-নক্ষত্ররাজি করেছ বিশাল হ’তে আরও বিশাল,

ছাই মাটি হ’তে কত রং দেখাও গাছে গাছে হলুদ লাল।

প্রজাপতির ডানায় অাঁকো হরেক রকম সাজ,

তোমার দয়াতেই অগনিত সৃষ্টি বিশ্বে করছে বিরাজ।

মানবের জ্ঞানের বাইরে তাহা বুঝিতে এ সবই,

দাসত্ব স্বীকার করে এজন্য সকলে তোমারই।

বৃক্ষ হইতে যখন পত্র ঝরিয়া পড়ে,

ক্ষমতা নেই মানুষের তা লাগাইয়া দিতে পারে।

তোমার সৃষ্টিকৌশল দেখিয়া নির্বাক বনিয়া যাই,

দাসত্ব স্বীকার করিয়া শেষে তোমার কাছে মাথা নোয়াই।

আব্দুল কাদের আকন্দ

শান্তিনগর, মহলদারপাড়া

দেবীগঞ্জ, পঞ্চগড়।







আরও
আরও
.