পোপ ফ্রান্সিস সুইডেনে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কুরআন পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, প্রত্যেক ধর্মগ্রন্থ তার অনুসারীদের কাছে অত্যন্ত সম্মানের। কারো অন্যের ধর্মগ্রন্থকে অপমান করার অধিকার নেই। আমি কুরআন পুড়ানোর ঘটনায় রাগান্বিত এবং বিরক্ত বোধ করছি। তিনি বলেন, এমন কাজ নিন্দনীয়।
গত ২৮শে জুন’২৩ বুধবার ঈদুল আযহার দিন সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে পবিত্র কুরআনের একটি কপি পোড়ায় ইরাকী যুবক সালওয়ান মোমিকার। তাকে এই ন্যক্কারজনক কাজ করার অনুমতি দেয় একটি সুইডিশ আদালত। কুরআন অবমাননার জন্য ঐ ইসলামবিদ্বেষী ব্যক্তি পবিত্র ঈদুল আযহার দিনটিকে বেছে নেয়। এতে মুসলিম বিশ্ব তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তুরস্ক, জর্ডান, ফিলিস্তীন, বাংলাদেশ, সঊদী আরব, ইরাক, ইরান, পাকিস্তান, সেনেগাল, মরক্কো ও মৌরিতানিয়াসহ মুসলিম বিশ্ব ব্যাপক নিন্দার ঝড় তুলে। ঘটনার কয়েকদিন পর সুইডেন সরকারের টনক নড়ে এবং এক বিবৃতিতে তারা বলেন যে, ‘কুরআন বা অন্য কোন পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানো খুবই আপত্তিকর ও অসম্মানজনক কাজ এবং স্পষ্ট উসকানি। বর্ণবাদ, জেনোফোবিয়া এবং এই ধরনের অসহিষ্ণুতার কোন স্থান সুইডেন বা ইউরোপে নেই।’
এ ঘটনার নিন্দা জানান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। পশ্চিমা দেশগুলোকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, আমরা জানি, কিছু দেশ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসকে সম্মান করে না। তারা এও বলে, কুরআন অবমাননা কোন অপরাধ নয়। কিন্তু আমাদের দেশে এটি আইনী ও সাংবিধানিক উভয়ভাবেই অপরাধ।
অন্যদিকে খোদ সুইডিশদের মধ্যেই ঘটনাটি ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। দেশটির অধিকাংশ মানুষ জনসমক্ষে যেকোন ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানো নিষিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন।