এক গ্রাসেই দুইশ’ মানুষের খাবার খায় নীল তিমি!
পৃথিবীর বৃহত্তম স্তন্যপায়ী প্রাণী নীল তিমি সাগরের গভীর পানিতে যখন এঁকেবেঁকে সামনের দিকে চলতে থাকে তখন এক গ্রাসেই এত মাছ খেয়ে ফেলতে পারে, দুইশ’ মানুষের পক্ষেও সেই পরিমাণ মাছ খাওয়া সম্ভব নয়। এমনকি গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন থাকা অবস্থায়ও এরা খেতে পারে রাশি রাশি মাছ। প্রতি কামড়ে কতগুলো মাছ গ্রোগ্রাসে গিলতে পারে তার হিসাব কষে গবেষকরা দেখেছেন, এরা একসঙ্গে ৮ হাযার ৩০৬ ক্যালরি থেকে শুরু করে ৪ লাখ ৫৬ হাযার ৮৩৫ ক্যালরি পর্যন্ত খেতে পারে। এরা সর্বোচ্চ যে পরিমাণ খেতে পারে তা দিয়ে ২২৮ জনেরও বেশী মানুষকে প্রতিদিন ২ হাযার কিলো ক্যালরি খাবার খাওয়ানো যেতে পারে। গবেষকরা দেখেছেন, তিমিকে কেবল একবার এর শরীর নড়াচড়া করতেই নিঃশেষ করতে হয় ৭৭০ কিলো ক্যালরি। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এমন তথ্য দিয়েছেন।
বিমানবন্দরে বিষ্ফোরক শনাক্ত করণের যন্ত্র আবিষ্কার, কৃতিত্ব বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর
বিশ্বের বিভিন্ন এয়ারপোর্টসহ নিরাপত্তা এলাকাগুলোতে যখন দেহতল্লাশী নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক চলছে, তখন ড. আনিসুর রহমান আবিষ্কার করেছেন একটি বিস্ময়কর প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের শরীরে বিস্ফোরক জাতীয় কোন উপাদান থাকলে সেটা এমনিতেই ধরা পড়ে যাবে। এজন্য বর্তমানের এক্সরে মেশিনের প্রয়োজন হবে না। ড. আনিসুর রহমানের এ প্রযুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ এরই মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। এ বিষয়ে ড. আনিসুর রহমান বলেন, বর্তমান সময়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে সারা বিশ্বে বিলিয়ন্স অব ডলার খরচ করা হচ্ছে। মেটালিক কোন বিস্ফোরক হ’লে সেটা যেকোন জায়গাতেই ধরা পড়ে। কিন্তু এখন বিভিন্ন কেমিক্যাল পাউডারসহ রাসায়নিক বিস্ফোরকের ব্যবহার প্রতিদিনই বাড়ছে। এই মেশিন একটি টেবিলে বসানো সম্ভব। এর ফলে কেউ রাসায়নিক বিস্ফোরক নিয়ে নিরাপত্তা এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। মেশিনটির নাম দেয়া হয়েছে ‘স্পেকট্রোমিটার’। এর আরও অনেক প্রয়োগ আছে। তিনি বলেন, বেশী বা খুবই অল্প বিস্ফোরক হ’লেও এর চোখ এড়ানো সম্ভব হবে না। ড. আনিসুর রহমানের বাড়ি বাংলাদেশের পাবনায়। বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনে তিনি এক সময় সায়েন্টিফিক অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইউসকনসিনে অবস্থিত মার্কেট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভের পর পেনসিলভেনিয়ার এপ্লায়েড রিসার্চ ফটোনিক্স কোম্পানির সিইও হিসাবে যোগদান করেন তিনি।