বয়সের ভারে ন্যুব্জ আয়েশা বেগম। ৭০ বছর বয়সে এসে খুব তীব্রভাবে অনুভব করছেন শূন্যতা- আমি তো কুরআনের হাফেযা নই। এ শূন্যতা বারবার খোঁচা দেয় মনে। ফলে কুরআন মুখস্থের আগ্রহ প্রবল হয়ে ওঠে। শেষমেশ ঠিক করেন, যেভাবেই হোক কুরআন মুখস্থ করবেন তিনি। আল্লাহর ওপর ভরসা করে শুরু করেন কুরআন হিফয। কিন্তু কোনভাবেই যেন তা আয়ত্বে আসতে চায় না। থেমে যেতে চান তিনি। এ সময় তার স্বামী এগিয়ে আসেন। অনুপ্রেরণা নিয়ে পাশে দাঁড়ান। আবার তিনি এগিয়ে চলেন। সামনে চলার গতি অব্যাহত রাখেন। এভাবেই বয়স আর হতাশাকে জয় করে হিফয সম্পন্ন করেন তিনি। ইতিমধ্যে গত হয়ে যায় পাঁচ পাঁচটি বছর। জীবনের প্রারম্ভে হেফয করতে পারেননি আয়েশা বেগম। এ নিয়ে তার আক্ষেপের শেষ নেই। তিনি চান, পরের প্রজন্ম এ আফসোস না করুক। তারা জীবনের রঙিন প্রভাতেই কুরআন ধারণ করে নিক। সেজন্য তিনি নাতিদের ছোট থেকেই কুরআন শিক্ষা দিচ্ছেন। এভাবেই বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চান ৭০ বছর বয়সী আয়েশা।
[আমরা তাকে অভিনন্দন জানাই এবং সম্ভব হ’লে প্রত্যেক মুসলিম পরিবারের সন্তানেরা শুরু থেকেই কুরআনের হাফেয হৌক- এই কামনা করি (স.স.)]