খাওয়ার সময় আমরা সাধারণত কার্বোহাইড্রেট (শ্বেতসার) এবং প্রোটিন (আমিষ) এক সাথে খেয়ে থাকি। এতেই সমস্যা হয়। কারণ পাকস্থলীতে গিয়ে শ্বেতসার যত সহজে হজম হয়, আমিষ কিন্তু তত সহজে হজম হয় না। ফলে এসিডিটি বা বদহজম হয় অনেকেরই। এ সমস্যাটির সমাধানে পুষ্টিবিদরা খাওয়ার সময় প্রোটিনের পরিমাণ কম খেতে বলেন। বিশেষ করে গোশত, ডিম এবং মাছ অতিরিক্ত গ্রহণের কারণেই বদহজম ও এসিডিটি হয়ে থাকে। আমিষ হজম হ’তে বেশী সময় লাগে, আর শ্বেতসার সহজেই হজম হয়ে ভেঙ্গে যায়। অথচ পাকস্থলীতে শ্বেতসার এবং আমিষ একসঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় থাকে। এতে সামগ্রিক হজম প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হওয়ার কারণে পেটে গ্যাস তৈরী হয়। বাঙালী মাত্রই প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট এক সঙ্গে খাওয়ার অভ্যাস। তাই এই সমস্যা সমাধানে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। খেতে হবে আগে শ্বেতসার এবং পরে প্রোটিন। অথবা দু’টো একসঙ্গে খেলেও এ দু’টোর সাথে প্রচুর সবজি বা সালাদ খেতে হবে। খাওয়ার সময় পানি পানের প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে ঠান্ডা পানি তো নয়ই। এতে রক্তনালী সঙ্কোচন হয় এবং ফ্যাট আরো শক্ত হয়ে হজমে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এতে দেহের শক্তি হজমে নয় বরং দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেরই বেশী ব্যবহৃত হয়। খাবার চলাকালীন পানি পান না করাই উত্তম। তবে খাওয়ার মাঝামাঝি সময়ে অল্প পরিমাণে হাল্কা গরম পানি পানে খুব একটা সমস্যা হয় না। এতে বরং খাদ্য সহজে পরিপাক হয়। জাপানীদের খাবার গ্রহণের আগে গরম পানি বা স্যুপ খাওয়ার অভ্যাস আছে। পুষ্টিবিদরা বলেন, খাবার সহজে হজম এবং এসিডিটি প্রতিরোধ করার জন্য খাবারের আগে ও কিছুক্ষণ পরে পানি পান করতে হবে।

\ সংকলিত \







আরও
আরও
.