
বিগত বছরে বিশ্বে সৃষ্ট ৮২ ভাগ সম্পদের মালিক হয়েছেন ১ শতাংশ বিত্তশালী ব্যক্তি। এর বিপরীতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্ধেকই কিছুই পায়নি। বিশ্বের সম্পদ ব্যবস্থাপনার এমন বৈষম্য উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামের প্রতিবেদনে। এই হিসাবে, ২০১৭ সালে নতুন করে সৃষ্ট প্রতি ১০ ডলারের ৮ ডলারই গেছে ১ শতাংশ বিত্তশালীর পকেটে।
ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালের পর থেকে বিশ্বে শ্রমিকদের সম্পদ যে হারে বেড়েছে, তার ছয়গুণ হারে বেড়েছে ধনকুবেরদের সম্পদ। এর ফলে কিছুসংখ্যক বিত্তশালী ব্যক্তি আরও সম্পদের পাহাড় গড়ছেন। অপরদিকে কোটি কোটি মানুষ দারিদ্রের চাপে জীবনযাত্রায় হিমশিম খাচ্ছে।
অক্সফামের নির্বাহী পরিচালক উইনি বিয়ানইমার মতে, ধনকুবেরদের সম্পদের এই প্রবৃদ্ধি সার্বিক অর্থনীতির প্রমাণ করে না, বরং তা অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতার লক্ষণ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের ১০ জন ধনকুবেরের মধ্যে ৯ জনই পুরুষ। আর নারী শ্রমিকেরা এখনো পুরুষের তুলনায় কম মজুরী পেয়ে আসছেন।
এর আগে গত বছর এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা অক্সফাম বলেছিল, বিশ্বের অর্ধেক মানুষের সম্পদের পরিমাণ আর সবচেয়ে ধনী আট ব্যক্তির সম্পদের পরিমাণ একই। বিশ্বব্যাপী অসন্তোষের এটি একটি কারণ বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি।
[ন্যায়বিচারভিত্তিক ইসলামী অর্থনীতির অনুসরণই পুঁজিবাদী অর্থনীতি বাতিল করার একমাত্র সমাধান। অতএব সংশ্লিষ্টগণ তওবা করে ইসলামের পথে ফিরে আসুন (স.স.)]