রমনা, ঢাকা ১৭ই জুন শুক্রবার : অদ্য সকাল ১১-টায় রাজধানীর রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র বার্ষিক কর্মী সম্মেলনে প্রদত্ত ভাষণে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর আমীরে জামা‘আত ও ‘যুবসংঘে’র প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) কেবল ধর্মীয় ক্ষেত্রে নন, বরং রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি সর্বক্ষেত্রেই বিশ্ব মানবতার আদর্শ। তাঁর আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই রয়েছে সমাজের প্রকৃত কল্যাণ ও অগ্রগতি। তিনি যুবসমাজকে রাসূল (ছাঃ)-এর আদর্শে জীবন গড়ার আহবান জানান। তিনি ভারতে রাসূল (ছাঃ)-কে নিয়ে কটূক্তির বিরুদ্ধে এবং সেদেশে বিক্ষোভ প্রতিরোধের নামে উত্তর প্রদেশের মুসলমানদের বাড়ি-ঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্মম প্রতিশোধ নীতির বিরুদ্ধে চলতি সংসদে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণের আহবান জানান। তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে আহলেহাদীছদের মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় বাধাদান রোধ ও তাদের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানের জন্য প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহবান জানান। তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর নেতৃবৃন্দের সভা-সমিতিতে বাধা না দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এবং বেক্সিমকো শিল্প গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ. রহমান বলেন, আমাদেরকে রাসূল (ছাঃ)-এর আদর্শ মোতাবেক জীবনযাপন করতে হবে এবং তার আখলাক বা চরিত্রের আলোকে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। তিনি শিরক-বিদ‘আতের মত ধর্মীয় কুসংস্কার এবং মাদক ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান। বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের সাথে বগুড়া কারাগারে সাক্ষাতের নানা দিক সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে আমরা প্রায় দু’বছর পর এখানে একত্রিত হ’তে পেরেছি। এই ভাইরাস দুনিয়াবী সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর কোন রাষ্ট্রকেও ছাড় দেয়নি। এর দ্বারা আমরা বুঝতে পারছি আল্লাহ তা‘আলার ক্ষমতা কত বেশি!

তিনি আরো বলেন, ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গীরা ইসলামের অনেক ক্ষতি করেছে। ইসলাম জঙ্গীবাদকে কখনও সমর্থন করেনা। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’-এর আমীর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব তাঁর প্রায় সকল বক্তব্যে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন। তিনি কুরআন ও হাদীছ দ্বারা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, জঙ্গীবাদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা সম্মিলিতভাবে তাঁর সাথে কাজ করলে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গীবাদ নির্মুল করা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে দু’টি মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু আমি রাফঊল ইয়াদয়েন করে ও জোরে আমীন বলে ছালাত আদায় করি। লোকেরা আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি বলি যে, আমি কুরআন ও সুন্নাহ মেনে চলি। তাই আপনাদেরও উচিত পড়াশুনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

আমরা আজ নবী (ছাঃ)-এর আদর্শের অনুসরণ করিনা। তাঁর আদর্শের অনুসরণ করলে সমাজের অনেক সমস্যার সমাধান সহজেই হয়ে যেত। আমরা যদি আমাদের আখলাককে সুন্দর করি তাহ’লে জান্নাতুল ফেরদাঊসে স্থান পাব ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবকে চিনতাম না। বগুড়া কারাগারে তাঁর সাথে আমার পরিচয় হয়। ৬ দিন ৭ রাত আমি সেখানে থেকেছি। তিনি প্রতিদিন ফজরের ছালাতের পর দারস দিতেন। ইসলাম সর্ম্পকে আমার মনে অনেক প্রশ্ন ছিল। অন্য আলেমদেরকে জিজ্ঞেস করে আমি তার সঠিক সমাধান পাইনি। কিন্তু তাঁকে জিজ্ঞেস করে আমি সবগুলোর সঠিক সমাধান পেয়েছি। আমি তাঁর কাছে অনেক কিছু শিখেছি।

সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব বলেন, ‘যুবসংঘে’র প্রত্যেক কর্মীকে সর্বাগ্রে স্ব স্ব ক্ষেত্রে ‘আদর্শ’ হ’তে হবে। তিনি প্রত্যেককে স্ব স্ব দায়িত্ব পালনে একনিষ্ঠ থাকার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ পেশ করেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আবুল কালাম।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য রাখেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ও মাসিক আত-তাহরীক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন, যুব বিষয়ক সম্পাদক সম্পাদক আব্দুর রশীদ আখতার, দফতর সম্পাদক ও আত-তাহরীক অনলাইন টিভির পরিচালক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম ও অধ্যাপক জালালুদ্দীন, ঢাকার মাদারটেক মসজিদের খতীব মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল মাদানী, ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’-এর সাবেক চেয়ারম্যান জনাব আব্দুর রহমান, ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী নওদাপাড়ার ভাইস প্রিন্সিপ্যাল ড. নূরুল ইসলাম, আত-তাহরীক টিভির প্রোগ্রাম পরিচালক মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় পরিচালক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল হালীম, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ড. মুখতারুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক আহমাদুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইহসান ইলাহী যহীর, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুন নূর, ‘আল-‘আওন’-এর সভাপতি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির, রাজশাহী-সদর সাংগঠনিক যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি ফায়ছাল মাহমূদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আব্দুর রঊফ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মুছাদ্দিক ও বগুড়া যেলা সভাপতি মুহাম্মাদ আল-আমীন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াত করেন ‘যুবসংঘ’ ঢাকা কলেজের সভাপতি হাফেয নাজমুছ ছাকিব ও হাফেয আব্দুল আলীম এবং ইসলামী জাগরণী পরিবেশন করেন আল-হেরা শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য মীযানুর রহমান (জয়পুরহাট) ও রাকীবুল ইসলাম (মেহেরপুর)। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আবুল কালাম (জয়পুরহাট)।

সম্মেলনে গৃহীত প্রস্তাব সমূহ :

দেশের সরকার ও প্রশাসনের প্রতি সম্মেলনের পক্ষ থেকে নিম্নোক্ত প্রস্তাবনা সমূহ পেশ করা হয়। ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আযাদ প্রস্তাবনা পাঠ করেন ও উপস্থিত সকলে সমর্থন করেন।-

১. ৯০% মুসলিমের দেশ হিসাবে এদেশের আইন, শাসন ও বিচার ব্যবস্থাকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে ঢেলে সাজাতে হবে।

২. প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বিশুদ্ধ ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। শিক্ষার্থীদের শালীন পোষাক ও পর্দাপ্রথা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে নারীদের পর্দা পালনে বাধা সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। মাদ্রাসা ও স্কুল-কলেজের সিলেবাস থেকে ডারউইনের নাস্তিক্যবাদী বিবর্তনবাদ সহ সকল প্রকার ইসলাম বিরোধী মতবাদ প্রত্যাহার করতে হবে।

৩. জঙ্গীবাদ ও চরমপন্থাসহ ধর্মীয় অপব্যাখ্যা ও মুসলিম সমাজে অনুপ্রবিষ্ট শিরক-বিদ‘আত ও কুসংস্কার সমূহ দূর করার জন্য ধর্মমন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের নিয়ে একটি ‘ধর্মীয় উপদেষ্টা পরিষদ’ গঠন করতে হবে।

৪. কোটা নয়, মেধাভিত্তিক মূল্যায়নের মাধ্যমে সবাইকে সমানভাবে দেশ সেবার সুযোগ দিতে হবে। জাতীয় বাজেটে যুবকদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে যুবসমাজকে জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে এবং দক্ষ, নিরপেক্ষ ও সৎ জনপ্রশাসন নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে ছেলে ও মেয়েদের নৈতিক উন্নয়নের জন্য সহশিক্ষা প্রথা বাতিল করতে হবে এবং তাদের জন্য পৃথক শিক্ষা ও কর্মসংস্থান প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।

৫. সূদী ও মহাজনী দাদন প্রথা এবং অফিস-আদালত থেকে ঘুষ ও দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।

৬. যুবচরিত্র রক্ষার্থে বিনোদন ও সংস্কৃতির নামে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সমূহ থেকে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা বন্ধ করতে হবে। সেই সাথে যত্রতত্র মাদকের সয়লাব রোধে কঠোর ও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৭. জঙ্গীবাদের ভয়ংকর থাবা থেকে ধর্মপ্রাণ যুবসমাজকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সচেতনতামূলক পদক্ষেপ নিতে হবে এবং জঙ্গীবাদের উস্কানীদাতাদের চিহ্নিত করতে হবে। কিন্তু জঙ্গীবাদ প্রতিরোধের নামে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষকে কোনভাবেই হয়রানী করা যাবে না।

৮. এ সম্মেলন দেশের বিভিন্ন স্থানে আহলেহাদীছ মসজিদ ও মাদ্রাসাসমূহ প্রতিষ্ঠায় বাধাদান ও ভাঙচুর করা, সভা-সমিতিতে বাধাদান এবং আহলেহাদীছদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সেই সাথে নতুন আহলেহাদীছদের নিরাপত্তাদান এবং তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম অবাধে পরিচালনা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহবান জানাচ্ছে।

৯. এ সম্মেলন আহলে কুরআন, কাদিয়ানী, হিজবুত তাওহীদ, দেওয়ানবাগী প্রভৃতি ইসলামের নামে ভ্রান্ত ফের্কাসমূহের বিরুদ্ধে সরকারীভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছে। 

১০. ভারত, মিয়ানমার, চীন, সিরিয়া, ইয়ামন, কাশ্মীর, ফিলিস্তীনসহ বিশ্বব্যাপী মুসলিম নির্যাতন বন্ধে সরকারীভাবে জাতিসংঘ, ওআইসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে জোরালো উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

১১. অত্র সম্মেলন ভারতে রাসূল (ছাঃ)-কে নিয়ে কটূক্তির বিরুদ্ধে চলতি সংসদে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণের জোর দাবী জানাচ্ছে। সেই সাথে ভারতে বিক্ষোভ প্রতিরোধের নামে মুসলমানদের বাড়ি-ঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্মম প্রতিশোধ নীতির বিরুদ্ধে অত্র সম্মেলন তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।

১২. এই সম্মেলন যুবসমাজকে রাসূল (ছাঃ)-এর আদর্শে গড়ে তোলার জন্য সরকারের নিকট শিক্ষার সর্বস্তরে রাসূল (ছাঃ)-এর ‘সীরাত’ পাঠকে বাধ্যতামূলক করার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছে।

১৩. বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরৎ পাঠানোর ব্যাপারে জোরালো ভূমিকা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানাচ্ছে।

১৪. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সমূহের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে হবে এবং অসাধু ব্যবসায়ী ও মওজূদদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১৫. পদ্মাসেতুসহ দেশের সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধনের জন্য আমরা সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে এই সম্মেলন কৃষিবান্ধব বাজেট প্রণয়ন করে কৃষি অর্থনীতিকে প্রাধান্য দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছে।

সম্মেলনের অন্যান্য খবর

কর্মী উপস্থিতি : দেশের প্রায় সকল যেলা থেকে প্রায় তিন হাযার কর্মী ও সুধী উক্ত সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। মূল অডিটোরিয়ামসহ পৃথকভাবে বাহিরে প্রজেক্টরের ব্যবস্থা রাখা হয়। উল্লেখ্য, অডিটোরিয়াম কর্তৃপক্ষ মূল গেইট খুলে দিতে গড়িমসি করায় অনুষ্ঠান শুরু করতে দেরি হয় এবং সকাল ৯-টার অনুষ্ঠান ১১-টায় শুরু করতে হয়। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সারারাত জেগে ঢাকায় সম্মেলনে আসা কর্মী ও দায়িত্বশীলদের সকালে বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। এরপরও তারা কোন রকম বিশৃংখলা না করে পূর্ণ ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সম্মেলন সফল করেন।

স্টল সমূহ : সম্মেলনে সকাল ১১-টা থেকে মাগরিব পর্যন্ত মিলনায়তনের বাইরে মূল গেইটের বারান্দায় ‘আল-‘আওন’ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ব্লাড গ্রুপিং ও রক্তদাতা সদস্য সংগ্রহ ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়। ‘আল-‘আওনে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. আব্দুল মতীন-এর পরিচালনায় উক্ত ক্যাম্পিংয়ে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ জাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির, অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ নাবীল, প্রচার সম্পাদক দেলাওয়ার হোসাইন ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক ডা. মুহাম্মাদ জাহিদ প্রমুখ। এ সময় ঢাকা-দক্ষিণ, ঢাকা-উত্তর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও পাবনা যেলা থেকে আগত আল-‘আওন-এর যেলা দায়িত্বশীলগণও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করেন। উক্ত ক্যাম্পিংয়ে ২৩ জনের ব্লাড গ্রুপিং ও ১৫ জন রক্তদাতা সদস্য বা ‘ডোনার’ তালিকাভুক্ত হন।

এছাড়াও মূল গেইটের দু’পার্শ্বে ‘যুবসংঘ’ ও ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় উদ্যোগে সংগঠন পরিচিতি বিষয়ক স্টল স্থাপন করা হয় এবং সেখান থেকে সংগঠনের পরিচিতি, গঠনতন্ত্র, শ্লোগান সম্বলিত গেঞ্জি, চাবির রিং, স্লিপিং প্যাড ইত্যাদি প্রদর্শন ও বিক্রয় করা হয়।

[উল্লেখ্য যে, সম্মেলনের রিপোর্ট ১৯.০৬.২০২২ রবিবার দৈনিক ইনকিলাব ২য় পৃষ্ঠার ১ম কলামে ছবিসহ প্রকাশিত হয়]।






আরও
আরও
.