(৪) ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর
মেহেরপুর যেলার উপদেষ্টা আলহাজ্জ মুযযাম্মেল হক (৯১) গত ৮ই মে শুক্রবার রাত
১০-টায় নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন।
মৃত্যুকালে তিনি ২ পুত্র ও ৪ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। পরদিন
শনিবার সকাল ১০-টায় নওদা মটমুড়া আহলেহাদীছ ঈদগাহ ময়দানে তার জানাযার ছালাত
অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার ছালাতে ইমামতি করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ
সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম। জানাযা শেষে তাঁকে নওদা মটমুড়া
আহলেহাদীছ কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাযায় ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় শূরা
সদস্য মুহাম্মাদ তরীকুযযামান, যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি আলহাজ্জ
হাসানুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল মুমিনসহ ‘আন্দোলন’
‘যুবসংঘ’ ও ‘সোনামণি’র দায়িত্বশীল ও কর্মীবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য
ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। তিনি যেলা ‘আন্দোলন’-এর একজন স্থায়ী দাতা সদস্য
ছিলেন এবং বিপুল সম্পত্তির মালিক হওয়া সত্ত্বেও নিরহংকার ও সাধারণ জীবন
যাপন করতেন।
(৫) ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ সঊদী আরবের রিয়াদস্থ নতুন ছানাইয়া এলাকার ‘খ’ শাখার সাধারণ সম্পাদক জনাব শাহজাহান (৫২) গত ৯ই মে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন। মৃত্যুকালে তিনি ২ পুত্র ও ২ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। তিনি কুমিল্লা হোমনা থানার ফতেরবান্দি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। গত ২১শে মে বৃহস্পতিবার দুপুর ১-টায় রিয়াদস্থ মানছূরিয়া (মাগনারা) কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য যে, জনাব মুহাম্মাদ শাহজাহান দেশে থাকা অবস্থায় ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৪ সালে তিনি সঊদী আরবে যাওয়ার পর ২০০৮ সালে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলনে’র দাওয়াত পান এবং ২০১৩ সালে তিনি উক্ত দাওয়াত গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি ‘আন্দোলন’-এর রিয়াদস্থ নতুন ছানাইয়া এলাকার ‘গ’ শাখার দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ‘খ’ শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করেন। নিজ কর্মক্ষেত্রে তিনি ছিলেন একজন দক্ষ ও বিশ্বস্ত কর্মী। এছাড়া সংগঠনের দায়িত্বশীল ও কর্মী ছাড়াও সর্বস্তরের মানুষের সাথে সর্বদা সদাচরণ করায় অনেকেই তাকে ‘মধু ভাই’ বলে ডাকতেন। উল্লেখ্য যে, প্রথমে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলা হ’লেও পরবর্তীতে জানা যায় যে, তিনি করোনায় সেবাদানকারী এ্যাম্বুলেন্সেই হার্ট ফেইল করে মৃত্যুবরণ করেন।
(৬) ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ যশোর যেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ শাহীনুর রহমানের পিতা মুহাম্মাদ সমীরুদ্দীন (৭৩) গত ২৯শে এপ্রিল বুধবার ভোর ৪-টায় নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিলা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ পুত্র, নাতি-নাতিন ও বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। তিনি ‘আন্দোলন’-এর যশোর যেলাধীন কেশবপুর উপযেলার বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্ব পালন করেন। একই দিন সকাল সাড়ে ১০-টায় ‘হালীমপুর আহলেহাদীছ জামে মসজিদ’ চত্বরে তার জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম। অতঃপর পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। যেলা ‘আনেদালন’ ও ‘যুবসংঘে’র বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীল ও কর্মীবৃন্দ ছাড়াও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানাযায় অংশগ্রহণ করেন।
(৭) সাতক্ষীরা যেলার কলারোয়া থানার অন্তর্গত কাকডাঙ্গা মধ্যপাড়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদ শাখা ‘আন্দোলন’-এর সাবেক সভাপতি ও কাকডাঙ্গা ফাযিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (অব.) মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান (৭৩) গত ৩১শে মে রবিবার ভোর ৪-টায় পারকিনসন্স রোগে এক বছর শয্যাশায়ী থাকার পর তাঁর কনিষ্ঠপুত্র অধ্যাপক মাহমূদ হোসাইনের কলারোয়াস্থ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘উন। মৃত্যুকালে তিনি ২ পুত্র ও ৬ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। ঐদিন বাদ যোহর কাকডাঙ্গা ফুটবল ময়দানে তাঁর জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন তাঁর ৩য় কন্যার পুত্র আলীপুর আহলেহাদীছ জামে মসজিদের খত্বীব আব্দুল্লাহ আল-মা‘ছূম। জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। জানাযায় কলারোয়া উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মাদ আব্দুল গফূর, কাকডাঙ্গা এলাকার সভাপতি মাওলানা আনওয়ার এলাহী, কাকডাঙ্গা ফাযিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা মুহীউদ্দীন, বর্তমান অধ্যক্ষ মাওলানা রফীফুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষক মাওলানা মুনীরুল হুদাসহ উপযেলা ‘আন্দোলন’, ‘যুবসংঘ’ ও ‘সোনামণি’র দায়িত্বশীল ও কর্মীবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
[মাওলানা আব্দুর রহমান আশৈশব মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ছিলেন। তিনি তাঁর পিতা মৌঃ আব্দুল ওয়াহেদ ও বড় দুইভাই সহ তাদের জন্মস্থান ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার শেখর গ্রাম থেকে হিজরত করে সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গায় আসেন ও আমীরে জামা‘আতের পিতা মাওলানা আহমাদ আলীর (১৮৮৩-১৯৭৬ খৃ.) তত্ত্বাবধানে জীবন অতিবাহিত করেন। তারা তিন ভাই আব্দুল বারী (মৃ. আড়ুয়াবর্ণি, বাগেরহাট ১৯৯৫), ছিদ্দীকুর রহমান (মৃ. শেখর ২০০৪) ও আব্দুর রহমান মাওলানা আহমাদ আলীর ছাত্র হওয়ায় আমীরে জামা‘আতের ছোট বেলার সাথী ছিলেন এবং আমৃত্যু তাঁরা সবাই আমীরে জামা‘আতের নিখাদ শুভাকাংখী ছিলেন। আমীরে জামা‘আত ১৯৯৫ সালে তাদের জন্মস্থান ফরিদপুরের শেখর গ্রামে একটি জামে মসজিদ নির্মাণ করে দেন। তাদের বড় ভাই মাওলানা আব্দুল বারীর পুত্র মাওলানা নূরুল ইসলাম বহুদিন যাবৎ করাচী প্রবাসী। তিনি সেখানে নাগরিকত্ব নিয়েছেন ও একটি সরকারী স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ২০১৮ সালে হজ্জের সময় তিনি আমীরে জামা‘আতের সঙ্গে মক্কায় সাক্ষাৎ করেন। -সম্পাদক]।
(৮) ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ ঢাকা যেলার সাবেক সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক হাফেয ফযলুর রহমান (৪২) গত ১০ই মে রবিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মগবাজারস্থ রাশমনো হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুর ১-টা ৪৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘উন। তিনি ১ বছর ৪ মাস যাবৎ কিডনী রোগে নিজ বাসাতেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। ঐ দিন রাত সাড়ে ১০-টায় বংশাল পেয়ালা ওয়ালা মসজিদে তার জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন ড. মুহাম্মাদ মুছলেহুদ্দীন। অতঃপর বংশাল পঞ্চায়েত কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তিনি ঢাকার বংশাল থানাধীন ৩৯/১ কেপি ঘোষ স্ট্রীটের স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন। উল্লেখ্য, তিনি প্রায় ১৭ বছর যাবত সঊদী আরবের মদীনায় আতরের ব্যবসা করেন।
[আমরা সকলের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁদের শোকাহত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।-সম্পাদক]