সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হ’লেও স্বীকৃতি পায়নি পাকিস্তান

-গীলানী

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গীলানী বলেছেন, তার দেশ সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হলেও আন্তর্জাতিক সমাজের কাছ থেকে এ বিষয়ে স্বীকৃতি পায়নি। তিনি আরো বলেছেন, পাকিস্তান এখনো সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে এবং এজন্য বিপুল অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এ পর্যন্ত পাকিস্তানের ৩০ হাযার বেসামরিক লোক এবং সামরিক বাহিনীর পাঁচ হাযার সদস্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো বহু মানুষ। দেশের অর্থনীতিও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে তিনি জানান। ইউসুফ রাজা গীলানী বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান ফ্রন্ট লাইনে অবস্থান করছে। পঁয়ত্রিশ লক্ষ আফগান শরণার্থীকে পাকিস্তানে আশ্রয় দেয়ার কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন।

[মুখে ইসলামী রাষ্ট্র বলে বাস্তবে ইসলামের বিরোধিতা করে সারা জীবন আমেরিকার তাবেদারী করার পরিণাম এটাই হওয়া স্বাভাবিক। একজন মূর্খও একথা জানে যে, আমেরিকা যার বন্ধু, তার অন্য কোন শত্রুর প্রয়োজন হয় না। অথচ গীলানীরা কখনোই তা মানেনি। অতএব এখন সমানে মার খাওয়াটাই তোমাদের মত নেতাদের প্রাপ্য (স.স.)]

কাশ্মীরে বিশেষ সেনা আইন বাতিল করা উচিত

-জাতিসংঘ

ভারতীয় কাশ্মীর ও দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিদ্যমান সামরিক বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (এএফএসপিএ) বাতিল করা উচিত বলে মত প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। আইনটিকে আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী বলেও মত প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতে ১২ দিনের এক সফর শেষে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক ক্রিস্টোফার হেইন্স গত ৩০ মার্চ নয়াদিল্লীতে এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, সামরিক বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাড়াবাড়ি রকম ব্যবহারের প্রতীক। এটি সুস্পষ্টভাবে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এই বিশেষ ক্ষমতা আইনের বলে ভারতীয় সেনাবাহিনী ভারত শাসিত কাশ্মীর ও দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মুক্তিকামী ও বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করা, তল্লাশি চালানোর অপ্রতিহত ক্ষমতা, বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার বা গুলী করতে পারে।

[জাতিসংঘের গৃহীত প্রস্তাবেই তো কাশ্মীরীদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার বিষয়ে সেখানে গণভোটের কথা ছিল। কিন্তু মুখে গণতন্ত্রী ভারত কখনোই সে প্রস্তাব মানেনি। বরং সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অঞ্চল কাশ্মীরকে অঘোষিত সেনা শাসনের বুটের তলায় পিষ্ট করে রেখেছে বিগত ৬৪ বছর। জাতিসংঘ কি পারবে ভারতকে রুখতে? (স.স.)

এনমেক কোম্পানীর অভিনব কুরআন মোবাইল

দুবাইয়ের এনমেক (ENMAC) কোম্পানী MQ 3500 মডেলের এক অভিনব কুরআন মোবাইল উদ্ভাবন করেছে। এতে আব্দুর রহমান আস-সুদাইস, মিনশাভী, আব্দুর রহমান আল-হুযায়ফী সহ বিশ্ববরেণ্য সাত ক্বারীর কণ্ঠে পুরা কুরআন মাজীদ রেকর্ড করা আছে। উর্দূ, ইংরেজী, হিন্দী, বাংলা, মালয়ালাম, তামিল প্রভৃতি ২৯টি ভাষায় কুরআনের অনুবাদ ও তাফসীর রয়েছে এতে। তাছাড়া এতে হজ্জ গাইড, যাকাত পরিমাপক যন্ত্র, কিবলা নির্দেশিকা ও আযান রয়েছে। মোবাইলটির মূল্য ৯৫ মার্কিন ডলার।

[মুহাদ্দিছ, জানুয়ারী ২০১২, পৃঃ ৪৩]






আরও
আরও
.