ইউরোপ ও ইতালির বরেণ্য ইসলামী ব্যক্তিত্ব শায়েখ আব্দুর রহমান রসারিও পাসকুইনি ৮৬ বছর বয়সে গত ২৪ শে মার্চ মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেঊন।

৩৯ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করে শায়েখ আব্দুর রহমান আইনজীবীর পেশা ছেড়ে ইসলাম প্রচার ও মুসলিমদের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন। গত শতাব্দীতে ইতালির মিলান শহরে অবস্থিত মসজিদে আব্দুর রহমান নির্মাণে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। মিলানের এই মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারই ছিল ইতালির প্রথম মসজিদ। ইসলামের সারকথা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে ইতালীয় ভাষায় পবিত্র কুরআন অনুবাদসহ অসংখ্য গ্রন্থ রচনা করেন তিনি।

১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহণকারী ক্রোয়েশিয়ার নাগরিক আব্দুর রহমান রসারিও ইতালীর মিলান শহরে আইনজীবী হিসাবে এক যুগ দায়িত্ব পালন করার পর ১৯৭০ সালে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব নিয়ে গভীরভাবে অধ্যয়ন শুরু করেন। অতঃপর ১৯৭৩ সালে তিনি ইসলাম গ্রহণের কথা ঘোষণা দেন। ১৯৭৭ সালে ইসলামের বার্তা ছড়িয়ে দিতে ইতালীয় ভাষায় ‘দ্য ম্যাসেজ অব ইসলাম’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। পরবর্তী সময়ে মিলান ও লোম্বারডি শহরে ইসলামিক সেন্টার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।

আইনের শিক্ষার্থী ও আইনজীবী হওয়ায় শায়খ আব্দুর রহমান ইসলাম প্রচার, গ্রন্থ রচনা, মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার প্রতিষ্ঠাসহ সব কর্মকান্ড দেশীয় আইন অনুসরণ করেই পালন করতেন। ইসলামের সামাজিক দিকগুলো দেশের সরকার, বিচার বিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাছে স্পষ্ট করে তুলে ধরতেন।

১৯৮৯ সালে ইতালিতে ইসলামী ওয়াকফ বোর্ড এবং পরের বছর ফেডারেশন অব ইসলামিক অর্গানাইজেশন প্রতিষ্ঠা করেন। পাশাপাশি ইসলামী গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ‘দারুল কলম’ নামে একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। যেখান থেকে এ পর্যন্ত তিন শতাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

ফেডারেশন অব ইসলামিক অর্গানাইজেশনসের প্রধান ইয়াসীন লিফারাম বলেন, ‘মিলান শহরে তিনি আমাদের মতো তরুণদের জন্য আশা-ভরসার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন। সবাই তাঁর কাছে মিলিত হতাম। আক্বীদা ও ফিক্বহসহ ইসলামের নানা বিষয়ে তিনি গভীর পান্ডিত্যের অধিকারী হওয়ায় বিভিন্ন সেমিনারে আমরা উপস্থিত হতাম।

তিনি আরো বলেন, ‘এ মহান ব্যক্তি অত্যন্ত আল্লাহভীরু ছিলেন। তাঁর মজলিসগুলো ছিল ঈমান ও আধ্যাত্মিকতায় ভরপুর। কেউ তার সঙ্গে বসলে সে নিজের ঈমান অনুভব করবে। হস্যোজ্জ্বল ব্যক্তি ছিলেন তিনি। তরুণ-যুবকদের অত্যন্ত আকর্ষণীয় ভাষায় যেকোন প্রশ্নের সুন্দর জবাব দিতেন’।

উল্লেখ্য, ইউরোপের অন্যতম উন্নত দেশ ইতালিতে গত ৫০ বছরে মুসলমানের সংখ্যা দু’হাযার থেকে বেড়ে ২০ লাখে পৌঁছেছে। দেশটির সমাজবিজ্ঞানী ম্যাসিমো ইনট্রোভিন বলেন, মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি আশ্চর্যজনক। কেননা ১৯৭০ সালে দেশটিতে মাত্র দুই থেকে তিন হাযার মুসলমান বসবাস করত। সেখানে ৫০ বছর পরে ২০১৫ সালে দেশটিতে মুসলমানের সংখ্যা ২০ লাখে এসে পৌঁছেছে।






সচিব ১৩, অতিরিক্ত সচিব ৩৮৬, যুগ্ম সচিব ১০৫, উপসচিব ২৭০, ডিসি ৯ এবং ইউএনও ১৭২ জন (প্রশাসনের সর্বত্র নারীর দাপট)
স্বদেশ-বিদেশ - .
২০১৫ সালে ২৩ হাযার বোমা ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের মধ্যেই বাংলাদেশ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য আসামের মুখ্যমন্ত্রীর
বাকৃবি গবেষকের গবেষণালব্ধ ফলাফল (স্বল্প সময় ও স্থানে পুষ্টিকর শাক-সবজি)
করোনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় জার্মানীর মন্ত্রীর আত্মহত্যা
দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় রান্নাঘর এখন ঢাকায়
দলিত নারী পানি পান করায় গরুর পেশাব দিয়ে পবিত্রকরণ!
কুতুবদিয়ার পশ্চিমে সাগরে জেগে উঠেছে সম্ভাবনার নতুন দ্বীপ
ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর সমালোচিত দু’টি বই প্রত্যাহার
গোপালগঞ্জ কারাগারের মাদকাসক্তরা ফিরছে সুস্থ জীবনে
দেশের ৮০ শতাংশ তরুণ ভোটারের অপসন্দ রাজনীতি
আরও
আরও
.