রাশিয়ার
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পাশ্চাত্যের আগ্রাসী ও
স্বেচ্ছাচারী কর্মকান্ডকে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার
প্রধান কারণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। সম্প্রতি ব্রিক্স জোটের সদস্য দেশগুলোর
নিরাপত্তা পরিষদের সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। এ বৈঠকে রাশিয়া,
ব্রাজিল, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও চীনের নিরাপত্তা বিষয়ক পরিষদের সচিবরা
উপস্থিত ছিলেন। পুতিন বলেন, জাতিসঙ্ঘের অনুমোদন ছাড়া মার্কিন নেতৃত্বে
পাশ্চাত্যের সামরিক হস্তক্ষেপের আগে এ ধরনের জিহাদী গোষ্ঠীর অস্তিত্ব এ
অঞ্চলে ছিল না। প্রেসিডেন্ট পুতিন আরো বলেছেন, যেভাবে মধ্যপ্রাচ্য ও এর
আশেপাশের দেশগুলোতে জিহাদী গোষ্ঠীগুলোকে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে, তার পরিণতি
কখনোই ভালো হবে না।
আইএস’র মতো যোদ্ধাদের বিস্তারে পাশ্চাত্যের বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট সমালোচনা করে প্রায় এক মাস আগেও একটি প্রামাণ্য ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্রের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক থাকার অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন। গত ২৬শে এপ্রিল প্রকাশিত ঐ ভিডিও চিত্রে বলেছেন, আমেরিকা এ অঞ্চলে তার অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাছিলের জন্য এসব গোষ্ঠীকে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন এ ব্যাপারে যথেষ্ট দলীল-প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে।
[আসল তথ্য এভাবেই ফাঁস হয়ে যায়। আইএস-এর উত্থান ও হঠাৎ আঞ্চলিক পরাশক্তি হয়ে ওঠা এবং সেই সাথে ইসলামী খেলাফত ঘোষণা- সবকিছুই ইহূদী-খৃষ্টান চক্রান্তেরই অংশ। এর ফলে মারছে মুসলমান ও মরছে মুসলমান। আল্লাহ বলেন, ইহূদী-নাছারারা কখনোই তোমাদের বন্ধু নয় (বাক্বারাহ ১২০)। এরপরেও কথিত জিহাদীদের হুঁশ ফিরবে কি? (স.স.)]