দেশের
বিপর্যস্ত চিংড়িশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে শেষমেষ ভেনামি চাষ করার অনুমতি দেয়া
হয়েছে। খুলনার পাইকগাছায় প্রথম পরীক্ষা মূলক ভেনামি চাষও করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রানুযায়ী, দেশীয় বাগদা ও গলদা চিংড়ির উৎপাদন দিন দিন কমে
যাচ্ছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাযারে বাংলাদেশ চিংড়ি রফতানিতে সুবিধা করতে পারছে
না। ভেনামি চাষকারী চীন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ভারত ও থাইল্যান্ড
প্রভৃতি দেশের দখলে চলে যাচ্ছে চিংড়ির আন্তর্জাতিক বাযার। এ প্রেক্ষাপটে এ
বছর মার্চ মাসে থাইল্যান্ড থেকে বিমানে করে আট লাখ ভেনামি চিংড়ির পোনা এনে
খুলনার পাইকগাছা লোনা পানি কেন্দ্রের চারটি পুকুরে ছাড়া হয়। অতঃপর গত ৬ই
জুন চিংড়ির ফিজিক্যাল গ্রোথ পরিমাপে নমুনা পরীক্ষা করে একটি বিষেশজ্ঞ টিম।
পরিদর্শনকালে তারা জানান, ভেনামির পোনা ছাড়ার পরের ৬৮ দিনে গ্রোথ ও
ফার্টিলিটি রেট খুবই আশাব্যঞ্জক।
ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবীর বলেন, আমাদের বাগদা চিংড়ির উৎপাদন পাওয়া যায় প্রতি হেক্টরে ৩৫০ থেকে ৪০০ কেজি। পক্ষান্তরে সেই একই পরিমাণ জমিতে ভেনামির উৎপাদন সাত থেকে আট হাযার কেজি হওয়া সম্ভব। গলদা ও বাগদা বছরে একবার চাষ হয়। কিন্তু ভেনামি চাষ করা যায় বছরে তিনবার।
ফাও এবং গ্লোবাল অ্যাকুয়াকালচার অ্যালায়েন্সের পরিসংখ্যান মতে, ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাপী মোট ৪৪ লাখ ৮০ হাযার মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে ভেনামি ছিল প্রায় ৩৪ লাখ ৫০ হাযার মেট্রিক টন, যা মোট উৎপাদনের ৭৭ শতাংশ। আশা করা হচ্ছে, ভেনামি চাষ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ই বাড়াবে না, কর্ম সংস্থানের ক্ষেত্রও বাড়াবে এবং ধুঁকতে থাকা চিংড়িশিল্প আবার প্রাণ ফিরে পাবে।