দেশের
কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা আপাতত নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে না সরকার। তবে মাদ্রাসার
উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে নযরদারী অব্যাহত থাকবে।
এর আগে সিদ্ধান্ত ছিল কওমী মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম উন্নয়নে শিক্ষা আইনে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা থাকবে। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মমুখী শিক্ষাও সংযুক্ত করা হবে। পরিমার্জন আনা হবে চূড়ান্ত খসড়ায়। কিন্তু সম্প্রতি চূড়ান্ত হওয়া শিক্ষা আইনের খসড়ায় নিয়ম-কানূন আগের মতই রাখা হয়েছে। বাড়তি কোনও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়নি। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মুহাম্মাদ আবুবকর ছিদ্দীক বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। নতুন করে কিছু সংযুক্ত করা হয়নি’।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারের নিয়ন্ত্রণে রেখে উন্নয়নের কথা ভাবা হ’লেও মাদ্রাসা পরিচালনাকারীরা তা চান না। এ কারণে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কওমী মাদ্রাসাগুলোকে একটি কাঠামোয় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিলেও তা আর হয়নি।
গত বছর ১৬ই ফেব্রুয়ারী শিক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত সংক্রান্ত বৈঠকে কওমী মাদ্রাসা সরকারের নিয়ন্ত্রণে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ঐ বৈঠকে অংশ নেওয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছিলেন, সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না।
গত বছর ২১শে জুন দেশের সব মাদ্রাসা নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য একটি কমিটি গঠন করে সরকার। এরপর কওমী মাদ্রসাসহ সব ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডাটাবেজ তৈরীর কাজ শুরু হয়। কওমী, নূরানী, ফোরকানিয়া ও ইবতেদায়ীসহ সকল ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ডাটাবেজ প্রস্ত্তত করা হয়। ডাটাবেজ অনুযায়ী দেশে বর্তমানে কওমী মাদ্রাসা আছে ১৯ হাযার ১৯৯টি। শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। ২০১৫ সালে এ মাদ্রাসার সংখ্যা ছিল ১৩ হাযার ৯০২টি। গত পাঁচ বছরে মাদ্রাসার সংখ্যা বাড়ার পাশপাশি শিক্ষার্থীও বেড়েছে বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।