অসীম বিশ্বকে অদম্য কৌতুহল নিয়ে,

দেখতে হয় না আজ ঘুরে ঘুরে।

যান্ত্রিক সভ্যতা ছোট করেছে ধরাকে,

রেখেছে আপন হাতের মুঠোয় পুরে।

আগুনের আবিষ্কার গুহামানবকে করেছিল বিস্মিত,

পাথরের অস্ত্র বন্য পশুকে করল পরাজিত।

লজ্জা নিবারণ করতে তৈরী করল বসন,

রৌদ্রতাপ, ঝড়বৃষ্টি থেকে বাঁচতে গড়ল সুরম্য আবাসন।

সুইচ টিপতে মাথার উপর ঘুরছে ফ্যান,

বিজ্ঞানের অগ্রগতি সাধন করেছে মানবকল্যাণ।

ফ্রিজ, টিভি, ভিসিপি, ভিসিডিসহ অসংখ্য সামগ্রী,

সহজলভ্য মানুষের কাছে মোবাইলের মত প্রযুক্তি।

চিকিৎসা, বিনোদন, শিক্ষা, কৃষিসহ নানা সৃষ্টি,

বিজ্ঞান জীবনকে দিয়েছে দ্রুত গতি।

টেলিগ্রাম-টেলিফোন ঘুচিয়ে দিল দূরত্বের ব্যবধান,

আলো জ্বলল পাখা ঘুরল বিদ্যুৎ শক্তিতে চলল যান।

পৃথিবীর আনাচে-কানাচে ঘটে যাওয়া ঘটনা,

মুহূর্তেই টেলিভিশনে যাচ্ছে দেখা ও শোনা।

যাতায়াতকে সহজসাধ্য করল বিমান,

সাগর পাড়ি দিতে তৈরী হ’ল কত নৌযান।

দুর্গম অরণ্যের অন্ধকারে অতলস্পর্শ সাগরগর্ভে,

জলে-স্থলে দুরারোহ পর্বতশৃঙ্গে।

নভোস্থলে, তুহিনাচ্ছন্ন মেরুলোকে,

মরুভূমির দগ্ধ বক্ষে-

কত অজানা রহস্যের বার্তা

অবদান-সভ্যতার বিস্ময়কর অগ্রযাত্রা।

এত কিছু সৃষ্টি করে করছ বাহাদুরি,

এক মুহূর্ত ভাবছ না তুমি কার সৃষ্টি?






আরও
আরও
.