মহাপুরুষ আমি দেখিয়াছি ভাই আমার এই জীবনে,
ঔরসে যার আসলো কবি মানব সম্মেলনে।
বেলালই যদি শ্রেষ্ঠ নকীব আমার বেলাল তিনি,
জন্মের পরে কণ্ঠে যাহার প্রথম আযান শুনি।
মানুষ হইয়া জন্ম নিয়েছি, মানুষেরে তাই চিনি,
শ্রদ্ধা জানাই তাঁহাকে আমার নাম রেখেছেন যিনি।
আমাকে রাখিয়া সুখের মাঝে রহিল দুঃখ-দহে,
আমার দেহের শিরায় শিরায় যাহার রক্ত বহে,
নিজের নামটা শিখার আগে যাহাকে ডাকতে শিখি,
তাহাকেই মহাপুরুষ বলিয়া দেখিয়াছে মম আঁখি।
সুযোগ পেলেই জুতাজোড়া তার পরতাম দুই পায়,
বড় বড় জুতা, ছোট ছোট পা, বের হয়ে যেত তাই।
জামাটাও তাঁর গায়ে চড়িয়ে দাঁড়াতাম আয়নায়,
নিজেরে দেখিয়া তাহার ছবি ভাসিত কল্পনায়।
‘আমিও দেখিতে তাঁহারি মতন’ এমন ভাবতে গিয়ে,
বুক ফুলে যেত, হাঁটার মাঝে ঢং যেত পাল্টিয়ে।
প্রতি ধাপে যিনি ত্যাগ করে যান, নেই কোন হা-হুতাশ,
সন্তান হয়ে দেখিনি কখনো দেয়ালের ঐপাশ।
এখন বুঝেছি, কোত্থেকে আসতো বিদ্যালয়ের বই,
যত প্রয়োজন কিভাবে পূরণ হয়ে যেত শীঘ্রই!
মাসের শুরুতে বাবার পকেটে কিভাবে আসত টাকা,
কোন অনুভূতিগুলো প্রকাশ পেত, কোনটা থাকত ঢাকা।
আজকে বুঝি সত্যই তিনি মহান উচ্চ অতি,
আমার তরেই নিবেদিত তিনি আমার মাতৃপতি।
দুনিয়ার সব পুরুষের কাছে নিচ্ছি চেয়ে ক্ষমা,
বিবেক আমায় দিতেই দিল না আপনাদের উপমা।
ঔরসে যার জন্ম আমার যিনি আমার পিতা,
সব পুরুষের শ্রেষ্ঠ পুরুষ আমার জন্মদাতা।
সারওয়ার মিছবাহ
শিক্ষক, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী নওদাপাড়া, রাজশাহী।