মর্মান্তিক!

‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ রংপুর যেলার সহ-সভাপতি মতীউর  রহমানের  ছোট  ভগ্নিপতি মুহাম্মাদ  ছালাহুদ্দীন (৩৩),  দুই বোন, ছোট বোনের ছেলে ও মেয়েসহ মোট ৪টি পরিবারের ১৩ জন এবং হানিফ পরিবহনের ৪ জন মোট ১৭ জন গত ২৬শে মার্চ শুক্রবার দুপুর ২-টায় রাজশাহী যেলার কাটাখালী থানার সামনে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্ল­­া-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন। এদের মধ্যে মুহাম্মাদ ছালাহুদ্দীন ‘যুবসংঘ’ পীরগঞ্জ উপযেলার সাবেক অর্থ সম্পাদক ছিলেন।

উল্লেখ্য, তারা একটি মাইক্রোবাস যোগে মোট ১৩ জন রংপুর থেকে চাঁপাই নবাবগঞ্জ যেলার সোনামসজিদ ও নওদাপাড়া মারকায সফরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে দুপুর দু’টার দিকে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের দু’টি গ্যাস সিলিন্ডার বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে ড্রাইভারসহ ১৪ জনের ১৩ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। বাকী ১ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক্সিডেন্টে মৃত বাপ-মার বেঁচে যাওয়া যুবক সন্তান (১৮) বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল থেকে রিলিজ নিয়ে রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছে। অদ্য ১৭ই এপ্রিল রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার স্বাভাবিক জ্ঞান ফিরেনি। ছোট একটি বোন ব্যতীত তাদের সংসারে আর কেউ বেঁচে নেই।

পরদিন ২৭শে মার্চ শনিবার দিবাগত রাত ১১-টায় রংপুর যেলার পীরগঞ্জ উপযেলা ময়দানে একত্রিতভাবে তাদের ১ম জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল করীম সহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীল এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অতঃপর রাত ১২-টায় পীরগঞ্জ উপযেলার বড় রাজারামপুর গ্রামে মতীউর রহমানদের নিজ বাসভবনের সামনের ময়দানে তাদের পরিবারের নিহত ৫ জনের দ্বিতীয় জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে ইমামতি করেন মৃত দু’বোনের ভাই ও যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সহ-সভাপতি মতীউর রহমান। জানাযায় ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ও মাসিক আত-তাহরীক-এর সহকারী সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুন নূর, তথ্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামূন, ‘আল-আওনে’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ জাহিদ, যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ মুছতফা, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ লাল মিয়া সহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিপুল সংখ্যক মুছল্লী উপস্থিত ছিলেন। জানাযা শেষে তাদেরকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

[আমরা এতগুলি মুসলমানের এই আকস্মিক মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি এবং তাদেরকে শহীদের মর্যাদা দেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি। -সম্পাদক]






আরও
আরও
.