১. ঢাকার
মোহাম্মাদপুরস্থ আল-আমীন জামে মসজিদের মুতাওয়াল্লী বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা
সংসদের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব মুহাম্মাদ নযরুল ইসলাম (৭২) গত ২৯শে জুলাই
বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০-টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ধানমন্ডির আনোয়ার খান
মডার্ণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন।
তিনি স্ত্রী, ১ পুত্র ও ২ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। পরদিন বাদ
ফজর আল-আমীন জামে মসজিদে তার জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ইমামতি
করেন আল-আমীন জামে মসজিদের অন্যতম খতীব ডঃ মুহাম্মাদ মুছলেহুদ্দীন। জানাযা
শেষে তাকে মিরপুরের রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, আল-আমীন জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা ছিল দ্বীনের জন্য তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ খেদমত। পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের দাওয়াত প্রসারে তাঁর নিষ্ঠা ও একাগ্রতা ছিল স্মরণযোগ্য। আহলেহাদীছ আলেমদের পদচারণার মাধ্যমে আল-আমীন মসজিদকে তিনি এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, যা হকের আওয়াজকে সর্বমহলে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব তাঁর মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বলেন, যে কোন মূল্যে হককে অাঁকড়ে ধরে থাকার মানসিকতা ছিল তাঁর স্বভাবজাত। তিনি ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর হিতাকাঙ্ক্ষী ছিলেন এবং সর্বদা আমাদের মধ্য থেকে খতীব নির্বাচন করতেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমাদের প্রতি ভালবাসা পোষণ করতেন।
২. ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ লালমণিরহাট যেলার উপদেষ্টা ও আদিতমারী থানাধীন চেীরাহা ইশা‘আতে ইসলাম মাদ্রাসার সভাপতি মুহাম্মাদ হোসাইন মিয়া (৭০) গত ৫ই আগস্ট বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭-টায় কিডনী জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়ীতে মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ পুত্র ও ২ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। পরদিন সকাল ১০-টায় আদিতমারী থানাধীন চৌরাহা ইশা‘আতুল কিতাব ওয়াস সুন্নাহ মাদ্রাসা ময়দানে তার ১ম জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন তার তৃতীয় পুত্র এ. কে. এম মামূনুর রশীদ। অতঃপর তার দ্বিতীয় জানাযার ছালাত সকাল সাড়ে ১১-টায় ডাইমের চওড়া ইদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় জানাযায় ইমামতি করেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর প্রশিক্ষণ সম্পাদক ও তার বড় জামাতা কাযী মুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াহেদ। জানাযা শেষে তাকে তার নিজ গ্রাম বারঘরিয়ার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা। জানাযায় যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা শহীদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আশরাফুল আলম, অর্থ সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মিয়াঁ, যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানসহ যেলা ‘আন্দোলন’, ‘যুবসংঘ’ ও ‘সোনামণি’র দায়িত্বশীল ও কর্মীবৃন্দ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
৩. ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ দিনাজপুর-পূর্ব সাংগঠনিক যেলার প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল ওয়ারেছ-এর বড় বোন এবং রংপুর যেলার পীরগঞ্জ থানাধীন চকবরখোদা অনন্তরাম দারুস সালাম মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালিকা মুসাম্মাৎ রাবেয়া বেগম (৬৩) প্রচন্ড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থেকে গত ১লা সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বাদ ফজর নিজ বাড়ীতে মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী ও ২ পুত্রসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। ঐদিন বাদ যোহর চকবরখোদা ঈদগাহ ময়দানে তার ১ম জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন তার জ্যেষ্ঠ পুত্র ও ছোট মির্যাপুর আহলেহাদীছ জামে মসজিদের খত্বীব মাওলানা মুহাম্মাদ গোলাম রববানী। অতঃপর তার দ্বিতীয় জানাযার ছালাত বিকাল সাড়ে ৩-টায় নিজ গ্রাম কাশিয়াড়াস্থ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ইমামতি করেন মাওলানা মুহাম্মাদ আনারুল ইসলাম। অতঃপর তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা। জানাযায় দিনাজপুর-পূর্ব সাংগঠনিক যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আনওয়ারুল হক, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল ওয়ারেছসহ এলাকা ‘আন্দোলন’, ‘যুবসংঘ’, ‘সোনামণি’র দায়িত্বশীল ও কর্মীবৃন্দ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
৪. ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ কুমিল্লা যেলার উপদেষ্টা ও কোরপাই কাকিয়ারচর ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার সিনিয়র মৌলভী শিক্ষক মাওলানা শরাফত আলী (৬৫) গত ২রা সেপ্টেম্বর বুধবার রাত পৌনে ১১-টায় কিডনী জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ পুত্র ও ৬ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। পরদিন সকাল সাড়ে ১১-টায় কোরপাই কাকিয়ারচর ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসা ময়দানে তার জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন তার একমাত্র পুত্র ও অত্র মাদ্রাসার আলিম ১ম বর্ষের ছাত্র মুহাম্মাদ ইবরাহীম। জানাযা শেষে তাকে তার নিজ গ্রাম কোরপাইয়ের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা। জানাযায় যেলা ‘আন্দোলন’-এর উপদেষ্টা মাওলানা যয়নুল আবেদীন, সহ-সভাপতি মাওলানা মুছলেহুদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জামীলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আমজাদ হোসাইন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ হারেছ মিঁয়া, যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি আহমাদুল্লাহসহ যেলা ‘আন্দোলন’, ‘যুবসংঘ’, ‘সোনামণি’র দায়িত্বশীল ও কর্মীবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। অসুস্থ থাকায় যেলা সভাপতি মাওলানা ছফিউল্লাহ জানাযায় উপস্থিত হতে পারেননি।
৫. ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ রংপুর যেলার প্রধান উপদেষ্টা ডা. মুহাম্মাদ শাহজাহান (৬৮) গত ১১ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল সোয়া ৮-টায় কিডনীজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার ধানমন্ডিস্থ আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ পুত্র ও ২ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান। একই দিন রাত সাড়ে ৯-টায় রংপুর শহরের মেডিকেল মোড়ে তার প্রথম জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন শহরের সেন্ট্রাল রোডস্থ জামে‘আ সালাফিইয়াহ মাদ্রাসা জামে মসজিদের খত্বীব মাওলানা শামসুল হক সালাফী। অতঃপর তার দ্বিতীয় জানাযার ছালাত রাত ১১-টায় হারাগাছের মৌভাষা শাহী মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় জানাযায় ইমামতি করেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। জানাযা শেষে তাকে মৌভাষার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
অত্র জানাযায় ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ, ‘আল-‘আওন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির ও প্রচার সম্পাদক আবুল বাশারসহ রংপুর, লালমণিরহাট এবং দিনাজপুর-পূর্ব ও পশ্চিম সাংগঠনিক যেলার ‘আন্দোলন’, ‘যুবসংঘ’, ‘সোনামণি’র দায়িত্বশীল ও কর্মীবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
জানাযা ও দাফন শেষে আমীরে জামা‘আত শহরের স্রেন্ট্রাল রোডস্থ পায়রা চত্বর সংলগ্ন ডাঃ শাহজাহান ছাহেবের বড় জামাইয়ের আবাসিক হোটেল ‘নর্থ ভিউ’তে রাত্রি যাপন করেন। পরদিন ভোর ৫-৫৫ মিনিটে তিনি রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে গাইবান্ধা যেলার গোবিন্দগঞ্জে ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা জনাব নূরুল ইসলাম প্রধানকে দেখার জন্য যাত্রা বিরতি করেন। এ সময় তিনি গোবিন্দগঞ্জ টিএন্ডটি সংলগ্ন গোলাপবাগ আহলেহাদীছ জামে মসজিদের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
[স্মৃতি : আজ বড় দুঃখের সাথে মৃত্যুর খবর লিখতে হচ্ছে এমন দু’জন ব্যক্তির, যারা ছিলেন সংগঠনপ্রাণ, নিরহংকার, সদালাপী ও খোলা মনের মানুষ। যাদের বাহিরটা দেখলে ভিতরটা চেনা যেত সহজে। যাদের সঙ্গে পরিচয় কাছাকাছি সময়ে এবং মারাও গেলেন দু’জনে মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে। একজন হ’লেন রংপুর শহরের নামকরা সার্জারী চিকিৎসক ডাঃ মোহাম্মাদ শাহজাহান এমবিবিএস, বিএইচএস (আপার), পিজিটি জেনারেল সার্জারী ও গাইনী, মালিক হারাগাছ ক্লিনিক, ধাপ মেডিকেল মোড়, রংপুর। অন্যজন হ’লেন ঢাকা সাভারের বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক সংলগ্ন চক্রবর্তী টেক আহলেহাদীছ জামে মসজিদের দাতা ডাঃ আব্দুল কুদ্দূস (হোমিও)।
ডাঃ মুহাম্মাদ শাহজাহানকে আগে কখনো দেখিনি। তবে রংপুর যেলা ‘যুবসংঘে’র ছেলেদের মুখে তার প্রশংসা শুনতাম যে, উনি ছিলেন আত-তাহরীকের ভক্ত পাঠক। তাদেরকে উনি সর্বদা উৎসাহিত করতেন। ২৯.১১.২০১২ তারিখে রংপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র কৈলাশরঞ্জন হাইস্কুল ময়দানে আয়োজিত যেলা সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে সেখানে পৌঁছানোর পর জানতে পারলাম বিরোধী আলেমদের চক্রান্তে পুলিশ প্রশাসন সম্মেলনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তখন আমরা ১০ কি.মি. দূরে হারাগাছ চলে যাই এবং সেখানে দ্রুত সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কিন্তু পরক্ষণেই কাউনিয়া থানার পুলিশ গিয়ে বাধা দেয়। তখন স্থানীয় দরদী দারুস সালাম আহলে হাদীছ জামে মসজিদে বাদ এশা ভাষণ শুরু হয়। মসজিদের ছাদে স্থাপন করা মাইকের হর্ণ সমূহের মাধ্যমে বাইরে অপেক্ষারত বিপুল সংখ্যক শ্রোতা বক্তৃতা শোনেন। রংপুর ও পার্শ্ববর্তী যেলাসমূহ থেকে আগত কর্মীবৃন্দ ছাড়াও হারাগাছের স্থানীয় জনগণের ভিড়ে মসজিদের সম্মুখস্থ রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় সাবেক এমপি শাহ আলম ও ডাঃ শাহজাহান-এর গাড়ী উক্ত ভিড়ের মধ্যে আটকে যায়। ভাষণ শেষে কাছে ভিড়তে না পেরে তিনি যেলা সভাপতির কাছে দাওয়াত দিয়ে যান আমাদেরকে তাঁর শহরের বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সেমতে আমরা তিন মাইক্রো ভরে রাত ১১-টার দিকে তাঁর শহরের বাড়ীতে পৌঁছি। সেখানেই তাঁর ক্লিনিকে আমাদের সাথে তাঁর প্রথম পরিচয়। প্রথম সাক্ষাতেই তাঁর উদার ব্যবহারে ও বিনয়ী আচরণে আমরা মুগ্ধ হই। অতঃপর তাঁর ৮ তলা ভবনের উপরতলায় তাঁর পরিবারকে নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত দাওয়াতী প্রোগ্রাম হয়। অতঃপর সেখান থেকে বেরিয়ে আমরা দিনাজপুরের ‘তের মাইল’ গিয়ে রাত্রি যাপন করি। পরদিন পঞ্চগড় সফর সেরে রাজশাহী প্রত্যাবর্তনের পথে দিনাজপুরের কাহারোলে আরেকটি সম্মেলনে যোগদান শেষে পরদিন সকাল ৭-টার দিকে আমরা মারকাযে পৌঁছি।
দাওয়াতী কাজে বাধা দান সত্ত্বেও আমাদের দৃঢ়তা দেখে এবং পরে আত-তাহরীকে বিস্তারিত রিপোর্ট (জানুয়ারী ২০১৩) পড়ে ও নিজ
যেলার কর্মীদের কাছে শুনে তিনি আপ্লুত হন।
অতঃপর ২০১৫ সালে প্রথমদিকে একদিন আত-তাহরীক অফিসে পত্রিকা কিভাবে ছাপানো হয় সে ব্যাপারে তিনি সরাসরি খোঁজ নেন। কিছুদিন পর এপ্রিলের এক বিকেলে রংপুর ‘যুবসংঘে’র একজন কর্মীকে সাথে নিয়ে নিজস্ব প্রাইভেট কারে হঠাৎ মারকাযে এসে উপস্থিত হন। অতঃপর একটি সাধারণ শপিংব্যাগ ভর্তি টাকার ব্যান্ডেল টেবিলে ঢেলে দিয়ে বললেন, শুনলাম সংগঠনের নিজস্ব প্রেস নেই। আমাদের এ দানটুকু গ্রহণ করুন! বের হবার সময় দরজায় দাঁড়িয়ে বললেন, আমার স্ত্রীর জন্যও দো‘আ করবেন, এর মধ্যে তার মোহরানার দু’কাঠা জমি বিক্রির টাকাও আছে। পরে তিনি আবারও টাকা পাঠান এবং এ কথা কাউকে না বলার জন্য অনুরোধ করেন। তাঁর মৃত্যুর পরে ১১ই আগস্ট জুম‘আর খুৎবায় আমীরে জামা‘আত প্রথম তাঁর নাম প্রকাশ করেন ও দো‘আ করেন।
হ্যাঁ, সেই বিপুল অর্থের সাথে ‘আত-তাহরীক পাঠক ফোরাম, সঊদী আরব শাখা’ ও অন্যান্যদের প্রদত্ত অনুদান মিলিয়ে ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন প্রেস’-এর জন্য একটি উন্নতমানের মেশিন এবং আনুসঙ্গিক অন্যান্য মেশিনারীজ খরীদ করা হয়। যার মাধ্যমে হাদীছ ফাউন্ডেশনের সমস্ত বই, পত্রিকা ও অন্যান্য প্রকাশনা সমূহ নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। সাথে সাথে তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর এবং অন্যান্যদের আমলনামায় যুক্ত হচ্ছে ছাদাক্বায়ে জারিয়ার অন্তহীন নেকী। তাঁর অছিয়ত মোতাবেক আমরা তাঁর জানাযায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। আল্লাহ তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসে স্থান দান করুন- আমীন! (স.স.)]
৬. ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইনের মা মুসাম্মাৎ আনীসা বেগম (৮৪) গত ১৩ই সেপ্টেম্বর রবিবার বিকাল সাড়ে ৪-টায় শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন। মৃত্যুকালে তিনি ৬ পুত্র ও বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। ঐদিন রাত সাড়ে ৯-টায় রসূলপুর ফুটবল মাঠে তার জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন তার চতুর্থ পুত্র ও ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন। জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাযায় সাতক্ষীরা যেলা ‘আন্দোলন’-এর উপদেষ্টা ও সীমান্ত কলেজের প্রিন্সিপাল আযীযুর রহমান, ভাইস প্রিন্সিপাল মুহিদুল ইসলাম, যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান, সহ-সভাপতি মাওলানা ফযলুর রহমান, যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি মুজাহিদুর রহমান, সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান, ‘সোনামণি’র পরিচালক আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকীন আহমাদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি নূরুল ইসলাম, আহসানিয়া মিশনের প্রিন্সিপাল আব্দুল মজীদ, বাঁকাল দারুল হাদীছ আহমাদিয়া সালাফিইয়াহ মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকসহ যেলা ‘আন্দোলন’, ‘যুবসংঘ’ ও ‘সোনামণি’র দায়িত্বশীল ও কর্মীবৃন্দ সহ বিপুল সংখ্যক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
৭. ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ঢাকা-উত্তর সাংগঠনিক যেলার উপদেষ্টা ও গাযীপুর যেলার চক্রবর্তীটেক আহলেহাদীছ জামে মসজিদের দাতা ডাঃ আব্দুল কুদ্দূস (৮৫) নিজস্ব প্রাইভেট কারে রাজশাহী থেকে কুষ্টিয়া জামাইয়ের বাড়ী হয়ে ঢাকা ফেরার পথে গত ১৪ই সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ৬-৪০ মিনিটে গাযীপুরের চন্দ্রা এলাকায় পৌঁছে গাড়ীর মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ৩ পুত্র ও ৪ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। ঐদিন দুপুর আড়াইটায় চক্রবর্তীটেক সিনক্যাপ হাইস্কুল মাঠে তার প্রথম জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন তার জ্যেষ্ঠ পুত্র রোমান রহীম।
জানাযায় ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, শূরা সদস্য কাযী হারূণুর রশীদ, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুন নূর, ঢাকা-দক্ষিণ সাংগঠনিক যেলা ‘আন্দোলন’-এর উপদেষ্টা তাসলীম সরকার, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আযীমুদ্দীন, ঢাকা-উত্তর যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা সাইফুল ইসলাম বিন হাবীব, সাধারণ সম্পাদক ডা. মুহাম্মাদ আব্দুল জাববার, গাযীপুর যেলার সভাপতি মুহাম্মাদ হাবীবুর রহমান, সহ-সভাপতি ডা. ফযলুল হকসহ ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘ’-এর দায়িত্বশীল ও কর্মীবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। অতঃপর তার দ্বিতীয় জানাযার ছালাত বাদ মাগরিব মিরপুর-৬ বাজার জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি তার ভাতিজা ও অত্র মসজিদের ইমাম মুহাম্মাদ আব্দুল হাফীয। জানাযা শেষে তাকে মিরপুর-১১ ‘জান্নাতুল মাওয়া’ কবরস্থানে দাফন করা হয়।
দ্বিতীয় জানাযার পর আত-তাহরীক সম্পাদক ডঃ সাখাওয়াত হোসায়েন তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে মাইয়েতের মীরপুরের বাড়ীতে যান। অতঃপর তাদের নিকট মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের সালাম ও সমবেদনা পৌঁছে দেন। অতঃপর মাইয়েতের সঙ্গে সংগঠনের সুসম্পর্ক বিষয়ে তিনি ও জনাব আযীমুদ্দীন স্মৃতিচারণ করেন। শেষে সবার নিকট থেকে বিদায় নিয়ে তারা ঢাকায় ফিরে আসেন।
[স্মৃতি : ২০১৬ সালে সাভারের জিরানী পুকুরপাড় আহলেহাদীছ জামে মসজিদে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে আমরা যোগদান করি। মসজিদের পাশেই মুতাওয়াল্লী জনাব ফযলুর রহমানের বাড়ীতে আমরা কর্মীদের কুশল বিনিময়ের সাথে সাথে সাংগঠনিক কাজের খোঁজ-খবর নিচ্ছিলাম। হঠাৎ একজন মুরববী প্রবেশ করলেন ও কাছে এসে মুছাফাহা করলেন। উনি কিছুক্ষণ আমাদের কথাবার্তা শুনলেন। সম্ভবতঃ কর্মীরা ওনাকে কিছু বই হাদিয়া দিল। সে বছরেই আগষ্টের কর্মী সম্মেলনে উনি রাজশাহী মারকাযে এলেন তিন ছেলেকে নিয়ে। পরের বছর ২০১৭ সালে আবার একই রূপ অনুষ্ঠানে গেলাম। এবার তিনি বহুক্ষণ আমাদের সাথে কথা বললেন। অতঃপর তাঁর প্রতিষ্ঠিত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক সংলগ্ন চক্রবর্তীটেক মহল্লায় উন্নতমানের জামে মসজিদ ও তার ব্যয় নির্বাহের জন্য পৃথক একটি ঘর সংগঠনের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করলেন। ফলে ঢাকা ফেরার পথে ঐ রাতেই আমরা তাঁর বাড়ীতে গেলাম ও মসজিদটি দেখলাম। আমরা তাঁকে সেখানে পরিবেশ তৈরীর পরামর্শ দিয়ে ফিরে এলাম। পরে তিনি তাঁর ওয়াদা পূরণ করেন এবং ২০১৮ সালের ৯ই মার্চ তারিখে জুম‘আ আদায়ের মাধ্যমে আমরা মসজিদটি উদ্বোধন করলাম। যে অনুষ্ঠানে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ. রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
মূলতঃ এরপর থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদটি আহলেহাদীছ তরীকায় পরিচালিত হতে থাকে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই স্থানীয় বিদ‘আতী ইমাম ও মৌলভীদের ষড়যন্ত্রে মসজিদটি বেদখল হয়ে যায়। আহলেহাদীছ ইমামকে মেরে তাড়িয়ে দিয়ে ও স্থানীয় আহলেহাদীছ মুছল্লীদের হুমকি ধমকি দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় তারা মসজিদটি দখল করে নেয়। এরপর থেকে মসজিদের দাতা ডাঃ আব্দুল কুদ্দূস নিজের গড়া মসজিদে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আর ছালাত আদায় করতে পারেননি। বিদ‘আতীদের হিংস্রতার কারণে এই কষ্ট নিয়েই তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন।
এরপর থেকে যতবার ঢাকায় গিয়েছি, ততবার তিনি গাড়ী নিয়ে আমাদের সাথী হয়েছেন। অন্যান্য বারের ন্যায় এবারেও মারকাযে এসে তাঁর পারিবারিক ও রাজনৈতিক জীবনের বহু ঘটনা শুনিয়েছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী এবং শেখ মুজিব, খালেদা জিয়া, গোলাম আযম প্রমুখ নেতৃবৃন্দের সান্নিধ্য লাভের অভিজ্ঞতা শুনান। তিনি বলেন, সকলেই তাঁকে এমপি বানাতে চেয়েছেন; কিন্তু তিনি রাযী হননি। কারণ দলীয় রাজনীতির ভিতর-বাহির তাঁর নখদর্পণে ছিল। তাই মায়ের দেওয়া এক টাকা নিয়ে ঢাকায় পত্রিকার হকারী থেকে কর্মজীবন শুরু করা এই ব্যক্তিটি কখনোই অসৎ উপায়ে কিছুই উপার্জন করেননি বলে জানান। সবশেষে মোট ১১টি বাড়ী ও অনেক জমি-জমার মালিক হয়ে মারা গেলেন। আমাদের সংগঠনকেই তিনি স্বস্তির জায়গা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। জীবনের সর্বশেষ জুম‘আটি তিনি মারকাযে এসে আদায় করেন। তারপর শনিবার মাগরিব থেকে রাত ৯-টা পর্যন্ত তিনি দারুল ইমারতে ছিলেন উচ্ছ্বল ও সদা চঞ্চল ব্যক্তি হিসাবে নিজের বিগত জীবনের স্মৃতিচারণ ও আগামী দিনের পরিকল্পনা নিয়ে। সাথে সাথে ৩০টি স্বরচিত কবিতা নিজে আমাদের শুনান ও প্রয়োজনীয় সংশোধনী লিখে নেন। কে জানত যে, এটাই ছিল তাঁর সঙ্গে আমাদের সর্বশেষ সাক্ষাৎ! কে জানত যে, মারকাযেই ছিল তার জীবনের সর্বশেষ জুম‘আ এবং এটাই ছিল তার জীবনে আমীরে জামা‘আতের সর্বশেষ খুৎবা শ্রবণ! আল্লাহ তাঁর গুনাহ-খাতা মাফ করুন এবং জান্নাতুল ফেরদৌসে সর্বোচ্চ স্থান দান করুন- আমীন! (স.স.)]
মাওলানা আব্দুল মান্নান সালাফী-এর মৃত্যু
নেপালে আহলেহাদীছদের সবচেয়ে বড় মাদ্রাসা জামে‘আ সিরাজুল উলূম আস-সালাফিইয়াহ-এর রেক্টর, উত্তর প্রদেশের সিদ্ধার্থনগর যেলা জমঈয়তে আহলেহাদীছ-এর সেক্রেটারী ও মাসিক ‘আস-সিরাজ’ পত্রিকার সম্পাদক প্রখ্যাত আলেম ও বাগ্মী মাওলানা আব্দুল মান্নান সালাফী (৬১) গত ২৩শে আগস্ট’২০ রবিবার দিবাগত রাত ১-টায় মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন।
মাওলানা আব্দুল মান্নান সালাফী ১৯৫৯ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের সিদ্ধার্থনগর যেলার উত্রীবাজারে এক বিখ্যাত আলেম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মাওলানা আব্দুল হান্নান ফায়যী ও দাদা মাওলানা মুহাম্মাদ যামান রহমানী (১৯০২-১৯৭৮) উভয়েই জামে‘আ সিরাজুল উলূমের দীর্ঘদিনের শিক্ষক ছিলেন। উত্রীবাজারের বাহরুল উলূম মাদ্রাসায় মাওলানা সালাফীর শিক্ষাজীবনের হাতে খড়ি হয়। এরপর জামে‘আ সিরাজুল উলূমে কিছুদিন লেখাপড়া করেন। ১৯৮২ সালে তিনি জামে‘আ সালাফিইয়াহ বেনারস থেকে ফারেগ হন। কওমী মাদ্রাসার পাশাপশি তিনি সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মৌলভী, আলেম ও ফাযেল ডিগ্রী এবং লাক্ষ্ণৌ ইউনিভার্সিটি থেকে আরবীতে এম.এ ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি কিং সঊদ ইউনিভার্সিটি, রিয়াদ থেকে শিক্ষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। কর্মজীবনে তিনি ২৪ বছর সিরাজুল উলূম মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন। আল-হুদা (দারভাঙ্গা), আল-ইসলাম (দিল্লী), তারজুমান (দিল্লী), তানবীর (বেনারস), নূরে তাওহীদ (ঝান্ডানগর) ও আস-সিরাজ (ঝান্ডানগর) প্রভৃতি পত্র-পত্রিকায় তাঁর দুই শতাধিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
ফিৎনায়ে কাদিয়ানিয়াত, তুহফায়ে রামাযান আল-মুবারক, মানাসিকে হজ্জ, ওমরা ওয়া কুরবানী, মুখতাছার আদাবে হজ্জ ওয়া ওমরা ওয়া যিয়ারাত (উর্দূ ও হিন্দী), মু‘আল্লিমে নামায (উর্দূ ও হিন্দী) প্রভৃতি তাঁর রচিত গ্রন্থ। রেডিও নেপাল-য়ে ‘রোশনী’ শিরোনামে তাঁর বক্তব্য প্রচারিত হ’ত। তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন এবং প্রবন্ধ পাঠ করেছেন।
[মুহতারাম আমীরে জামা‘আত তাঁর ডক্টরেট থিসিসের জন্য স্টাডি ট্যুরে ৭.২.১৯৮৯ তারিখে মাদ্রাসা সিরাজুল উলূম পরিদর্শন করেন- সম্পাদক।]
আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুতে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর শোক প্রকাশ
‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’-এর আমীর এবং দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর আমীর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, নাস্তিক্যবাদী ও ইসলামবিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে তিনি এক নযীরবিহীন গণজোয়ার সৃষ্টি করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে এদেশের ইসলামী অঙ্গন একজন গুরুত্বপূর্ণ অভিভাবককে হারালো। তিনি তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং মহান আল্লাহর কাছে তাঁর ভুল-ত্রুটি মার্জনা করে জান্নাতের উচ্চ মাকাম কামনা করেন (দৈনিক ইনকিলাব ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২০, ৮ম পৃ., ১ম কলামে প্রকাশিত)।