ভারতের
সুপ্রীমকোর্ট বলেছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সী যেকোন ভারতীয় নাগরিক তার ধর্ম
গ্রহণ করতে পারেন। ভারতের সংবিধানে ঐ অধিকার দেয়া রয়েছে।
অশ্বিন উপাধ্যায় নামে একজনের আবেদন ছিল, দেশের বিভিন্ন স্থানে যে ধর্মান্তরকরণ চলছে, সর্বোচ্চ আদালত তা বন্ধ করার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যগুলোকে নির্দেশ দিক। সম্প্রতি সুপ্রীমকোর্টে ঐ আবেদনের শুনানি ছিল। বিচারপতি আর এফ নরিম্যান, বি আর গাভাই ও ঋষিকেশ রায়কে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ সংবিধানবিরোধী এ আবেদন পেশ করার জন্য অশ্বিন উপাধ্যায়ের অ্যাডভোকেট গোপাল শঙ্করনারায়নকে কঠোরভাবে ভৎর্সনা করে।
বিচারপতিরা বলেন, ‘একজন সিনিয়র অ্যাডভোকেট হয়ে সংবিধানে নাগরিকদের অধিকারের কথা আপনার জানা নেই? না জানলে এ আবেদনকারীর প্রতিনিধিত্ব করার আগে জেনে নিতে পারতেন। এভাবে আদালতের সময় নষ্ট করায় আমরা আপনার ও আপনার নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারি। তখন শঙ্করনারায়ন বলেন, ‘ঠিক আছে, আমরা আবেদন প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। তবে এ আবেদন নিয়ে যাতে আমরা সরকার ও আইন কমিশনের কাছে যেতে পারি তার অনুমতি চাইছি’। সুপ্রীমকোর্ট ঐ অনুমতিও দিতে অস্বীকার করে আবেদন নাকচ করে দেয়।
[ভারতে ‘লাভ জিহাদ’ নামে ইসলাম গ্রহণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার যে সরকারী যবরদস্তী চলছে, তার বিরুদ্ধে সুপ্রীমকোর্টের এই রায়কে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা মনে করি ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের মুখোষ পরে ভারত সরকার ইসলামকে ঠেকানের যে নির্লজ্জ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে, তার পরিণাম হবে সুদূর প্রসারী। অদূর ভবিষ্যতে পুরা ভারতবর্ষে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাওয়াটা বিচিত্র কিছু নয় (স.স.)।