ফল সংগ্রহের পর যে
কলাগাছ এতদিন ফেলে দেওয়া হ’ত, সেই গাছ থেকে তৈরি হচ্ছে উন্নতমানের সুতা।
এসব সুতা দিয়ে বিভিন্ন হস্তশিল্পের উপকরণ তৈরি হবে- দাবী উদ্যোক্তাদের।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার দুই তরুণ উদ্যোক্তা কলাগাছের সুতা তৈরীর উদ্যোগ
নিয়ে এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছে।
সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তির বিদ্যুৎচালিত মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে সুতা উৎপাদন করছে তারা। দামুড়হুদা উপযেলার আবু সাঈদ ও তার বন্ধু সাইফুল ইসলাম কর্ম জীবনের সফলতার আশায় প্রায়ই নানা পরিকল্পনা করত। একপর্যায়ে ইউটিউবের একটি ভিডিও তাদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ফেলে দেওয়া কলাগাছ থেকে সুতা তৈরির প্রযুক্তি তাদের উদ্বুদ্ধ করে। খোঁজ-খবর নিয়ে তারা বগুড়া থেকে সংগ্রহ করে সুতা তৈরীর দেশীয় মেশিন। বাড়িতে মেশিন বসিয়ে গ্রামের কিশোর শ্রমিকদের দিয়ে তারা সংগ্রহ করে পরিত্যক্ত কলাগাছ। অতঃপর কলাগাছের খোলস বের করে দেওয়া হয় মেশিনে। তা থেকে বেরিয়ে আসে সোনালী সুতা। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ কেজি করে সুতা উৎপাদন করছে তারা। তবে না জানার কারণে এ সুতার ক্রেতা সংখ্যা খুবই কম। তবে ভবিষ্যতে এ সুতার ব্যাপক চাহিদা তৈরি হবে। বর্তমানে দাম কম হওয়ায় নিজেরাই তারা পণ্য উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে।
বর্তমানে কলাগাছের সুতা দিয়ে হস্তশিল্পের বিভিন্ন ধরনের উপকরণ তৈরী করছে গ্রামের নারীরা। আঁশযুক্ত সুতা দিয়ে তারা ব্যাগ, পাপোষ ও টুপীসহ হস্তশিল্পের বিভিন্ন উপকরণ তৈরী করছে। হস্তশিল্পের কাজ করে গ্রামের নারীদের আয়ও বেড়েছে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েরাও পড়াশোনার খরচ মেটাতে এ কাজে যুক্ত হচ্ছে।