স্বদেশ
একমাসেই কুরআন হেফয করল জন্মান্ধ যমজ দু’ভাই
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ৭ বছরের দুই জন্মান্ধ যমজ হাসান ও হোসাইন মাত্র এক মাসে কুরআন হেফয সম্পন্ন করেছে। তারা কথা শেখার পর থেকেই পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত কান পেতে শুনতো। পরবর্তীতে কুরআন অনুরাগী সহোদরদের নেয়া হয় ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের ইমাম হাফেয নযরুল ইসলামের কাছে। তিনি কুরআন পড়ে শুনিয়ে শুনিয়ে মাত্র এক মাসেই শিশু দু’টির হিফয সম্পন্ন করান। হাফেয সহোদরের কণ্ঠে তেলাওয়াত শুনে এলাকাবাসী মুগ্ধ। এরা এখন বিভিন্ন মাহফিলের বিশেষ আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। এ ব্যাপারে হাফেয নযরুল ইসলাম বলেন, মহান আল্লাহর বাণী পবিত্র কুরআন। আল্লাহর বিশেষ রহমত ছাড়া এতো অল্প সময়ে হাফেয হওয়া সম্ভব নয়।
কা‘বা ঘরে বাংলাদেশী নারী খাদেমা
মুসলমানদের সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান বায়তুল্লাহ তথা কা‘বা গৃহ ২৪ ঘণ্টাই থাকে ইবাদতকারীদের ভিড়ে মুখর। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাদেমরা এটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ২৪ ঘণ্টা কাজ করে। তবে আনন্দের কথা হ’ল, এসব খাদেমদের মধ্যে বাংলাদেশী নারীরাও রয়েছে। ২০ বছর ধরে এখানে কাজ করছে বরিশালের মাসূদা বেগম ও জাহানারা এবং খুলনার সুলতানা। তাদের সঙ্গে আরো চার বাংলাদেশী নারী আছে। তবে তারা বাংলাদেশ থেকে সেখানে যাননি। বরং তারা সঊদী প্রবাসী পিতা-মাতার সন্তান হিসাবে সেখানেই বড় হয়েছে। প্রথম তিনজন খাদেমা নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৩ সাল থেকে এ দায়িত্ব পালন করছে। এ কাজ করতে পেরে তারা খুব আনন্দিত ও গর্বিত। নিরাপদ পরিবেশে কা‘বা গৃহের মতো পবিত্র মসজিদে কাজ করতে পারায় তারা নিজেদের সৌভাগ্যবান বলে মনে করে।
মাসূদা ও জাহানারা বলেছে, এখানে কাজের পরিবেশ খুবই ভালো ও সম্পূর্ণ নিরাপদ। বেতন-বোনাস ছাড়াও তারা অন্যান্য বহু সুবিধা পেয়ে থাকে। নারীদের ছালাত আদায়ের জায়গা পরিষ্কার করা, ওযূখানা ছাফ রাখা, বিভিন্ন বুক সেলফে কুরআন মুছে গুছিয়ে রাখা, কার্পেট ছাফ রাখা ইত্যাদি নানা কাজ করতে হয় এখানে।
মাসূদা বলেছে, এখানে খুবই কড়াকড়ি। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বাইরে বের হওয়ার সুযোগ নেই। একাকী কোথাও যাওয়ার নিয়ম নেই। বেতন পাওয়ার দিন কর্তৃপক্ষ সবাইকে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় বাজারে নিয়ে যান প্রয়োজনীয় কেনাকাটার জন্য। আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার জন্য ২০০৫ সালে মাসূদা পুরস্কৃতও হয়েছে। এখানে অধিকাংশ খাদেমা একত্রে সরকারী হোস্টেলে থাকে এবং কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় কা‘বা ঘরে যাওয়া আসা করে।
দেশে প্রথমবারের মত পাম মাড়াই মেশিন স্থাপন
পাম চাষ এখন আর চাষীদের গলার ফাঁস নয়। ১১ জন বন্ধুর প্রচেষ্টায় মেহেরপুরের বিসিক শিল্প নগরীতে বসেছে পাম মাড়াই মেশিন। এই মেশিন ঘন্টায় হাযার কেজি পাম ফল মাড়াই করতে সক্ষম। পাম মাড়াই মেশিনের উদ্যোক্তা কৃষিবিদ শুরুজ আলী ও হাবীবুর রহমান বলেন, ২০০৯ সালে কয়েকটি এনজিওর আশ্বাসে ১২০টি গ্রামে পাম চাষ শুরু হয়। কিন্তু বছর পার না হ’তেই তারা পাম গাছের চারা বিক্রির মুনাফা নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর পাম চাষীদের হতাশা বেড়ে যায়। পাম বাগানে ফল আসতে শুরু করলেও প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা না থাকায় বাড়তে থাকে লোকসানের অংক। চাষীদের দুঃখ ঘুচাতে ২০১২ সালে ১১ জন বন্ধুর অর্থায়নে গড়ে তোলা হয় ‘বোটানিক এগ্রো লিঃ’। ১১ জনের প্রদত্ত অর্থে ঢাকার সানটেক লিমিটেডের প্রকৌশলী আমজাদ হোসাইন ও ব্রয়লার এক্সপার্ট হাসান আলীর তত্ত্বাবধানে এবং জার্মানীর এক প্রকৌশলীর সহযোগিতায় যন্ত্রপাতি তৈরীর কাজ শুরু হয়। সেই যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে মেহেরপুর বিসিক শিল্প নগরীতে বসানো হয় পাম মাড়াই মেশিন। কৃষিবিদ শুরুজ বলেন, পাম চারা রোপণের ৩/৪ বছরের মধ্যেই মুকুল আসতে শুরু করে। একটি পামগাছ ১৫/২০ বছর একইভাবে ফল দিতে পারে। পাম থেকে তেল উৎপাদনের কৌশল তৈরী হয়েছে। এখন এটাকে রপ্তানি পণ্যে পরিণত করতে পারলে ঘুরে যাবে দেশের অর্থনীতির চাকা।
বোটানিক এগ্রোর চেয়ারম্যান হাবীবুর রহমান বলেন, পাম ফলের বাকলা থেকে তেল এবং বিচি থেকে কার্ণেল অয়েল উৎপাদন হয়। এই ওয়েল সাবানসহ অন্যান্য প্রসাধনীতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া পাম থেকে কেবল ভোজ্য তেলই নয়, কসমেটিক তৈরীর উপকরণ, গাছের ডাল থেকে উন্নত পারটেক্স ও ভেষজ উপাদান তৈরী করা সম্ভব। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পাম অয়েল উৎপাদন করা গেলে তা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দেশে ধূমপানে বছরে মারা যাচ্ছে ৫৭ হাযার মানুষ
ধূমপানের কারণে নানা রোগে ভুগে বাংলাদেশে বছরে ৫৭ হাযার মানুষ মারা যায়। এছাড়া বছরে ১২ লাখ মানুষ অসুস্থ হয় এবং ৪ লাখ মানুষ পঙ্গু হয়ে যায়। সম্প্রতি ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সম্মেলন কক্ষে ধূমপান বিরোধী আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী উপরোক্ত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তামাক জীবনকে ধ্বংস করে দেয়। তামাকের কারণে যুবকরা মাদকাসক্ত হয়। তামাক সেবনে মহিলাদের মৃত্যুর হারও বাড়ছে। মহিলারা মূলতঃ জর্দা, গুল, খৈনি ইত্যাদি সেবন করে মাদকাসক্ত হচ্ছে। অতএব দেশব্যাপী তামাকের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে এর বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করলেই ধীরে ধীরে তামাকের ব্যবহার কমে যাবে বলে আশা করা যায়। উল্লেখ্য, সম্প্রতি তামাক আইন ২০০৫ সংশোধিত হয়েছে। এতে প্রকাশ্যে ধূমপানকারীর সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা জরিমানার বিধান করে আইন পাশ করা হয়েছে। এছাড়া পাবলিক প্লেস ধূমপানমুক্ত না রাখতে পারলে এর তত্তবাবধায়ককে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা জরিমানা করারও আইন করা হয়েছে।
গভীর চক্রান্তে পোশাক খাত : বিদেশী ক্রেতারা পোষাকের দাম বাড়াবেনা। দেশী মালিকদের উপর যত চাপ
শ্রমিক অসন্তোষের কলকাঠি নাড়ছে প্রতিবেশী দেশ
চতুর্মুখী চক্রান্তে গভীর সংকটে পড়েছে দেশের প্রধান শিল্প তৈরী পোশাক খাত। পরিকল্পিতভাবে তৈরী করা হচ্ছে শ্রমিক অসন্তোষ। এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে একটি দেশীয় চিহ্নিত গোষ্ঠীকে। নেতৃত্বে আছে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা। শ্রমিক অসন্তোষের কলকাঠি নাড়ছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। লক্ষ্য দেশের বিশ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানী খাতকে ধ্বংস করা। কারণ চীন হাইটেক শিল্পের দিকে ঝোঁকায় পোশাক শিল্পে ওই দেশটির এখন মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পোশাক খাতকে ধ্বংস করতে পারলে বিশ বিলিয়ন ডলারের একটি বড় অর্ডারই চলে যাবে ওই দেশটির হাতে। এ লক্ষ্যে এবার চতুর্মুখী হামলা শুরু করেছে দেশের এই শিল্প খাতটির ওপর। একদিকে দেশীয় এজেন্ট এনজিওগুলোকে দিয়ে উস্কে দিচ্ছে শ্রমিকদের। সাথে সাথে শ্রমিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের। পাশাপাশি তীব্র আক্রমণ করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে। আর উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য গার্মেন্ট কারখানাগুলোতে তাদের এক বিশাল এজেন্ট বাহিনী কর্মরত রয়েছেন।
‘এনএসআই’ শিল্প বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প দখলে নিতে ভারতের একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে। এগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন হচ্ছে। ইতোমধ্যে পরিকল্পিতভাবে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করে এই শিল্পকে রুগ্ন বানানো হচ্ছে। আর রুগ্ন শিল্পগুলোর মালিকানা ভারতীয়রা নিয়ে নিচ্ছে। দক্ষ টেকনিশিয়ানের নামে ইতিমধ্যেই আড়াই হাযার ভারতীয়কে দেশের পোশাক খাতে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। এরা কারখানাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছে। এছাড়া এই খাতের অর্ধেকের বেশী বাইং হাউজের মালিক ভারতীয় নাগরিক। গার্মেন্ট সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ পদে অনেক ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন এ তথ্য স্বীকার করে বিকেএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ হাতেম জানান, বিভিন্ন সংকটের কারণে যে শিল্পগুলো রুগ্ন হয়ে পড়েছে তার বেশির ভাগ মালিকানা ভারতীয় নাগরিকরা নিয়ে নিয়েছেন।
এদিকে এই খাত ধ্বংসে প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছেন সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা। গত ২১ সেপ্টেম্বর নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাহজাহান খানের উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ থেকে গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন ন্যূনতম ৮ হাযার টাকা করার দাবী জানানোর পর থেকে শুরু হয় চলমান শ্রমিক অসন্তোষ। সেখানে তিনি বলেন, জীবন দেব তবু শ্রমিকদের দাবীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করব না। মালিকদের উদ্দেশ্যে শাহজাহান খান বলেন, শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতনের দাবী মেনে নিন। তা না হলে একটি মাছিও কারখানায় ঢুকবে না।
এদিকে আন্তর্জাতিক মিডিয়াকেও লাগিয়ে দেয়া হয়েছে দেশের পোশাক খাতের বিরুদ্ধে। তারা প্রতিবেদন ও সম্পাদকীয় লিখছে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিক শোষণ নিয়ে। নিউইয়র্ক টাইমস, বিবিসির মত মিডিয়াও এর পক্ষে বক্তব্য পেশ করছে। অথচ এরা একবারও বলছে না যে, আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের বাড়তি দামে বাংলাদেশ থেকে পোশাক কিনতে হবে। অথচ আন্তর্জাতিক ক্রেতারা প্রতিটি পোশাক ৪শ থেকে ৫শ গুণ পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি করে। বাংলাদেশ থেকে একটি পোশাক ১ ডলারে কিনলে সেটি ইউরোপ-আমেরিকার দোকানে বিক্রি হয় ৪শ থেকে ৫শ ডলারে। বিপুল অঙ্কের লাভ করলেও এদের বাড়তি দাম দেয়ার জন্য চাপ না দিয়ে উল্টো বাংলাদেশের গার্মেন্ট মালিকদের ওপর চাপ দিচ্ছে। বাংলাদেশের গার্মেন্ট খাত ধ্বংসের পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তারা এসব কাজ করছে বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন।
[সরকারই যখন প্রতিবেশী দেশের প্রকাশ্য দালালীতে নেমেছে, তখন এদের ধ্বংস কামনা ছাড়া আর কি করার আছে? আল্লাহ কখনোই যালেমদের বরদাশত করবেন না। আমরা সরকারের শুভ বুদ্ধি কামনা করি (স.স.)]
বিদেশ
ইসরাঈলী রাসায়নিক অস্ত্রের গুদাম নিয়ে পাশ্চাত্যের মাথাব্যথা নেই : চমস্কি
মার্কিন ভাষাতাত্ত্বিক ও বুদ্ধিজীবী নোয়াম চমস্কি সম্প্রতি এক নিবন্ধে পাশ্চাত্য মিডিয়ার একদেশদর্শী চরিত্রের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশ ইসরাঈলের সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতির বিপক্ষে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোকে কখনোই অবস্থান নিতে দেখা যায় না। উদাহরণ হিসাবে তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে তথ্যবহুল পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টিংয়ের দিকে ইঙ্গিত করেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর পত্রিকাটির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সিরিয়াকে রাসায়নিক অস্ত্রমুক্ত করতে পারাটা ইসরাঈলের জন্য হবে বিরাট অর্জন।’ চমস্কির ভাষায়, এ সংবাদ বস্তুনিষ্ঠ হ’লেও তা অসম্পূর্ণ এবং একপেশে। কারণ ইসরাঈল এবং সিরিয়া উভয় রাষ্ট্রই সিডব্লিউসি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি, যা রাসায়নিক অস্ত্রের উৎপাদন, মজুত ও ব্যবহারকে অবৈধ ঘোষণা করে। উল্টো ইসরাঈল নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিরিয়ার একটি অংশ দখল করে রাসায়নিক অস্ত্রের রীতিমতো গুদাম নিয়ে বসে আছে। অথচ প্রতিবেদনে সে বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এভাবেই বস্ত্তনিষ্ঠতার দাবীদার মিডিয়াগুলো মূলতঃ পাশ্চাত্যের তল্পিবাহক হিসাবেই কাজ করে যাচ্ছে।
নববই বছর বয়সে সাইকেলে চড়ে দেড় হাযার কি.মি. পাড়ি!
বার্ধক্যকে সবসময় বয়সের ফ্রেমে বাঁধা যায় না। সেই কথাটিই প্রমাণ করলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ৯০ বছর বয়সী বার্ট ব্লেভেন্স। অনেক টগবগে যুবক-তরুণই যেখানে হেরে গেল, সেখানে কেন্টাকি থেকে ফ্লোরিডা পর্যন্ত এক সাইকেল ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করে ১,৪৯৭ কিলোমিটার অতিক্রম করলেন ব্লেভেন্স।
গত ২০ আগস্ট কেন্টাকি থেকে যাত্রা করে ২১ দিনের মাথায় সম্প্রতি ফ্লোরিডায় পৌঁছে এই রেকর্ড গড়েন ব্লেভেন্স। তার এই সফর আরও বেশি দুঃসাহসিক হয়েছে এ জন্য যে, তাকে অনেক ঘুরে ঘুরে এবং অনেক ক্ষেত্রে দুর্গম পথও পাড়ি দিতে হয়েছে।
এই দুঃসাহসিক ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ব্লেভেন্সকে তারই উদ্ধৃতি ‘যদি সামনে কোনো সুযোগ আসে, চেষ্টা করো। যদি না পারো সেটা অনেক খারাপ লাগার বিষয়, কিন্তু বিপর্যয়কর নয়’ লেখা টি-শার্ট পরে এবং প্ল্যাকার্ড ধরে উৎসাহ যুগিয়েছেন ভক্ত ও পারিবারিক স্বজনরা।
৩৩ লাখ টাকা ফেরত দিয়ে ভবঘুরে পেল সাড়ে ৮১ লাখ টাকা
ছাপোষা চেহারা। কাঁচাপাকা চুল, মুখভর্তি দাড়ি। ঘরবাড়ি নেই, থাকেন উদ্বাস্তু শিবিরে। দারিদ্রের ছাপ স্পষ্ট। ৪২,৪০০ ডলার (৩৩ লাখ টাকা) ভর্তি ব্যাগ নিয়ে এগিয়ে এলেন। শপিং মলের কর্মীদের জানালেন, মালিকহীন ব্যাগটি খুঁজে পেয়েছেন তিনি। ফিরিয়ে দিতে চান। ব্যাগের মালিককে তার জিনিস ফিরিয়ে দিতে পেরেছিলেন ভবঘুরে গ্লেন জেমস। কিন্তু এখানেই গল্পের শেষ নয়। গ্লেনের কথা শুনে, কাগজে তাঁর ছবি দেখে অভিভূত হয়ে গিয়েছিল ২৭ বছরের তরুণ ইথেন হুইটিংটন। গ্লেনকে সাহায্য করতে অনলাইনে একটি তহবিল তৈরী করে ফেলেন ইথেন। আর চারদিনের মধ্যেই তাতে জমা পড়ল ৮১ লাখ টাকা। ইথেনের মতে, এভাবে চললে ডলারের অঙ্ক ছুঁয়ে যেতে পারে প্রায় দুই কোটি টাকার কাছাকাছি। গল্প হ’লেও সত্যি! গত আট বছর ধরে নিরাশ্রয় গ্লেন শহরের একটা উদ্বাস্তু শিবিরে থাকেন। কিন্তু পকেটে পয়সা না থাকলেও কখনও অন্যের জিনিস ছুঁয়েও দেখেননি।
[আলহামদুলিল্লাহ। এটাই মানবতা। এই মানবতা চিরস্থায়ী হয় আখেরাত বিশ্বাসে। ইথেন যদি ইসলাম কবুল করেন, তবে পরকালে জান্নাত পেয়ে চিরকাল সুখী থাকবেন। আমরা উভয়কে ‘ইসলাম’ কবুলের আহবান জানাচ্ছি (স.স.)]