স্বদেশ

সম্পদে নারী-পুরুষের সমান অধিকার রেখে নারী উন্নয়ন নীতি মন্ত্রীসভায় অনুমোদন

উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে নারীর সমঅধিকারের বিধান রেখে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালার খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা। গত ৭ মার্চ সচিবালয়ে মন্ত্রীসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। নতুন এ নীতিমালার ১৭ (৫) ধারায় বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় বা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কোন ধর্মের, কোন অনুশাসনের ভুল ব্যাখ্যার ভিত্তিতে নারীস্বার্থের পরিপন্থী এবং প্রচলিত আইন বিরোধী কোন বক্তব্য প্রদান বা অনুরূপ কাজ বা কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করা’। ২৩ (৫) ধারায় বলা হয়েছে, ‘সম্পদ, কর্মসংস্থান, বাজার ও ব্যবসায় নারীকে সমান সুযোগ ও অংশীদারিত্ব দেয়া’। ২৫ (২) ধারায় বলা হয়েছে, ‘উপার্জন, উত্তরাধিকার, ঋণ, ভূমি এবং বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের ক্ষেত্রে নারীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রদান করা’। ১৬ (২) ধারায় বলা হয়েছে, ‘রাজনীতি, প্রশাসন ও অন্যান্য কর্মক্ষেত্রে, আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ড, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া এবং পারিবারিক জীবনের সর্বত্র নারী-পুরুষের সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করা’। ১৬ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সংবিধানের আলোকে রাষ্ট্রীয় ও গণজীবনের সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা’।

দেশের ওলামায়ে কেরাম ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২৩ (৫) ধারায় বর্ণিত ‘সম্পদ’ বলতে নারীর উত্তরাধিকার সম্পদও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এক্ষেত্রেও ২৫ (২) ধারা প্রযোজ্য হতে পারে। তাছাড়া নারীরা সম্পদের অংশীদারিত্ব কেবল উত্তরাধিকার সম্পদ থেকেই পেয়ে থাকে। উপরোক্ত দু’টি ধারা (২৩.৫ ও ২৫.২) ভবিষ্যতে উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে নারী-পুরুষের সমতাকে অনিবার্য করে তুলবে। এভাবে ভাষার মারপ্যাচের মাধ্যমে ‘উত্তরাধিকার’ কথাটি সরাসরি উল্লেখ না থাকলেও সংশ্লিষ্ট কয়েকটি ধারায় গণজীবনের সর্বক্ষেত্রে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা এবং উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে সমঅংশীদারের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এছাড়া নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ (সিডও) সনদ বাস্তবায়নসহ ১৯৯৭ সালের প্রায় সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নতুন নীতিমালায়।

চার পাবর্ত্য যেলায় খৃষ্টান বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ৮ এনজিও

একটি প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক চক্র দেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৪টি যেলায় বাঙ্গালীসহ বিভিন্ন উপজাতীয় জনগোষ্ঠীকে খৃষ্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ৮টি এনজিও’র মাধ্যমে পাবর্ত্য অঞ্চলে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করার পাশাপাশি সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে মদদ দিচ্ছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের কিছু রাজ্য ও মিয়ানমারের কিছু প্রদেশেও একই কায়দায় সক্রিয় রয়েছে ঐ আন্তর্জাতিক চক্রটি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ও মার্কিন দূতাবাসের কর্মকান্ড সম্পর্কে সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে এসব বিষয় তুলে ধরে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

জানা গেছে, খাগড়াছড়ি যেলায় মার্কিন চক্রের সাথে হাত মিলিয়ে ধর্মান্তরিত করাসহ অন্যান্য কাজে জড়িত এনজিও’র মধ্যে রয়েছে প্রেরিত দূতং সাধু যোহনের ‘ধর্মপল্লী’, ‘টাউন ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ’। বান্দরবান যেলায় রয়েছে ‘গ্রাউস’, ‘কৈলানিয়া’ ও ‘তৈমু’। রাঙ্গামাটি যেলায় রয়েছে ‘ক্যাথলিক মিশন চার্চ’, ‘খৃষ্টান এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’, ‘ইউনাইটেড পোস্ট কোষ্টাল চার্চ অব বাংলাদেশ’। পাবর্ত্য চট্টগ্রাম থেকে সরকারের  উচ্চ পর্যায়ে পাঠানো স্থানীয় প্রশাসনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেভেন ডে এডভেনটিষ্ট স্কুল (প্রটেস্ট্যান্ট) রাঙ্গামাটি যেলার বাঙ্গালহালিয়া, রাজস্থলী উপযেলায় কাজ করছে। ঐ স্কুলে ৪৭৫ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। এদের অধিকাংশই অতি দরিদ্র উপজাতীয়। এখানে বিনামূল্যে লেখাপড়া ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অতি দরিদ্রদের এসব সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে বৌদ্ধসহ অন্যান্য ধর্ম থেকে খৃষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়ে থাকে।

ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল থাকছে

সংবিধান সংশোধনের ফলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহ নিবন্ধিত কোন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হবে না। তবে তাদের সংবিধানের আদর্শ ও উদ্দেশ্য মেনেই রাজনীতি করতে হবে এবং তারা ধর্মকে অপব্যবহার করে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদে এ সংক্রান্ত শর্ত সংযোজনের ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে সংবিধান সংশোধনে গঠিত বিশেষ কমিটি। গত ১৬ মার্চ জাতীয় সংসদ ভবনে ১১তম বৈঠক শেষে কমিটির মুখপাত্র ও কো-চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ তথ্য জানান। প্রসঙ্গত, সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, ‘জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতার স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে সমিতি বা সংঘ গঠন করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে’।

২০১০ সালে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার ১২৭ জন

মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে,  ২০১০ সালে দেশে ১২৭ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ২০১০ সালের জানুয়ারীতে ৫, ফেব্রুয়ারীতে ১২, মার্চে ৭, এপ্রিলে ৯, মে মাসে ১৮, জুনে ১১, জুলাইয়ে ১০, আগষ্টে ৯, সেপ্টেম্বরে ১০, অক্টোবরে ১১, নভেম্বরে ১৫ ও ডিসেম্বরে ১০ জন নাগরিক বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে। অধিকারের তথ্য অনুযায়ী এর আগের বছর ২০০৯ সালে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল মোট ১৫৪ জন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারীতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে ১৭ জন। এর আগের মাসে গত জানুয়ারীতে ৭ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে।


বিদেশ

স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামীতে লন্ডভন্ড জাপান

স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামীতে শিল্পোন্নত দেশ জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ধ্বংস্তূপের কৃষ্ণ গহবরে পরিণত হয়েছে। গত ১১ মার্চ শুক্রবার স্থানীয় সময় ২-টা ৪৬ মিনিটে ৮ দশমিক ৯ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প এবং তার অভিঘাতে সৃষ্ট  ৩৩ ফুট উচ্চতার সুনামী বিপর্যস্ত করে ফেলেছে রাজধানী টোকিওসহ জাপানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে। এ ভূমিকম্পে টোকিও নগরী ২০ মিনিট ধরে কেঁপেছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী টোকিও থেকে ২৫০ মাইল দূরে এবং সমুদ্রের ৩২ কিলোমিটার গভীরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৪০ বছরের মধ্যে জাপানে আঘাত হানা এটিই হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। এর আগে সবচেয়ে ভয়াবহ ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প দেশটিতে আঘাত হেনেছিল ১৯২৩ সালে, যার ফলে ১ লাখ ৪০ হাযার মানুষ নিহত হয়েছিল।

উল্লিখিত ভূমিকম্প ও সুনামির ফলে জাপানে ২০ হাযারের অধিক মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। নিখোঁজ রয়েছে ২০ হাযারের বেশি মানুষ। এক লাখ শিশু গৃহহীন হয়েছে। জনপদের পর জনপদ লন্ডভন্ড হয়ে মাটির সাথে মিশে গেছে। মিয়ামি অঞ্চলের একটি গ্রামের ১০ হাযার অধিবাসীর কেউ বেঁচে নেই। মৎস্য বন্দর মিনামি নাস রিকিচোর ১৭ হাযার বাসিন্দার মধ্যে ১০ হাযারকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নগরীর প্রায় ৬ কিলোমিটার ভূভাগ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে সুনামির আঘাতে। উত্তর উপকূলের পৌনে ১ লাখ লোকের শহর কেসেনুমার বিশাল এলাকা এখনও পানির নিচে। সুনামির প্রচন্ডতায় খড়কুটোর মতো ভেসে গেছে নৌযান, গাড়ি এমনকি ঘরবাড়ি পর্যন্ত। সমুদ্রের বড় বড় জাহাজগুলো স্থলভাগে উঠে এসেছে। এমনকি তিন তলা বাড়ির ছাদের ওপর পর্যন্ত উঠে আসার ঘটনা ঘটেছে। ভূমিকম্পের তিন দিন আগেও জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যে শহরগুলো ছিল কর্মচঞ্চল জনপদ, এখন সেগুলো সব ভূতুড়ে শহর। আল্লাহর গযবের নীরব সাক্ষী। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে লাশের পাশেই আহত ও বিপন্নদের আহাজারি জাপানের আকাশ-বাতাস ভারী করে তুলেছে। এর মধ্যে প্রচন্ড শীত, তুষারপাত ও ফুকুশিমা দাইচি পরমাণু চুল্লির বিস্ফোরণে ছড়িয়ে পড়া তেজস্ক্রিয়তা গোদের ওপর বিষফোড়া রূপে দেখা দিয়েছে। পানি, দুধ, শাক-সবজি ও পানিতে তেজস্ক্রিয়তা দেখা দেয়ায় মানুষের মাঝে ক্যান্সারের আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। তেজস্ক্রিয়তার কারণে ফুকুশিমা এলাকার সব ধরনের খাদ্যদ্রব্য বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। খাদ্য, পানীয়, আশ্রয়স্থল ও বিদ্যুতের অভাবে জনজীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেদ্রের ক্ষতিগ্রস্ত ১নম্বর চুল্লির কন্ট্রোলরুমে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন প্রকৌশলীরা। উল্লেখ্য, ভূমিকম্পে ফুকুশিমার ছয়টি পরমাণু চুল্লির তিনটিতে বিস্ফোরণ ঘটে এবং একটিতে আগুন ধরে যায়।

এ পর্যন্ত ২৭৫ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে বিভিন্ন শহরে। সুনামির আঘাত অনুভূত হয়েছে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া, চিলি, ফিলিপাইন, অষ্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশে। এদিকে গত ২২ মার্চ জাপানের হোলশুর পূর্ব উপকূলে স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১২-টায় রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এটির কেন্দ্র ১১ দশমিক ৪০ কিলোমিটার গভীরে ছিল।

ক্ষয়ক্ষতি : আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মতে এ দুর্যোগে ক্ষতির পরিমাণ ১০ হাযার কোটি পাউন্ড ছাড়িয়ে যাবে। এদিকে জাপান সরকার বলছে, ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর, কলকারখানা, রাস্তাঘাট ও সেতু নির্মাণ বা পুনর্গঠনে আগামী তিন অর্থবছরে ব্যয় হবে ১৬ থেকে ২৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন।

বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা : প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে দু’টি প্লেটের মধ্যে প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতা চলছিল। প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেটটি ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল ইউরেশীয় প্লেটের নীচে। ইউরেশীয় প্লেট তাতে বাধা দিচ্ছিল। তার জোরে সমুদ্রের তলদেশে ঐ অংশে তৈরী হচ্ছিল শক্তি। এক সময় সেই শক্তি এতটাই জমে গেল যে, তাকে আর ধরে রাখা গেল না। সমুদ্রের তলদেশে সেই সঞ্চিত শক্তি একসঙ্গে নির্গত হ’ল, যা প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেটটিকে এক ধাক্কায় ঢুকিয়ে দিল ইউরেশীয় প্লেটের তলায়। সমুদ্রের তলদেশে বাড়ল ফাটল। সৃষ্টি হ’ল রিখটার স্কেলে ৮.৯ তীব্রতার প্রচন্ড  ভূমিকম্প। সমুদ্র তলদেশে নির্গত বিপুল পরিমাণ শক্তি সমুদ্রের জলকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে নীচ থেকে উপরে তুলে আনল। তীব্রগতিতে বিপুল শক্তি নিয়ে সেই জল আছড়ে পড়ল জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলে। এটাই সুনামী। ভূবিজ্ঞানীদের মতে, ঐ ভূপ্রাকৃতিক ক্রিয়ায় সমুদ্রের তলায় যে শক্তি নির্গত হয় তার তীব্রতা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমা শহরে ফেলা পরমাণু বোমার শক্তির তিন কোটি গুণ বেশী।

পৃথিবীর অক্ষরেখা ১০ সেন্টিমিটার সরে গেছে; বেড়ে গেছে পৃথিবীর ঘূর্ণনের বেগ : জাপানে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে পৃথিবীর অক্ষরেখা প্রায় ১০ সেন্টিমিটার সরে গেছে। এদিকে নাসার গবেষণা মতে, জাপানে সুনামির পর থেকে পৃথিবীর আহ্নিক গতির বেগ ১.৮ মাইক্রোসেকেন্ড বেড়ে গেছে, যা এক সেকেন্ডের ২০ লাখ ভাগের এক ভাগ। একটি আহ্নিক গতির বেগ সম্পূর্ণ হয় ৮৬ হাযার ৪০০ সেকেন্ডে। দক্ষিণ কোরিয়ার মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জাপানের ভূমিকম্পে কোরীয় উপদ্বীপ পূর্বদিকে পাঁচ সেন্টিমিটারের বেশি সরে গেছে আর জাপান আরো পূর্বদিকে প্রায় ২ দশমিক চার মিটার সরে গেছে। ফলে দুই দেশের মধ্যকার দূরত্ব দুই মিটারের বেশি বেড়ে গেছে।

নয়দিন পর জীবিত উদ্ধার : ভূমিকম্প ও সুনামীবিধ্বস্ত জাপানে একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে থাকার নয় দিন পর জিন অ্যাবে নামে এক কিশোর ও তার দাদী সুমি অ্যাবেকে গত ২০ মার্চ তাঁদের কাঠের বাড়ির দোতলার রান্নাঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। ভূমিকম্পে বাড়িটি বিধ্বস্ত হয়। ধ্বংসস্তূপের  মধ্যেই ১৬ বছরের অ্যাবে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানীয় সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। শীত নিবারণের জন্য কিছু কম্বলও জোগাড় করে সে। কম্বলের মধ্যে শীত নিবারণের জন্য দাদী ও সে জড়াজড়ি করে থেকেছে।






আরও
আরও
.