রসাতলে

এফ.এম. নাছরুল্লাহ হায়দার

কাঠিগ্রাম, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।

ঝুলছে গলায় পইতা তাবীয

মুখেতে নেই দাড়ি,

টাখনুর নীচে কাপড় সদা

দেখায় ঈমানদারী।

ছালাত-ছিয়াম ইচ্ছা-খুশী

হলে মনে পড়ি

যাকাত ফিৎরা কিসের ওশর?

নিজের পুঁজি গড়ি।

বিলাস বহুল গাড়ী-বাড়ী

কালো টাকার পাহাড়

নিত্য দিনের রিযিক রুযী

অসৎ পথের আহার।

ঈমান-আমল ছালাত ছিয়াম

গেছে রসাতলে

গযব-দুর্ভোগ নাইকো এর শেষ

মারছে খরা জলে।

মুসলিম আজ অনেক দূরে

ছেড়ে পাক কুরআন,

চলছে দেশে মানব রচিত

আইন ও সংবিধান।

স্বার্থ বুঝে ইসলামকে আজ

করছি ব্যবহার

স্রষ্টা যিনি এক দিন তিনি

হিসাব নিবেন তার।

যত তোমার ক্ষমতার বড়াই

দেখাও বাহাদুরী

একটি সেকেন্ড পাবে নারে

হলে নোটিশ জারী।

পর পারের হিসাব-নিকাশ

সময় থাকতে কর,

রবের বিধান আল-কুরআনের

পথটি সবাই ধর।

***

প্রার্থনা

হাবিলদার মুহাম্মাদ আনীসুর রহমান

পুলিশ একাডেমী, সারদা, রাজশাহী।

হে প্রভু! দাও শক্তি বেঁচে থাকার মত

সুহালে যেন পেরুতে পারি সামনে বাধা যত।

আসে যদি সামনে শত বাধা নত না হয় যেন শির

অটল থাকার সাধ্য দাও প্রভু মানতে শিক্ষা মহাবীর।

পুষ্পের মত যেন গন্ধ বিলাই সবিতার মত আলো

ধরণীর মাঝে পাই যেন করুণা আশিস যত ভালো।

জীবন গগনে না আসে কভু কাল বৈশাখীর ঝড়

কৃপা করে মোদের দান কর প্রভু যা কিছু কল্যাণকর।

তোমার তরেই সর্বশক্তি তুমিই জগৎস্বামী

তাইতো তোমায় স্মরণ করি অহরহ দিবা-যামী।

পাপী আমি গোনাহ আমার কর মার্জনা

স্রষ্টা তুমি মঞ্জুর কর সৃষ্টির এ প্রার্থনা।

***

আলো ও আঁধার

আল-ইমরান

কোর্টবাড়ী, মীরপুর, ঢাকা।

হে মুসলিম কেন বল

করছি তা সবাই যা করে?

জিজ্ঞাসিত হবে তুমি

কি করেছিলে জীবন ধরে?

তোমার হিসাব তুমি দিবে

অন্য কারোর নয়,

সঠিক পথে চলতে পারলে

হবে তোমার জয়।

ভুল যদি সবাই করে

তবুও তা ভুল

মিথ্যা যদি সবাই বলে

সত্য হবে না তা এক চুল?

ইসলাম হচ্ছে পরিপূর্ণ

নেইতো এত খাদ

নতুন কিছু করলে তা

নিশ্চয়ই বিদ‘আত।

বিদ‘আত মানে ভ্রষ্টতা

যার পরিণাম জাহান্নাম,

এত্থেকে মুক্তি পেতে

মেনে চল হাদীছ-কুরআন।

ছালাত পড় জীবন গড়

কুরআন-সুন্নাহ মতে,

পাইবে তবে সঠিক দিশা

থাকবে অহি-র পথে।

কুরআন-হাদীছ পড়লে

তুমি পাইবে সঠিক জ্ঞান

সব সমস্যার অহি ভিত্তিক

পাইবে সমাধান।

***

আল্লাহর লীলা-খেলা

আতাউর রহমান মন্ডল

মুংলী, চারঘাট, রাজশাহী।

গাভী খায় রাতে দিনে নানান খাবার

লতাপাতা ঘাস-ভুষি কত নাম তার।

পেশাব-গোবর হয় আলাদা রকম

লাল লহু ঝরে হ’লে গাভী জখম।

গাভীর যবেহ আমি দেখেছি অনেক

কুরবানী মাঠে হয় রক্তের লেক।

গোস্ত হাড্ডি সীনা কলিজা ও মেটে

আলাদা খামাল করে সব কেটে-কুটে।

সেই গাভী দুধ দেয় অমল-ধবল

শিশু খায় শিশু হয় চপল সবল।

যুবক বুড়োরাও ফায়দা ওঠায়

প্রাণরস থাকে তার প্রতিটি ফোঁটায়।

অলৌকিক লীলা খেলা তোমার মা‘বূদ

গোস্ত-হাড়ের মাঝে রাখ খাঁটি দুধ।

***






আরও
আরও
.