এ জীবনের খাতার পাতায় হিসাব মেলে না ভাবিয়া অবাক হই
আপনজনেরে খুঁজি ফিরিনু এভবে আপন কই?
এ জীবনে কারো আশা-আকাঙ্ক্ষার নেই শেষ
স্বার্থ থাকিলে সকলই মেলে, স্বার্থ ফুরালে নেই কোন লেশ।
বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন মাতা-পিতা ভাই ও বোন
নিঃস্বার্থ কাকেও খুঁজিয়া পাবে না মথিয়া পৃথ্বীকোণ।
কত জনেরে ভাল বলিলাম ভাল যে ভাবিয়া তাই
স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটিলে সেথায় ভালবাসা আর নাই।
সুখে ও দুখে কত জনেরে দেখিতে গেলাম হায়
কিন্তু আমারে তেমন কেউ দেখিতে এলো না ভাই।
কত জনেরে ভালবাসিলাম কাঁদিলামও তার তরে
কিন্তু চোখের আড়াল হ’লে সে যায় লক্ষ যোজন দূরে।
খবরও লয় না মনেও হয় না যেন শুধু ক্ষণিকের পরিচয়
মনের আয়না হ’তে সব স্মৃতিটুকু যেন চিরতরে মুছে যায়।
স্বার্থের দুনিয়া স্বার্থের পৃথিবী স্বার্থের শিকলে বাঁধা
স্বার্থেরই কেবল খেলাখেলি চলে সবই তা গোলক ধাঁধা।
নেতৃত্ব কর্তৃত্ব ও বড়তেবর অহংকারে
রাখিছে ঘিরিয়া অধিকাংশ এ বিশ্বের মানবেরে।
বিনিময় ছাড়া ভালবাসাটারে খুঁজিনু জীবন ধরে
বিনা বিনিময়ে কেউ কোন দিন ভালবাসিল না মোরে।
তাবৎ পৃথিবী ঘুরিতে পরিনি খবর লয়েছি তবু
বিনা বিনিময়ে ভালবাসা-বাসি দেখিনি কখনও কভু।
একটা কথা জেনে রেখো ভাই স্বার্থপরের জান্নাত নাই
জীবন ধরিয়া সাধনা করিলে কখনো পাবে না তাই।
জীবন ধরিয়া বহু হাতড়িয়া পাইনু সে একজন
স্বার্থ ছাড়াই ভালবাসেন কোন বিনিময় চাহেন না কখন।
আর কেউ নন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা বিশ্ব স্রষ্টা যিনি
অভাবমুক্ত কোন সৃষ্টির কাছে মুখাপেক্ষী নন তিনি।
কেউ মানুক না মানুক তবুও তাঁর রহমত দুনিয়া ঘিরিয়া থাকে
তাঁর রহমত দান করে যান না থাকিয়া অবলোকে।
বন্ধ করেননি আলো ও বাতাস দৃষ্টি শ্রবণ চলৎ শক্তি
আহার করিতে গিয়াছেন সবারে পেটটি পুরিয়া খাবার তৃপ্তি।
রাববুল আলামীন তাঁর ভালবাসা একটু ছাড়িলেন ভবে
তাই তাঁর সৃষ্টির সবাই ক্ষণিকের তরে একে অন্যেরে আপন ভাবে।
অনেক নবীর শেষে আখেরী নবী পাঠালেন রাববুল আলামীন
প্রচার ও পালন করবার তরে দানিলে ধর্ম-দ্বীন।
তাঁর মনোনীত ধর্ম ইসলাম যার নাম
অন্ধকারে পথ দেখাতে নাযিল করলেন পাক কুরআন।
হাতে ও দাঁতে শক্ত করে ধরতে বললেন তাহা
রাসূলের কাছে অহী মারফত নাযিল করলেন যাহা।
একে অন্য থেকে বিচ্ছিন্ন না হ’তে পাঠালেন শেষ বাণী
তাই এসো বিশ্ব মুসলিম ভাই ও বোনেরা রাসূলের আদর্শ মানি।
সকল বিভেদ ফিরক্বা ভুলিয়া মুসলিম ঐক্য গড়ি
আখেরাত ও জান্নাত লাভে অহি-র পথটি ধরি।