ইউটিউবে বিচিহীন (সিডলেস) কুল চাষ দেখে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছেন মাগুরা সদর উপযেলার দ্বারিয়াপুর গ্রামের নাছির আহমাদ। বিচি না থাকায় বাযারে এই কুলের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক।

এ কুল দেখতে অনেকাংশে লাল, কিছুটা সবুজ। দেশি কুলের থেকে এর স্বাদ খুবই মিষ্টি। সাধারণ দেশি কুলের ভেতরে আঁটি বা বিচি থাকে কিন্তু এ কুলের ভেতরে তা নেই।

এ ব্যাপারে নাছির অ্যাগ্রোফার্ম অ্যান্ড নার্সারীর মালিক মুহাম্মাদ নাছির বলেন, মৌসুমের শুরুতে ৪ একর জমিতে দুই হাযার বিচিহীন (সিডলেস) চারা রোপণ করি। ৪-৫ মাসের মধ্যে ফুল আসে এবং প্রচুর পরিমাণে কুল ধরে। আমার বাগান থেকে এ কুল হারভেস্ট করা শুরু হয়েছে। স্থানীয় কিছু ব্যাপারীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমার এখান থেকে কুল যাচ্ছে। 

তিনি বলেন, এ কুলের সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য ভেতরে বিচি নেই। খেতে খুবই সুস্বাদু। অন্য কুল থেকে বাযারে এর চাহিদা অনেক বেশি। যেহেতু এটা আনকমন সেহেতু আমি অন্য কুল থেকে বাযার মূল্য বেশি পাচ্ছি।

তিনি জানান, এ কুল চাষ করতে ৪ লাখ ২০ হাযার টাকার মতো খরচ হয়েছে। ইতিমধ্যে দুই একর জমির কুল ছয় লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। বাকি দুই একর জমির কুল ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আমার থেকে শতাধিক লোক চারা নিয়ে বাগান করেছেন। চারা বিক্রি করেও বেশ লাভ হচ্ছে।

মাগুরা উদ্যানতত্ত্ববিদ মনীরুয্যামান বলেন, প্রথমবারের মতো মাগুরাতে এ কুলের চাষ হয়েছে। নাছিরকে কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। এ কুলের জাতের চাষ সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১৬ সালে ফলের চাষ শুরু করেন নাছির। প্রথমে ৫ শতাংশ জমিতে চাষ করলেও বর্তমানে তিনি ১০০ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করছেন।

[সংকলিত]






আরও
আরও
.