নাইজেরিয়ায় মুসলিম-খৃষ্টান দাঙ্গায় নিহত ৫ শতাধিক
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় প্লেটেও প্রদেশের রাজধানী জস-এর দক্ষিণে দোগো নাহাওয়া গ্রামে গত ৭ মার্চ মুসলিম-খৃষ্টান দাঙ্গায় ৫ শতাধিক লোক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অনেকে। নিহতদের গণকবর দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, আক্রমণকারীরা গ্রামের ঘরবাড়ী লক্ষ্য করে গুলী ছুঁড়তে থাকলে লোকজন ঘরবাড়ী ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। এ সময় হামলাকারীরা ধারালো তরবারী দিয়ে তাদের হত্যা করে। অতীতে ২০০১ এবং ২০০৮ সালে এখানে খৃষ্টান-মুসলিম দাঙ্গা হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারীতে দাঙ্গার প্রেক্ষিতে জস নগরীতে এখনো কার্ফু বলবৎ রয়েছে। গত জানুয়ারীর খৃষ্টান-মুসলিম দাঙ্গায় ২শ’ লোক নিহত হয়। জস নগরী খৃষ্টান ও মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় বিভক্ত। এখানকার লোকজনকে আদিবাসী এবং বসতি স্থাপনকারী এ দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। জস নগরীতে বসবাসকারী হাউসা ভাষী মুসলিমদের বসতি স্থাপনকারী হিসাবে বিবেচনা করা হয়। অথচ তারা বহুকাল ধরে জসে বসবাস করে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্ট
ইউরোপে মুসলমানরা নিপীড়নের শিকার
ইউরোপে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের সহিংসতা কম হ’লেও তাদের প্রতিনিয়ত ভয়-ভীতি দেখানো হয় এবং সুযোগ পেলেই মুসলমানদের অশ্লীল ভাষায় গালি দেয়া হয়। এ সংবাদ প্রকাশ করেছে মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্ট। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, সারা ইউরোপে যেভাবে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে তা রীতিমত উদ্বেগজনক ও দুঃখের বিষয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর গত ১১ মার্চ মানবাধিকার রিপোর্ট ২০০৯-এ জানায়, সুইজারল্যান্ড মসজিদের মিনার নির্মাণ বন্ধ করেছে। সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানী ও নেদারল্যান্ডের মুসলিম মহিলাদের মাথায় হিজাব ও বোরক্বা পরিধানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। নেদারল্যান্ডে কারণে অকারণে মুসলিম নাগরিকদের রাস্তা-ঘাটে ও খেলার মাঠে বিদ্বেষমূলক ও অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করা হয়। এ রিপোর্টে চীনের জিনজিয়াংয়ে মুসলিম নিপীড়নের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
ইরাকে বছরে এক হাযার বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হচ্ছে
ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের পরে সেখানকার পরিবেশ কলুষিত হয়ে পড়েছে। মার্কিন বাহিনীর মারণাস্ত্রের তেজস্ক্রিয়ায় দেশটির ফাল্লূজাহ শহরে প্রতি বছর এক হাযার বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হচেছ। ঐ শহরে প্রতিদিন যেসব নবজাতকের জন্ম হচ্ছে তারা জন্মগত ত্রুটি নিয়ে পৃথিবীতে আসছে। একজন চিকিৎসক বলেন, তারা প্রতিদিন দু’টি বা তিনটি নবজাতকের জন্ম হ’তে দেখছেন বিকলাঙ্গ অবস্থায়।