বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টাওয়ার নির্মিত হচ্ছে মক্কায়
মক্কায় বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টাওয়ার নির্মাণের কাজ চলছে। এতে স্থাপন করা হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘড়ি। এই টাওয়ারের নাম ‘মক্কা রয়েল ক্লক টাওয়ার’। এর উচ্চতা হবে ৮১৭ মিটার। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার দুবাইয়ের ‘বুর্জ খলীফা’র উচ্চতা ৮২৮ মিটার। সঊদী সরকারের পক্ষে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বিন লাদেন গ্রুপ এ টাওয়ার তৈরী করছে। এ টাওয়ার আগামী জুন মাসে জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হবে। পবিত্র রামাযান মাসের আগে জুলাইয়ের শেষ দিকে এই টাওয়ারে চালু করা হবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ঘড়ি। এই ঘড়ি হবে লন্ডনে অবস্থিত বিখ্যাত ‘বিগ বেল’ এর চেয়ে ছয়গুণ বড়। প্রকল্পের মহাব্যবস্থাপক জানান, টাওয়ারের ৬৬২ মিটার পর্যন্ত অবকাঠামো নির্মিত হবে কংক্রিটে। তারপর থেকে উপরের দিকে ১৫৫ মিটার পর্যন্ত নির্মিত হবে ধাতব অবকাঠামোর উপর। যে অংশটুকু কংক্রিটে নির্মিত হবে তার উচ্চতা বর্তমান বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টাওয়ার তাইওয়ানের ‘তাইপে ১০১’-এর চেয়েও বেশী হবে। তাইপে ১০১-এর উচ্চতা হচ্ছে ৫০৮ মিটার। জার্মানীর তৈরী ৪৫ মিটার প্রশস্ত ও ৪৩ মিটার লম্বা ঘড়ি টাওয়ারে বসানো হবে। এটি টাওয়ারের চারপাশ থেকেই দেখা যাবে। রাতের বেলায় ১৭ কিলোমিটার এবং দিনে ১১-১২ কিলোমিটার দূর থেকে ঘড়িটি নযরে আসবে। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে তিনশ’ কোটি মার্কিন ডলার। এতে তিন হাযার কক্ষ থাকবে।
সাদ্দামের বাড়ীগুলো পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তর করা হচ্ছে
ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন তার প্রাসাদোপম বাড়ীগুলোকে ধরার স্বর্গোদ্যান করে গড়ে তুলেছিলেন। আর এখন বিদেশী বিনিয়োগকারীরা তার এ প্রাসাদগুলোকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে চাইছে। সূত্র মতে, সাদ্দামের পরিত্যক্ত ৭৬টি বাড়ী এবং তিকরিতের শত শত একর জমিই হতে পারে অর্থসংকট জর্জরিত এ অঞ্চলের সম্ভাবনাময় স্বর্ণ খনি। সাদ্দামের এ বিশাল কীর্তি গড়ে উঠেছে বাগদাদের ১৫ মাইল উত্তরে শক্তিশালী আদিবাসী ঘাঁটি তিকরিতে। এর মধ্যে ছয়টি ভিলা তিনি বানিয়েছিলেন তার জন্মস্থান আল-আজওয়া গ্রামে। এরপর তিনি বানান সবচেয়ে বড় তিকরিত প্রাসাদ কমপ্লেক্স। কৃত্রিম হরদ আর ফলের বাগান বেষ্টিত এক হাযার একরেরও বেশী জায়গা জুড়ে মোট ১৩৬টি ভবন আছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী।
তৃতীয় প্রজন্মের সেন্ট্রিফিউজ চালুর ঘোষণা ইরানের
ইরান আরও দ্রুতগতিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে সক্ষম নতুন ধরনের সেন্ট্রিফিউজ চালুর ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞার হুমকির মুখেও পরমাণু কর্মসূচী এগিয়ে নেয়ায় অটল থাকার ইঙ্গিত দিল ইরান। ইরানের বার্ষিক জাতীয় পরমাণু দিবস উপলক্ষে এক ভাষণে ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান আলী আকবর ছালেহী বলেন, ইরান এখন তৃতীয় প্রজন্মের সেন্ট্রিফিউজ চালু করবে। প্রথম প্রজন্মের সেন্ট্রিফিউজের তুলনায় এ প্রজন্মের সেন্ট্রিফিউজে ১০ গুণ বেশী দ্রুততায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা যাবে। ইরান বর্তমানে যেসব সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহার করছে সেগুলো তৈরী করা হয়েছে ১৯৭০-এর দশকের মডেল অনুযায়ী।