স্বদেশ

দুর্নীতি দেশের সব জায়গায়

-অর্থমন্ত্রী

দেশের সর্বত্রই দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে বলে স্বীকার করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহীত। তিনি বলেন, ‘দেশের সব জায়গায় দুর্নীতি। বিচার প্রশাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভূমি, কর আদায়কারী সংস্থা থেকে শুরু করে থানা পর্যন্ত এই দুর্নীতি বিস্তৃত। দেশে সুশাসন না থাকার অন্যতম দুই কারণ হচ্ছে দুর্নীতি এবং আইনের শাসনের অভাব’। গত ১৯ মে অর্থমন্ত্রী এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ‘আমি আরো বিশ্বাস করি যে দেশের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য এ দু’টি খাত ব্যাপক দুর্নীতিগ্রস্ত’।

বাংলাদেশে কালো টাকা জিডিপির ৩৭ শতাংশ

বাংলাদেশে কালো টাকার হার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩৭ শতাংশ। এই হিসাবে কালো টাকার পরিমাণ প্রায় এক লাখ ৪৩ হাযার কোটি টাকা। অস্ট্রিয়ার জোহান্স কেপলার ইউনিভার্সিটি অব লিনজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফ্রেডারিক স্নাইডারের গবেষণায় বাংলাদেশের কালো টাকার এই পরিমাণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ‘বিশ্বব্যাপী ছায়া অর্থনীতি : ১৬২টি দেশের নতুন হিসাব’ নামের এই গবেষণা গত বছর প্রকাশিত হয়। তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সমীক্ষা অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে কালো টাকা জিডিপির সর্বনিম্ন ৪৬ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৮১ শতাংশ। এই হিসাবে বাংলাদেশের কালো টাকার পরিমাণ সর্বনিম্ন এক লাখ ৭৭ হাযার ৪৭ কোটি টাকা এবং সর্বোচ্চ তিন লাখ ১০ হাযার ৯৮৭ কোটি টাকা।

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে চুনাপাথরের খনির সন্ধান লাভ

‘বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর’ (জিএসবি) ধারণা করছে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় যেলা জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আবিষ্কৃত খনিতে বড় ধরনের চুনাপাথরের মজুদ রয়েছে। তিন মাসেরও বেশী সময় ধরে খনন কাজ চালিয়ে গত ২ জুন এই খনিতে চুনাপাথরের সন্ধান পাওয়া যায়। গত এপ্রিলে ভূতাত্ত্বিক জরিপের ভিত্তিতে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে অবস্থিত এই খনি এলাকায় অনুসন্ধান কূপ খনন শুরু করেছিল জিএসবি। এর আগে জয়পুরহাটের জামালগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের টেকেরহাট এলাকাতেও চুনাপাথরের সন্ধান পেয়েছিল জেএসবি। পরবর্তীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এই দু’টি প্রকল্প থেকে চুনাপাথর উত্তোলন লাভজনক হবে না বলে জানানো হয়েছিল। ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুনিরা আক্তার চৌধুরী জানান, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১ হাযার ৪৯৮ ফুট গভীর পর্যন্ত খনন শেষে চুনাপাথরের বড় মজুদ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই খনির পুরুত্ব হবে প্রায় একশ’ ফুট। তিনি জানান, চুনাপাথরের এ খনি অঞ্চলটি দৈর্ঘ্যে ১২ কিলোমিটার ও প্রস্থে ৮ কিলোমিটার।

সিপিডির মূল্যায়ন

তিন বছরের মধ্যে দেশের অর্থনীতির অবস্থা সবচেয়ে খারাপ

সরকারী ও বেসরকারী উভয় খাতে বিনিয়োগ স্থবির হয়ে আছে। সম্প্রতি উৎপাদন ও রফতানীতে প্রবৃদ্ধি কমেছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) বাস্তবায়নে বিরাজ করছে বেহাল দশা। সরকারের আয়-ব্যয় ব্যবস্থাপনায়ও বড় ধরনের ত্রুটি রয়েছে। এতে সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলো বড় ধরনের চাপে পড়েছে। এসব বিবেচনায় চলতি অর্থবছরকে বর্তমান সরকারের সবচেয়ে দুর্বলতম বছর হিসাবে অভিহিত করেছেন বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগে’র (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, রেন্টাল ও কুইক রেন্টালে বিশাল ভর্তুকির কারণে দেশের অর্থনীতির অবস্থা নাজুক। আগামী অর্থবছরেও সরকার ভর্তুকির ধারা থেকে বের হতে পারবে না। এতে আগামী অর্থবছর হবে অর্থনীতির বিপর্যয়ের বছর।

২০১২-১৩ অর্থবছরের বিশাল বাজেট

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহীত গত ৭ জুন জাতীয় সংসদে ২০১২-১৩ অর্থবছরের জন্য ১ লাখ ৯১ হাযার ৭৩৮ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করেছেন। প্রস্তাবিত বাজেট চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরের তুলনায় ৩০ হাযার ৫৩৫ কোটি টাকা অর্থাৎ শতকরা প্রায় ১৯ ভাগ বেশী। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রায় ৬ হাযার কোটি টাকার বৈদেশিক অনুদানসহ সরকারের সর্বমোট আয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাযার ৭১৪ কোটি টাকা। সামগ্রিক বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ৫২ হাযার ৬৮ কোটি টাকা (অনুদান ব্যতীত), যা জিডিপির ৫ শতাংশ। বাজেটে স্থানীয়ভাবে মোট রাজস্ব আয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাযার ৬৭০ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ২০ হাযার কোটি টাকা বেশী এবং বার্ষিক মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ। এর মধ্যে এনবিআরের রাজস্ব দেখানো হয়েছে ১ লাখ ১২ হাযার ২৫৯ কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত রাজস্ব ৪ হাযার ৫৬৫ কোটি এবং কর বহির্ভূত রাজস্ব ২২ হাযার ৮৪৬ কোটি টাকা। বাজেটের ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক উৎস থেকে ২০ হাযার ৩৯৮ কোটি টাকা (জিডিপি’র ২ শতাংশ) এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৩৩ হাযার ৪৮৪ কোটি টাকা (জিডিপি’র ৩.১ শতাংশ) ঋণ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ২৩ হাযার কোটি টাকা (জিডিপি’র ২.১ শতাংশ) এবং ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে ১০ হাযার ৪৮৪ কোটি টাকা (জিডিপি’র ১ শতাংশ) নির্বাহের সংস্থান রাখা হয়েছে। বাজেট ব্যয়ের মধ্যে এবার খাতওয়ারী সবচেয়ে বেশী বরাদ্দ রাখা হয়েছে জনপ্রশাসন খাতে ১৪ শতাংশ। এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ২৪ হাযার ১১১ কোটি টাকা। দেশী-বিদেশী ঋণের সূদ পরিশোধে ব্যয় হবে বাজেটের ১২ দশমিক ২ শতাংশ। শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ১১ শতাংশ বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেট প্রস্তাবে আগামী অর্থবছরে জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ হার সাড়ে ৭ শতাংশ।

যেসব জিনিসের দাম কমতে পারে :

যেসব জিনিসের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো হ’ল ভোজ্যতেল, মোটরসাইকেল, বিদেশী রেফ্রিজারেটর, বিস্কুট, চানাচুর, লজেন্স, সাবান, জুতা ও স্যান্ডেল, সার ও কৃষি উপকরণ প্রভৃতি। তবে প্রকৃত বাজারচিত্র পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, যেসব পণ্যের দাম কমার কথা বলা হয়েছে সেগুলোর দাম কমেনি। বরং ব্যবসায়ীরা মজুদ করে পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

যেসব জিনিসের দাম বাড়তে পারে :

যেসব জিনিসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো হ’ল সিগারেট, গাড়ি, এয়ার কন্ডিশনার, বৈদ্যুতিক পাখা, বিভিন্ন ফল, বিদেশী সিরামিক পণ্য, আমদানী করা পানি প্রভৃতি।

দেশে ৩ কোটি ৬৮ লাখ মানুষ নিরক্ষর

দেশের ১৫ কোটি মানুষের মধ্যে ৩ কোটি ৬৮ লাখ মানুষ নিরক্ষর। গত ২ জুন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে মানব উন্নয়নের জন্য সাক্ষরতা-উত্তর ও অব্যাহত শিক্ষা প্রকল্প-২ এর ৩ সাইকেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. আফসারুল আমীন এ তথ্য দেন।

বিদেশ

ভারতে প্রতিদিন ৩২ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যায়

এক সমীক্ষায় জানা গেছে, ভারতে প্রতিদিন ৩২ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যায়। ভারতে অনাহারী এবং অপুষ্টির শিকার লোকদের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার সমান। ভারতে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৪২ শতাংশেরই ওযন কম। এ সংখ্যা সাব-সাহারান আফ্রিকার প্রায় দ্বিগুণ। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, অপুষ্টিকর খাবার গ্রহণের কারণে সৃষ্ট রোগব্যাধিতে ভারতে দৈনিক ৩ হাযার  শিশু মারা যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, পুরো জনসংখ্যাকে বিবেচনায় নিলে ভারতের প্রায় ৫০ শতাংশ বা মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই অপুষ্টির শিকার। ২০১১ সালের ‘গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স’ অনুযায়ী পৃথিবীর ৮৭টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ৬৭তম। ভারতের অবস্থা দুর্ভিক্ষপীড়িত রুয়ান্ডার চেয়েও খারাপ।

ভারতীয় দাতব্য প্রতিষ্ঠান নন্দী ফাউন্ডেশনের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভারত স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির মাত্র ১.২ শতাংশ ব্যয় করে থাকে। এটা পৃথিবীর অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে কম। ভারতের মধ্যপ্রদেশের চিত্র সবচেয়ে ভয়াবহ। এখানে প্রতি ১ হাযার শিশুর মধ্যে ৫ বছর হওয়ার আগেই ১০৩টি শিশু মারা যায়। ইউনিসেফের হিসাবে, ভারতে ৫ বছর হওয়ার আগেই ১ হাযার শিশুর মধ্যে ৬৬ জন মারা যায়।

[অথচ ভারতেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধনীদের বাস। পৃথিবীর ১ম ও ২য় ধনী ব্যক্তি ভারতের। ভারতের টাটা-বিড়লা, মিত্তাল, সাহারা প্রভৃতি ব্যবসায়ী গ্রুপ বিশ্বসেরা ব্যবসায়ী গ্রুপ বলে পরিচিত। পুঁুজিবাদী অর্থনীতি ও তার সহযোগী গণতান্ত্রিক রাজনীতির এটাই হল বাস্তব পরিণতি। ভারত হ’ল বর্তমান বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। আর এদেশটিই তাদের জনগণের রক্ত চুষে হাড্ডিসার করে দিচ্ছে। দিন দিন ফুলে স্ফীত হচ্ছে হাতে গণা কয়েকটি ব্যবসায়িক গ্রুপ। অবাধ পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক দর্শনই এজন্য দায়ী। অথচ প্রয়োজন ছিল অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার। যা কেবল ইসলামী অর্থনীতিতেই সম্ভব (স.স.)]

এক-তৃতীয়াংশ বিয়ে বিচ্ছেদের কারণ ফেইসবুক

সারা বিশ্বের মোট বিয়ে বিচ্ছেদের এক তৃতীয়াংশ ঘটনার জন্য সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ফেইসবুককে দায়ী করা হচ্ছে। সম্প্রতি ৫ হাযার বিয়ে বিচ্ছেদের আবেদন পর্যালোচনা করে ব্রিটিশ আইনি সংস্থা ‘ডিভোর্স অনলাইন’ একথা জানিয়েছে। তাদের সমীক্ষায় দেখা যায়, গত বছরে ঘটা বিয়ে বিচ্ছেদের ৩০ শতাংশের বেশী কারণ হিসাবে ফেইসবুকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ ২০০৯ সালে এ হার ২০ শতাংশ ছিল। আমেরিকান একাডেমী অব ম্যাট্টিমোনিয়াল লইয়ার্স’র তথ্য অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের ৮০ শতাংশ অ্যাটর্নির মতে, সামাজিক নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত বিয়ে বিচ্ছেদের হার অনেক বেড়েছে।

মার্কিন সেনাবাহিনীতে প্রতিদিন ১ জন করে সৈন্য আত্মহত্যা করছে

মার্কিন সেনাবাহিনীতে এ বছর আত্মহত্যার হার খুব বেড়ে গেছে। প্রতিদিন গড়ে একজন করে মার্কিন সেনা আত্মহত্যা করছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দফতর পেন্টাগনের এক পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে। পেন্টাগন জানায়, এ বছরের ৩ জুন পর্যন্ত কর্তব্যরত সেনাদের মধ্যে ১৫৪ জন আত্মহত্যা করেছে। গত বছর এ সময় পর্যন্ত আত্মহত্যা করে ১৩০ সেনা। একই সময় মার্কিন যুদ্ধসেনার মৃত্যুর হারের চেয়ে এই হার অনেক  বেশী। যেসব সেনা বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশ নিয়েছে, তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশী বলে পেন্টাগন জানায়। আত্মহত্যার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে- রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া, যুদ্ধোত্তর মানসিক পীড়ন, ওষুধের অপব্যবহার এবং ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক দুর্গতির কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে।

বিশ্বে তরুণ বেকারের সংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার মুখে চাকরির বাজারে দেখা দিয়েছে ব্যাপক মন্দা। ‘ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন’ (আইএলও)-এর তথ্য মতে, বিশ্বে এখন কর্মক্ষম তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার প্রায় ১৩ শতাংশ। অর্থাৎ বিশ্বে এই মুহূর্তে সাড়ে সাত কোটি তরুণরেই আক্ষরিক অর্থে কোন কাজ নেই।

কার্বন নির্গমনে চীন শীর্ষে

গত বছর বিশ্বে রেকর্ড পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়েছে। যাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন। প্যারিসভিত্তিক আন্তর্জাতিক জ্বালানী সংস্থা ‘আইইএ’ জানায়, প্রাথমিক হিসাবে গত বছর কার্বন নির্গমন ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ৩১ দশমিক ৬ গিগাটনে পৌঁছেছে। তাদের কার্বন নির্গমনের হার ৯ দশমিক ৩ শতাংশ হারে বাড়ছে।

বিশ্বের ৭৩ শতাংশ রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে

বিশ্বজুড়ে ৫০ হাযার টন রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। ১৮৮ সদস্যের ‘ইন্টারন্যাশনাল কেমিক্যাল ওয়েপন্স কনভেনশন’ একথা জানিয়েছে। এ পরিমাণ বিশ্বে মোট মজুদের ৭৩ শতাংশ। এদিকে মোট মজুদের ৬২ শতাংশ রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করেছে রাশিয়া। এ পর্যন্ত উল্লেখিত সংস্থা ২৫ হাযার টন (১ টন=১০০০ কেজি) রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করেছে। আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র বিষয়ক সনদের সদস্য ১৮৮টি দেশ ২০১২ সালের মধ্যে পৃথিবীকে রাসায়নিক অস্ত্র মুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

[হাযারো দুঃসংবাদের মধ্যে এটি একটি সুসংবাদ। এজন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ। তবে এ যেন পুরনো অকেজো মজুদ ধ্বংস করে নতুন মজুদ গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে না হয় (স.স.)]

নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় বছরে মারা যায় ২০ লাখ শিশু

বিশ্বে শিশু মৃত্যুর জন্য যে কটি রোগ সবচেয়ে বেশী দায়ী তার অন্যতম নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া। বিশেষ করে দরিদ্র দেশে এ দু’টি রোগে শিশুরা বেশী মারা যায়। জাতিসংঘ শিশু তহবিলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে প্রতি বছর ২০ লাখেরও বেশী শিশু এ দু’টি রোগে মৃত্যুবরণ করে, যা ৫ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহারের ২৯ শতাংশ।

পাকিস্তানে ড্রোন হামলা চলবে

-মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

পাকিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলার স্বপক্ষে আবারও নিজেদের অনড় অবস্থান ব্যক্ত করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেট্রা। ড্রোন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানের পার্বত্য অঞ্চলে আশ্রয় নেয়া শীর্ষ আল-কায়েদা নেতা আবু ইয়াহইয়া আল-লিববীর মৃত্যুর দাবির দু’দিন পরেই ড্রোন হামলার স্বপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আবার পরিষ্কার করলেন প্যানেট্রা। উল্লেখ্য, চলতি বছর পাকিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলায় ১৫০ জনেরও বেশী মানুষ নিহত হয়েছে।

[জী হাঁ! পাকিস্তানীরা মানুষ নয়। ওরা মুসলমান। ওদের এভাবে মরাই কাম্য (স.স.)]






সোনার চেয়ে দামী যে পাথরখন্ড
হালাল পণ্য রফতানীতে বাংলাদেশ পিছিয়ে
৪০ জন মুমূর্ষ শিশুকে দত্তক নিয়ে আলোচনায় মুহাম্মাদ বাজেক
স্মার্টফোন কিনতে সন্তান বিক্রি
সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী ফুটবলারদের বিষয়ে যা বললেন মাওলানা আহমাদুল্লাহ
স্বদেশ-বিদেশ
কুরআন হিফযে ৪ সন্তানের জননীর অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন
শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের বিনামূল্যে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কর্মসূচী চলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে
রোহিঙ্গারা বাঙালী, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হ’তে হবে - -মিয়ানমার সেনাপ্রধান
১০ বছরের গবেষণায় কৃত্রিম হাড় তৈরি করল ইরান
ময়মনসিংহে প্রকাশ্যে গলা কেটে যুবক খুন
গোপালগঞ্জ কারাগারের মাদকাসক্তরা ফিরছে সুস্থ জীবনে
আরও
আরও
.