বিশ্বে মোট মসজিদ ২৫ লাখ
নগরী হিসাবে ঢাকায় সবচেয়ে বেশী মসজিদ
মুসলিম
সমাজ আবর্তিত হয় মসজিদকে কেন্দ্র করে। ফলে যেখানেই মুসলমান আছে, সেখানেই
আছে মসজিদ। মসজিদ ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ছালাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
বিশ্বে মোট মসজিদের সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ বলে বিভিন্ন পরিসংখ্যানে জানা
গেছে।
দেশ অনুযায়ী সবচেয়ে বেশী মসজিদ আছে ভারতে। সেখানে মসজিদের
সংখ্যা প্রায় তিন লাখ। আর বাংলাদেশে মসজিদের সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। দেশের
আয়তনের সাথে সংখ্যার তুলনা করলে বাংলাদেশেই মসজিদের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশী। আর
নগরী হিসাবে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় রয়েছে সবচেয়ে বেশী মসজিদ। ‘ইসলামিক
ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’-এর হিসাব অনুযায়ী, ঢাকায় মসজিদের সংখ্যা প্রায় ছয়
হাযার। তবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ইরাকের ফালুজা শহরকে মসজিদের নগরী হিসাবে
উপস্থাপন করা হচ্ছে। সেখানে মসজিদের সংখ্যা দুই শতাধিক।
৬৫ বছর পর সীমান্তে ৭৫ বিঘা জমি উদ্ধার
দীর্ঘ
৬৫ বছর ভারতের দখলে থাকার পর চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপযেলার বেণীপুর
সীমান্তবর্তী ৭৫ বিঘা বাংলাদেশী জমি অবশেষে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড
বাংলাদেশ (বিজিবি)। উদ্ধার করা জমিতে সাদা নিশান টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত ৬৫ বিঘা ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ১০ বিঘা জমিতে
প্রবেশের অধিকার ফিরে পাওয়ায় সীমান্তবর্তী মানুষের মধ্যে আনন্দের বন্যা
বইছে।
বিজিবি ৬ ব্যাটালিয়ন চুয়াডাঙ্গার পরিচালক লেফটেন্যান্ট
কর্ণেল এস এম মনিরুয্যামান এ সম্পর্কে জানান, অপদখলীয় এ জমি উদ্ধারে গত
প্রায় চার মাস আগে কাজ শুরু করে বিজিবি। প্রয়োজনীয় দলীলপত্র সংগ্রহের পর
ভারতের সীমানগরের ১৭৩ বিএসএফ কমান্ড্যান্ট অনিল শর্মার সঙ্গে আলোচনা
অব্যাহত রাখা হয়। অবশেষে গত ২৯ জুন জমিটি দখলে নেওয়া সম্ভব হয়। পরে আড়াই
লাখ টাকা খরচ করে জমিটি চাষের উপযোগী করে তোলা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার
অতিরিক্ত যেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মাদ. আবু সাঈদ জানান, উদ্ধার করা
জমির মধ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন ১০ বিঘা জমি কাগজপত্র যাচাইয়ের পর প্রকৃত
মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। বাকি ৬৫ বিঘা সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত। ঐ জমিও
শিগগিরই ভূমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত দেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্বের ১১তম জনবহুল শহর
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর জাপানের রাজধানী টোকিও
বিশ্বের
জনবহুল শহর হিসাবে জাপানের রাজধানী টোকিও প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এর
পরই রয়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির নাম। তৃতীয় স্থানটি দখল করেছে চীনের
সাংহাই। জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহরের তালিকায় ১১তম
স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।
গত ১০ জুলাই প্রকাশিত
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর সারা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ বসবাস
করে শহরে। ১৯৫০ সালে এর হার ছিল মাত্র ৩০ শতাংশ। ভবিষ্যতে শহরমুখী মানুষের
এই ঢল আরও বাড়বে। টোকিওতে বর্তমানে অন্তত তিন কোটি ৮০ লাখ মানুষ বসবাস করে।
১৯৯০ সালে শহরটিতে ছিল তিন কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাযার বাসিন্দা। নয়াদিল্লিতে
বর্তমানে থাকে অন্তত আড়াই কোটি মানুষ। ১৯৯০ সালে এ সংখ্যা ছিল ৯৭ লাখ ২৬
হাযার।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ঢাকায় বর্তমানে প্রায় এক কোটি ৬৯ লাখ ৮২
হাযার লোকের বসবাস। ১৯৯০ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬৬ লাখ ২১ হাযার। সবচেয়ে বেশী
নগরায়ণ হয়েছে উত্তর আমেরিকায়। সেখানে ৮২% মানুষ শহরে থাকে। এরপর রয়েছে
লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ (৮০%)।
বিশ্বের প্রথম জৈব দেশ ভুটান
অসাধ্য
সাধন করতে চলেছে ভুটান। নাগরিকদের সুস্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল
পরিবেশ-বন্ধু ভুটানে ঘটতে চলেছে জৈব চাষের বিস্ফোরণ। অভিনব উদ্যোগ নিলেন
প্রধানমন্ত্রী জিগমী থিনলে। জৈব চাষের উপকারিতা সম্পর্কে সে দেশই সঠিক
বুঝবে, যার প্রধান পেশা কৃষি। হিমালয়ের কোলে ছোট্ট দেশ ভুটান সেই সারমর্ম
উদ্ধার করেছে। গত জুনের রিও প্লাস টুয়েন্টি বৈঠকে দেশজুড়ে জৈব চাষ প্রসারের
ঘোষণা করেছেন থিনলে। ভুটান সরকার পরিচালিত প্রকল্পের নাম ন্যাশনাল
অর্গ্যানিক পলিসি।
প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবং পরিবেশের
ভারসাম্য বজায় রেখে উন্নয়ন ঘটানোই এর মূলমন্ত্র। উদ্দেশ্য রাসায়নিক সার,
কীটনাশক ও ফলনবৃদ্ধির স্প্রে ব্যবহার না করে দেশের মোট ৭ লক্ষ জনগণের জন্য
উৎকৃষ্ট খাদ্যশস্য উৎপাদন করা।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভুটানে
মূলত ভুট্টা, চাল, ফল ও কিছু সবজি উৎপন্ন হয়। তাঁর মতে, ভৌগোলিক অবস্থানের
সুবিধা থাকায় এখানে শতভাগ জৈব চাষ সম্ভব। এখানে কৃষিই প্রধান পেশা। দেশের
বেশির ভাগ জমিতেই কৃষিকাজে কখনও কোন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়নি। চাষবাসে
এখনও প্রাচীন পদ্ধতিই প্রয়োগ হয়ে থাকে। উল্টো দিকে কৃত্রিম সার প্রয়োগ করে
আশানুরূপ ফলনের অভাবে ভারতের কৃষিজীবীদের মধ্যে প্রতি দিন বেড়ে চলেছে
আত্মহত্যার প্রবণতা। তাই সরকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে কোন
সমস্যা হবে না। সুস্থ পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে ভুটানের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে
এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন।
দক্ষিণ তালপট্টি ভারতকে দিয়ে সমুদ্রসীমা ঘোষণা
দক্ষিণ তালপট্টির মালিকানা হারিয়েছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে এই দ্বীপের মালিকানা এখন ভারতের। নেদারল্যান্ডসের স্থায়ী সালিশী আদালত (পার্মানেন্ট কোর্ট অব আর্বিট্রেশন-পিসিএ) গত ৭ জুলাই এ রায় ঘোষণা করেন। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরোধপূর্ণ এলাকা ছিল প্রায় ২৫ হাযার ৬০২ বর্গকিলোমিটার। এ এলাকার ১৯ হাযার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা বাংলাদেশ পেয়েছে। বাকি অংশ পেয়েছে ভারত। বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ দক্ষিণ তালপট্টিকে ভারত তাদের বলে দাবী করলে দু’দেশের মধ্যে সমুদ্রসীমা বিরোধ দেখা দেয়। কিন্তু ভারত নানাভাবে এ যুক্তি খন্ডনের চেষ্টা করে এবং দ্বীপটি অপদখলে নেয়। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ তালপট্টি ভারতকে দিয়েই সমুদ্রসীমা ঘোষণা করা হ’ল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রায়ের ব্যাপারে জানায়, এ বিজয় বন্ধুত্বের বিজয়; এটা দু’দেশের সাধারণ মানুষের বিজয়। আদালতের এ রায়কে স্বাগত জানিয়ে ভারত বলেছে, এই মীমাংসা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা ও সৌহার্দ্য আরো জোরদার করবে।
তবে দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের মালিকানা হারানোয় এই রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশের প্রখ্যাত সমুদ্র বিজ্ঞান ও ভূগোল বিশেষজ্ঞ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুর রব বলেন, দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপটি রেকর্ডপত্রে বাংলাদেশের। একাত্তরের স্বাধীনতার আগে কিছু না বললেও স্বাধীনতার পর থেকে ভারত জোরপূর্বক তালপট্টি দখল করে রেখেছে। সালিশী আদালতে বাংলাদেশ নতুন অঞ্চল লাভ করলেও সরকারের ইচ্ছাকৃত অবহেলা ও উদসীনতার কারণেই বঙ্গোপসাগরে তালপট্টি দ্বীপ হারাতে হয়েছে।
মেরিটাইম বিষয়ক সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অবঃ) খুরশেদ আলম বলেন, ১৯৭০-এর ঘূর্ণিঝড়ের পর দ্বীপটি জেগেছিল। ১৯৮৫ সালে উড়িরচরে যে ঝড় হয়, তারপর থেকে দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপটি আর নেই। ১৯৮৯ সালে স্যাটেলাইটের ধারণ করা ছবিতে এই দ্বীপটির অস্তিত্ব আর পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, ১৯৮০ সাল থেকে বাংলাদেশে যতগুলো মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই তো তালপট্টি নেই। রাজনৈতিক সীমারেখার মানচিত্র দেখিয়ে তিনি বলেন, এখানে কিন্তু তালপট্টি আমাদের না। ১৯৮০ সালের আগে যখন দ্বীপ ছিল তখন অবশ্যই দাবী করেছি। আমাদের কোন মানচিত্রেই আমরা প্রমাণ করতে পারিনি যে, জায়গাটা আমাদের। আমাদের নিজেদের মানচিত্রগুলো আগেই সংশোধন করা উচিত ছিল, কিন্তু করিনি। ২০১০ সালে যে মানচিত্র আমরা সংশোধন করেছি, আদালত তা গ্রহণ করেনি। তিনি বলেন, দীর্ঘ চার বছর নয় মাস আইনী লড়াইয়ের পর এ চূড়ান্ত রায় হাতে পেল বাংলাদেশ। এ রায় আপিলযোগ্য নয়। এ রায়ের ফলে সমুদ্রে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানে আমাদের বিভিন্ন ব্লকের মধ্যে কিছু পরিবর্তন করতে হবে।
বিদেশ
ভারতীয় সুপ্রীম কোর্টের রায়
শরী‘আহ আদালত বৈধ
ভারতের মুসলমানদের জন্য পরিচালিত শরী‘আহ আদালতকে বৈধ বলে এক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। গত ৭ জুলাই দেয়া ঐ রায়ে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, শরী‘আহ আদালতের উপর কোন আইনী নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে আদালত এও বলেছে যে, তাদের ফৎওয়া মানতে কেউ আইনত বাধ্য নয়।
আদালত বলেছে, কোন ধর্মই কারো মৌলিক অধিকার খর্ব করতে পারে না। কেউ স্বেচ্ছায় শরী‘আহ আদালতের শরণাপন্ন হ’লেই কেবল ফৎওয়া জারী করা যাবে। তবে তা মানতে কেউ আইনত বাধ্য নয়।
বিশ্বলোচন মদন নামে দিল্লির একজন আইনজীবী দারুল ক্বাযা ও দারুল ইফতা’র মতো প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত শরী‘আহ আদালতের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন। বিশ্বলোচন তার আবেদনে দাবী করেন যে, শরী‘আহ আদালত অবৈধ। এই আদালত দেশের একটি উপ-আদালত হিসাবে মুসলিম নাগরিকদের ধর্মীয় ও সামাজিক স্বাধীনতার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তার মতে, মুসলমানদের এই মৌলিক অধিকারগুলো মুসলিম সংগঠনগুলোর নিয়োগকৃত কাযী ও মুফতীর দেয়া ফৎওয়ার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ও সংরক্ষণ করা যায় না।
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল সেতু হচ্ছে ভারতে
পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু রেলসেতু তৈরী হচ্ছে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে। ইস্পাতের তৈরী এই রেলসেতুটি তৈরী করছেন দেশীয় প্রকৌশলীরা। হিমালয় পর্বতশৃঙ্গের চন্দ্রভাগা নদীর উপরে তৈরী হচ্ছে এই রেলসেতু। ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারের চেয়ে ৩৫ মিটার উঁচু হবে এই রেলসেতু। ভারতীয় রেলের এক কর্মকর্তা জানান, ১,১৭৭ ফুট উঁচু এবং ১,৩১৫ মিটার লম্বা এই রেলসেতুটি তৈরির কাজ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে। এই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হ’লে জম্মু থেকে বারমুল্লা যেতে সময় লাগবে সাড়ে ছয় ঘণ্টা। এখন একই জায়গায় যাতায়াতে সময় লাগছে ১৩ ঘণ্টা।
২০০২ সালে এই রেলসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেতুর উচ্চতম স্থানে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ২০০৮ সালে আবার নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। সেতুর নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের কোঙ্কন রেলওয়ে কর্পোরেশন। এতে মোট ২৫ হাযার টন ইস্পাত লাগবে। এই সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপি। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেলসেতুটি চীনের গুইঝাউ প্রদেশের পাহাড়ি অঞ্চলের বেইপানজিয়াং নদীর ওপর নির্মিত। এটির উচ্চতা ২৭৫ মিটার। জম্মু ও কাশ্মীরের রেলসেতু চীনের চেয়ে ৮৪ মিটার উঁচু হবে।
মিজোরামে পুনরায় বৈধতা পেল মদ
প্রায় দুই দশক ধরে রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ করে না কমেছে লিভারের রোগ, না কমেছে নেশাগ্রস্তের সংখ্যা। মাঝখান থেকে প্রতি বছর ৩০ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে মিজোরাম। পকেট ফুলেছে কালোবাজারীদের। মদের বিকল্প খুঁজতে বিভিন্ন ক্ষতিকর নেশার দিকে ঝুঁকেছে নতুন প্রজন্ম। অবশেষে তাই গির্জার তীব্র বিরোধ অগ্রাহ্য করেই ‘ড্রাই স্টেট’-এর তকমা ফের ঝেড়ে ফেলল মিজোরাম। গির্জা ও সরকারের চরম বিরোধের মধ্যেই মদ বিক্রি আইনসিদ্ধ হ’ল রাজ্যে। বিল পেশ করা আবগারী মন্ত্রী লাল জিরলিয়ানা প্রেসবিটেরিয়ান স্বয়ং গির্জার সদস্য। তিনি নিজে এই বিল পেশ করার আগে স্থানীয় গির্জার গণপ্রার্থনায় অংশ নিয়ে যিশুর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি বলেন, ‘আমি ঈশ্বরকে বলেছিলাম তিনি সত্যিই বিলের বিরুদ্ধে থাকলে আমি যেন বৃহস্পতিবার বিল পেশ করতে না পারি। কিন্তু ঈশ্বর আমাকে আটকাননি। উপযুক্ত বয়সের মদ্যপায়ীদের ভাল মানের মদ দিতে চলেছি আমরা। মদে ভেজাল মেশালে বা বেআইনীভাবে মদ বিক্রি করলে, মদ খেয়ে গোলমাল বাধালে ও গাড়ি চালালে কড়া সাজা দেওয়া হবে’।
গির্জার চাপে ১৯৯৫ সালে ‘মিজোরাম লিকর টোটাল প্রহিবিসন অ্যাক্ট’ চালু হয়েছিল। কিন্তু মদ্যপান বন্ধ হয়নি। বরং পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে আনা মদ বহুগুণ বেশী দামে বিক্রি হ’তে থাকে। নেশার টানে মিজোরা বিভিন্ন বিকল্প সন্ধান শুরু করে। তার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর ছিল চামড়া পচানো পানি। জারিত তামাকে ঘি মিশিয়ে তৈরী এক রকম নেশাদ্রব্যের প্রভাবে বহু তরুণ-তরুণী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। বিষ মদ পান করে বহু যুবকের মৃত্যুও হয়েছে।
তাই গির্জার নিষেধ না মেনেই নিষেধাজ্ঞা তোলার বিলটি বিধানসভায় পেশ করেন মন্ত্রী। ৪০ জন বিধায়কের মধ্যে ২৫ জন বিতর্কে অংশ নেন। তীব্র বাদানুবাদ ও ৬ জন বিরোধী বিধায়কের ওয়াক-আউটের পরে বিলটি পাশ হয়।