দূষণ কমাবে পোশাক
পোশাক পরে পরিবেশ দূষণ কমানোর উপায় বের করেছেন শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্সের প্রো-ভিসি টোনি রায়ান। তিনি বলেন, পোশাকের যে তন্তু, তাতে যদি ঢুকিয়ে দেয়া যায় দূষণমুক্তির রাসায়নিক, তাহলেই পরিবেশ দূষণ কমানো সম্ভব। এ রাসায়নিকের নাম টিটানিয়াস ডাইঅক্সাইড। স্বয়ংক্রিয় পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্যবহার করা হয় এ রাসায়নিক। এর কাজ হ’ল ক্ষতিকর নাইট্রোজেনকে ধ্বংস করা। একই রাসায়নিক ব্যবহার করা যায় কাপড় কাঁচার সাবানে। এতে সাবানের দাম একটু বাড়বে, কিন্তু চার পাশের দূষণ কমে আসবে।
দশ মিনিটেই চার্জ হবে গাড়ি
গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘নিশান’ সম্প্রতি বৈদ্যুতিক গাড়ির একটি চার্জার তৈরি করছে, যাতে দশ মিনিটেই গাড়ি চার্জ করা সম্ভব হবে। বর্তমানে দ্রুতগতির বৈদ্যুতিক চার্জারেও গাড়ি চার্জ হতে ৩০ মিনিটের বেশি সময় লাগে। নিশানের প্রকৌশলী এবং জাপানের কানসাই ইউনিভার্সিটির গবেষকগণ টাংস্টেন অক্সাইড এবং ভ্যানাডিয়াম অক্সাইড থেকে একটি নতুন ধরনের ক্যাপাসিটর ইলকট্রোও তৈরি করছেন, যা চার্জারে ব্যবহৃত হবে। বর্তমানে বাজারে থাকা চার্জারগুলোতে ইলকট্রোড হিসাবে কার্বন ব্যবহৃত হয়। বলা হচ্ছে, নতুন এ চার্জার পদ্ধতি ভোল্টেজে কোনরূপ বিঘ্ন ঘটানো ছাড়াই দ্রুত চার্জ সম্পন্ন করবে এবং বেশিক্ষণ শক্তি সঞ্চয় করে রাখবে।
এটিএমে হীরা কেনা যাবে!
কার্ড ব্যবহার করে ‘অটোমেটেড টেলার মেশিনে’র (এটিএম) মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তোলা এখন বেশ সাধারণ একটি ব্যাপার। বছর খানেক আগে সোনার বিস্কুট বের হবে এমন এটিএম চালু হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এখন থেকে হীরা ও রুপাও পাওয়া যাবে এটিএমে। হ্যাঁ, এ ব্যবস্থাই করেছে ভারতের গীতাঞ্জলী গ্রুপ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির দাবী হ’ল, বিশ্বে তারাই প্রথম এটিএমের মাধ্যমে হীরা, সোনা ও রুপা বিক্রির ব্যবস্থা করেছে। প্রতিষ্ঠানটি আপাতত এমন ৭৫টি কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে। গ্রাহকেরা এসব কেন্দ্র থেকে হীরা, সোনা ও রুপা দিয়ে তৈরী অন্তত ৪০ ধরনের পণ্য কিনতে পারবেন। উল্লেখ্য, বিশ্বে সর্বোচ্চ সোনা ব্যবহারকারী দেশ ভারত। দেশটিতে ২০১০ সালে ৯০০ টনেরও বেশী সোনা হাতবদল হয়েছে।
কানে কম শুনে আমেরিকানরা
১২ বছর ও তার অধিক বয়সের আমেরিকানদের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন আমেরিকান কানে কম শুনেন। তাছাড়া প্রায় ৪৮ মিলিয়নেরও বেশি আমেরিকান অন্তত এক কানে কম শুনেন। ন্যাশনাল হেলথ এন্ড নিউট্রিশনাল এক্সামিনেশন সার্ভের পক্ষ থেকে এই গবেষণা করা হয়। মানুষের বয়স এবং জিন কানে কম শোনার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া বেশি জোরে জোরে মিউজিক শুনলেও কানে সমস্যা সৃষ্টি হয়।
সিগ্রাস থেকে ম্যালেরিয়া ওষুধ!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জীব রসায়নবিদ জুলিয়া কুবানেক অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত ফিজি দ্বীপের সমুদ্র তলদেশে সন্ধান পেয়েছেন এক ধরনের সিগ্রাস বা সামুদ্রিক ঘাসের, যা চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ সুফল বয়ে আনবে। এই সিগ্রাস এক ধরনের অণু প্রস্ত্তত করে, যা ম্যালেরিয়ার জীবাণু ধ্বংস করতে বেশ কার্যকর হবে বলে গবেষকদের ধারণা। তিনি উক্ত পদার্থ থেকে ওষুধ তৈরির জন্য জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষণাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন।