আন্দোলন 
তাবলীগী সভা 
বরগুনা ১৩ সেপ্টেম্বর বৃহষ্পতিবার : অদ্য বাদ মাগরিব বরগুনা যেলা শহরের ক্রোক জামে মসজিদে এক তাবলীগী সভা অনুষ্ঠিত হয়। মেজর (অবঃ) আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত তাবলীগী সভায় প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও পিরোজপুর যেলা সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মাদ আব্দুল হামীদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন মাওলানা আবু ছালেহ ও সঊদী আরব মদীনা শাখার কর্মী মাওলানা হাবীবুর রহমান।

বরগুনা ১৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার : অদ্য বাদ এশা বরগুনা সদর উপযেলার কদমতলা গ্রামে জনাব আব্দুস সাত্তারের বাসভবনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। জনাব আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মাদ আব্দুল হামীদ। একই দিন বরগুনা শহরস্থ ক্রোক জামে মসজিদে তিনি বাংলা ভাষায় খুৎবা প্রদান করেন। উল্লেখ্য যে, ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর পক্ষ থেকে এবং এ মসজিদে এটাই ছিল প্রথম সুন্নাতী তরীকায় মাতৃভাষায় জুম‘আর খুৎবা প্রদান (ফালিল্লাহিল হাম্দ)। বরগুনা যেলায় এটিই প্রথম দাওয়াতী সফর। এছাড়াও এখানে এদিন মাসিক আত-তাহরীক-এর ১০ ও ৫ কপির দু’টি এজেন্ট হয়।

বড়কালিকাপুর, আত্রাই, নওগাঁ ২৬ সেপ্টেম্বর বুধবার : অদ্য বাদ আছর যেলার আত্রাই থানাধীন বড় কালিকাপুর আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ নওগাঁ যেলার উদ্যোগে এক তাবলীগী ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আফযাল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত তাবলীগী ইজতেমায় কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় মুবাল্লিগ মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ আফযাল হোসাইন। উল্লেখ্য, বাদ আছর থেকে এশা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলে। 

যুবসংঘ 
দ্বি-বার্ষিক কর্মী সম্মেলন ২০১২ 
অহিভিত্তিক জীবন ও সমাজ গড়ে তোলাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য 
-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার : অদ্য সকাল ১০-টায় রাজধানী ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর দ্বি-বার্ষিক কর্মী সম্মেলন ২০১২-এ প্রধান অতিথির ভাষণে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, সেদিন আল্লাহ্র রাসূল (ছাঃ) মানুষকে ‘লা ইলাহা ইল্লাহ্র’ দাওয়াত দিয়েছিলেন। তাতে সবাই তাঁর শত্রু হয়েছিল। আজকে আমরা বলেছি, সকল বিধান বাতিল কর, অহি-র বিধান কায়েম কর। তাই আমাদেরও শত্রু চারিদিকে। তিনি বলেন, বস্ত্তবাদ মানুষকে দুনিয়াপূজারী করে। আর বস্ত্তবাদের আদর্শিক নাম হ’ল ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ। ইসলামী চেতনাকে মিটিয়ে দেওয়ার জন্যই ও মতাবাদকে বিদেশ থেকে আমদানী করা হয়েছে। এই মতবাদ প্রথমে মানুষকে ঈমানের গন্ডীমুক্ত করে। অতঃপর গণতন্ত্র মানুষকে মানুষের গোলাম বানায়। অতঃপর সে মানুষের সন্তুষ্টিকে আল্লাহ্র সন্তুষ্টির উপরে অগ্রাধিকার দেয়। এভাবে সে ক্রমে জাহান্নামের দিকে এগিয়ে চলে। তিনি বলেন, ধর্মীয় জীবনে, রাজনৈতিক জীবনে, অর্থনৈতিক জীবনে, আন্তর্জাতিক জীবনে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের বিধান মান্য করাই আমাদের ব্রত। তিনি বলেন, ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ এদেশের একমাত্র সমাজ সংস্কারবাদী যুবসংগঠন। এজন্য তোমাদেরকে ব্যক্তি জীবনে আদর্শ নমুনা হতে হবে। সমাজ পরিবর্তনে যেকোন ঝুঁকি নিতে প্রস্ত্তত থাকতে হবে। তথাপি হক ছেড়ে বাতিলকে গ্রহণ করা যাবে না। বাতিলের সঙ্গে কোন অবস্থায় আপোষ করা যাবে না। তিনি যুবসংঘের ছেলেদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা শহীদী মৃত্যুর আকাংখী হও। কোন অবস্থায় পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছকে ছাড়বে না। কথিত জঙ্গীবাদ ও চরমপন্থার ধারে-কাছেও যাবে না। মনে রাখবে, অহি ভিত্তিক জীবন ও সমাজ গড়ে তোলাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য; আহলেহাদীছ যুবসংঘের ছেলেরা ও সোনামণির ছেলেরা তাদের উপর আরোপিত এই মহান দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে, আমরা সর্বদা এই প্রার্থনা করি।

‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুযাফফর বিন মুহসিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, দফতর ও যুববিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আমীনুল ইসলাম, প্রচার ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক এবং মাসিক আত-তাহরীক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক শেখ রফীকুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, দারুল ইফতা’র সদস্য ও আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ, সোনামণির কেন্দ্রীয় পরিচালক ইমামুদ্দীন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী মুহাম্মাদ নযরুল ইসলাম, ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ আহসান ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ তাসলীম সরকার এবং কুমিল্লা যেলা সভাপতি মাওলানা ছফিউল্লাহ প্রমুখ।

সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক আকবার হোসাইন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মাদ জালালুদ্দীন, বর্তমান কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, ‘আন্দোলন’-এর খুলনা যেলা সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, সাতক্ষীরা যেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান, পাবনা যেলা সভাপতি মাওলানা বেলালুদ্দীন, সঊদী আরব শাখা ‘আন্দোলন’-এর সাবেক সভাপতি জনাব আবুল কালাম আযাদ, ‘যুবসংঘ’ কুমিল্লা যেলা সভাপতি মুহাম্মাদ জামীলুর রহমান, রাজবাড়ী যেলা সভাপতি মুনীরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা যেলা সহ-সভাপতি হাফেয মুহাম্মাদ মুহসিন, বগুড়া যেলা সভাপতি আব্দুস সালাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘যুবসংঘ’-এর সাধারণ সম্পাদক অহীদুয্যামান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে কুরআন তেলাওয়াত করে ‘যুবসংঘ’-এর কর্মী আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ (বগুড়া)। ইসলামী জাগরণী পরিবেশন করেন আলহেরা শিল্পী গোষ্ঠরি প্রধান মুহাম্মাদ শফীকুল ইসলাম (জয়পুরহাট) এবং আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ, যিয়াউর রহমান ও আব্দুল গফুর। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম।

দেশের বিভিন্ন যেলা থেকে আগত কর্মীদের দ্বারা মিলনায়তন ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় মিলনায়তনের বাইরে বসে বহু কর্মী প্রজেক্টরের মাধ্যমে বক্তব্য শ্রবণ করেন। কর্মীদের মুহূর্মুহু শ্লোগানে সম্মেলন কক্ষ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। প্রাণবন্ত এ সম্মেলনে বক্তাগণের বিষয়ভিত্তিক তথ্যবহুল আলোচনা কর্মীদের কর্মস্পৃহা, কর্মচাঞ্চল্য ও ঈমানী চেতনা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। উল্লেখ্য যে, প্রশাসনিক বাধার কারণে সম্মেলনের কার্যক্রম যথেষ্ট বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। এমনকি সম্মেলনের একদিন পূর্বে বিনা নোটিশে সম্মেলনের অনুমতি প্রত্যাহার করা হয় প্রশাসন থেকে। পরে বিশেষ প্রক্রিয়া অনুমতি পাওয়া গেলেও সম্মেলনের আগ পর্যন্ত এ নিয়ে সংশয় থেকে যায়। অতঃপর আল্লাহর রহমতে নির্ধারিত সময়ের ১ ঘন্টা পর থেকে শুরু করে দিনব্যাপী সুষ্ঠুভাবে সম্মেলনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। 

কুয়েতী মেহমানের বক্তব্য : 
উক্ত সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুয়েতের শারঈ আদালতের সম্মানিত বিচারপতি ও আল-মারকাযুল ইসলামী আল-আলামী’র পরিচালক ড. ফায়ছাল আল-হাশেমী। তাঁর সংক্ষিপ্ত ও মূল্যবান বক্তব্যে অত্যন্ত উজ্জীবিত হন উপস্থিত শ্রোতাবৃন্দ। তাঁর বক্তব্য আরবী থেকে তরজমা করে শোনান মুহতারাম আমীরে জামা‘আত। সম্মানিত অতিথি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে বলেন, এখানে উপস্থিত হতে পেরে আমি নিজেকে অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। কেননা ইসলামী মজলিস হল পৃথিবীর সর্বোত্তম মজলিস, যে মজলিসে আল্লাহ্র রহমত নাযিল হয়। তিনি বলেন, আমি সৌভাগ্যবান যে, আমি এমন মানুষদের সামনে উপস্থিত হয়েছি যারা হলেন ‘আহলেহাদীছ’। আমি আপনাদের সম্পর্কে অতি উচ্চ ধারণা পোষণ করি। এজন্য আপনাদের ডাকে সাড়া দিয়ে এখানে ছুটে এসেছি। কোন মুসলমান যখন দ্বীনী মহববাতে অপর মুসলিম ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করে, তখন সেটা তার জন্য গুনাহ মাফের অসীলা হয়ে যায়। আমি আমার দ্বিতীয় দেশ এই সুন্দর বাংলাদেশে নামার পর চলতি পথে বিদ‘আতের ছড়াছড়ি দেখতে পেয়েছিলাম। অতঃপর যখন আহলুস সুন্নাহ আহলেহাদীছের এই জামা‘আতকে পেলাম, তখন খুশীতে আমার অন্তর ভরে গেল। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, হেদায়েত প্রাপ্তদের অনুসারী হও (আন‘আম ৯০)। আলহামদুলিল্লাহ আহলেহাদীছরাই হল সেই হেদায়াতপ্রাপ্ত দল। এটা সত্য যে, হক্বপন্থীরা সর্বদা সংখ্যায় কম হয়ে থাকে। তাই পথভ্রষ্টদের সংখ্যাধিক্য যেন আমাদেরকে হতাশ না করে। কেননা কুরআনে সংখ্যাগরিষ্টদের নিন্দা করা হয়েছে (আন‘আম ১১৬)। আপনাদের উদ্দেশ্যে আমাদের বক্তব্য হল আহলেহাদীছরা কখনও চরমপন্থা ও জঙ্গীবাদের সাথে সম্পৃক্ত হবে না। কেননা আমরা হলাম মধ্যপন্থী উম্মত (বাক্বারাহ ১৪৩)। কুরআনের অনুসারীদেরকে সর্বদা হতে হবে মধ্যপন্থী। অতএব ‘আহলেহাদীছ’ হিসাবে আপনাদের দায়িত্ব হকের এই পথকে মানুষের সামনে তুলে ধরা। তিনি সকলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদেরকে অবশ্যই হকের উপর দৃঢ় থাকতে হবে। আপনাদেরকে ইলম অনুযায়ী আমল করতে হবে এবং পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক বিশুদ্ধ শারঈ জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আল্লাহ্র কসম, বাংলাদেশে হোক, মক্কার হারাম শরীফে হোক এমনকি জান্নাতেই হোক মানুষের মর্যাদা নির্ধারিত হয় তার ইলম অনুযায়ী আমলের মাধ্যমে (মুজাদালাহ ১১)। সুতরাং যারা শারঈ ইলম অর্জন করেছেন, তাদের উচিৎ হল মানুষকে তার দিকে আহবান করা। 

দুঃখজনক ব্যাপার এই যে, আমাদের যুবকরা কুরআন মুখস্ত করছে, হাদীছ মুখস্ত করছে; কিন্তু তার উপর আমল করা বা মানুষকে তার দিকে আহবান করার ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। অথচ সমাজের মানুষ চরমভাবে পথভ্রষ্ট ও গোমরাহ হয়ে রয়েছে। অতএব তাদেরকে উপদেশ দেওয়া ও হকপথে আহবান করা আমাদের যুবকদের অপরিহার্য দায়িত্ব। দাওয়াতের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, হিকমত অবলম্বন করা। যদি বিদআতী, কবরপুজারী কিংবা ছূফীও হয়, তবুও তাদেরকে নরম ভাষায় শিষ্টাচারের সাথে দাওয়াত দিতে হবে। আপনার কাছে শরী‘আতের দলীল মওজূদ। আপনি আহলেহাদীছ। আহলেহাদীছদের বৈশিষ্ট্য হল, তারা ইলম অনুযায়ী আমল করে এবং আল্লাহ্র দিকে হিকমত ও ছবরের সাথে আহবান করে। মানুষকে দাওয়াত প্রদানের সময় এই বিষয়টির দিকেই অধিক লক্ষ্য রাখতে হবে। আপনি যদি কর্কশভাষী ও রুক্ষ্ম মেযাজের হন, তবে মানুষ আপনার কাছ থেকে দূরে সরে যাবে। রাসূল (ছাঃ) ছিলেন এই আদর্শের বাস্তব নমুনা। তাঁর আচরণ দ্বারা তিনি দেখিয়ে গিয়েছেন কিভাবে মানুষকে হকপথে আহবান করতে হয়। যেহেতু আমরা আহলেহাদীছ, সেহেতু আমরাই রাসূল (ছাঃ)-এর এই আদর্শ অনুসরণের অধিক হকদার। তিনি আরো বলেন, আপনারা যেমন সঠিক জ্ঞানে সুশোভিত, তেমনি সে জ্ঞান অনুযায়ী আমলে অগ্রগামী। যখনই আপনি বাজারে যাবেন, সেখানে একটি সুন্নাত জীবিত করবেন। সেটা যে কোন উপায়েই হোক না কেন। যখনই কোন বাড়িতে বা হাসপাতালে যাবেন, মানুষকে অবহিত করবেন রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাত সম্পর্কে। এভাবে যেখানেই যাবেন হকের ঝান্ডাকে সর্বদা সমুন্নত রাখা আপনাদের কর্তব্য। কেননা আপনি যেখানেই থাকুন না কেন একজন আহলেহাদীছ হিসাবে আপনি সমাজের আদর্শ। আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করুন। দুনিয়া থেকে যেন খালি হাতে আমাদের বিদায় নিতে না হয়। এভাবে সকলেই যদি আমরা দায়িত্ব সচেতন হই, তাহ’লে রিসালতের বিশুদ্ধ বাণী সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে এবং সে পথের উপরই বেড়ে উঠবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম। 

আলোচনা সভা 
মহিষালবাড়ী, গোদাগাড়ী, রাজশাহী ১৬ সেপ্টেম্বর, রবিবার : অদ্য বাদ আছর রেলবাজার আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর শাখা গঠন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর রাজশাহী যেলার প্রশিক্ষণ সম্পাদক জনাব অধ্যাপক দুররুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় তাবলীগ সম্পাদক আব্দুল হালীম বিন ইলিয়াস। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অত্র মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল মালেক ও অন্যান্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠান শেষে আল-আমীনকে সভাপতি ও আব্দুল হামীদকে সাধারণ সম্পাদক করে ‘যুবসংঘ’ মহিষালবাড়ী শাখা কমিটি গঠন করা হয়। 

চিরিরবন্দর, দিনাজপুর ৫ অক্টোবর শুক্রবার : অদ্য সকাল ১০-টায় চিরিরবন্দর থানাধীন মত্তমন্ডল সর্দারপাড়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ চিরিরবন্দর এলাকার উদ্যোগে এক কর্মী ও সূধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি জনাব ইদ্রীস আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর মজলিসে শূরা সদস্য ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় মুবাল্লিগ মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওলিয়া পুকুর ফাযিল মাদরাসার শিক্ষক জনাব যহূর বিন ওছমান। অনুষ্ঠানে মুহাম্মাদ আশরাফুল ইসলামকে সভাপতি ও মুহাম্মাদ মোখলেছুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে দশ সদস্য বিশিষ্ট চিরিরবন্দর উপযেলা ‘যুবসংঘ’-এর কমিটি গঠন করা হয়। 

প্রবাসী সংবাদ 
সিঙ্গাপুর ১৯ আগষ্ট রবিবার : অদ্য সকাল ১০-টায় ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ সিঙ্গাপুর শাখার উদ্যোগে এক তাবলীগী ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। ‘যুবসংঘ’ সিঙ্গাপুর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহাম্মাদ মহিউদ্দীন (গাযীপুর)-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত তাবলীগী ইজতেমায় দরসে কুরআন ও দরসে হাদীছ পেশ করেন যথাক্রমে মুহাম্মাদ শফীক (নরসিংদী) ও মুফায্যল হোসেন (মেহেরপুর)। তাবলীগী ইজতেমায় বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য পেশ করেন মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহিল কাফী ও মানছূরুর রহমান (টাঙ্গাইল), আব্দুল কুদ্দূস (পাবনা), মু‘আযযেম (বগুড়া)। আরো বক্তব্য পেশ করেন আবু ক্বায়েস (বাগেরহাট), কাযী মাসঊদ (রাজবাড়ী), মাযহারুল ইসলাম (পটুয়াখালী), ফরীদ আহমাদ (কিশোরগঞ্জ), শামীম (বি. বাড়িয়া), মুহাম্মাদ আলী (চুয়াডাঙ্গা) প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ইসলামী জাগরণী পরিবেশন করেন আতাউর রহমান (সিরাজগঞ্জ), শহীদুল ইসলাম (দিনাজপুর), মুহাম্মাদ হাসান (টাঙ্গাইল), হাবীবুর রহমান (টাঙ্গাইল), রফীকুল ইসলাম (মাগুরা)। অনুষ্ঠানে কয়েকজন আহলেহাদীছ হন। তারা হ’লেন- ১. ফরীদ আহমাদ (কিশোরগঞ্জ), ২. রকীবুল ইসলাম (মাগুরা), ৩. মীযানুর রহমান (ফরিদপুর), ৪. মাসঊদ (রাজবাড়ী), ৫. হাফিয আল-আসাদ (রাজবাড়ী), ৬. আব্দুল কাইয়ূম (ফরীদপুর), ৭. শামীম (বি. বাড়িয়া), ৮. আব্দুল মতীন (কুমিল্লা), ৯. জাহাঙ্গীর আলম (কুমিল্লা)। 

উল্লেখ্য, সকাল ১০-টা থেকে এশা পর্যন্ত একটানা অনুষ্ঠান চলে। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন অত্র শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুকীত (মেহেরপুর)। 

মৃত্যু সংবাদ 
‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর সাধারণ পরিষদ সদস্য ও সাতক্ষীরা যেলার পাটকেলঘাটা থানাধীন নগরঘাটা এলাকা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুছ ছামাদ (৪৮) গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০-টায় মারা যান। ইন্নালিল্ল­া-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে গেছেন। পর দিন বেলা ২-টায় নিজ গ্রাম পাঁচপাড়ায় তাঁর জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার ছালাতে ইমামতি করেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি মাওলানা ফযলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন, যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামূন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তাঁকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। 

[আমরা তাঁর রূহের মাগফেরাত কামনা করছি ও শোকাহত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।-সম্পাদক] 






আরও
আরও
.