
২রা জানুয়ারী বৃহস্পতিবার, গালিমগাযী, কিশোরগঞ্জ : অদ্য বাদ আছর যেলা শহরের গালিমগাযী দারুস সালাম মাদ্রাসা ময়দানে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ কিশোরগঞ্জ যেলার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি সূরা কাহফের ১১০ আয়াত তেলাওয়াত করে বলেন, পরকালীন জীবনে জান্নাত লাভের জন্য দুনিয়াতে দু’টি কাজ করতে হবে। (১) শিরক বিমুক্ত নির্ভেজাল তাওহীদ বিশ্বাস ও (২) বিদ‘আত মুক্ত নির্ভেজাল সুন্নাহর অনুসরণ। অর্থাৎ যাবতীয় শিরকী আক্বীদা পরিত্যাগ করে এক আল্লাহর জন্য নেক আমল সম্পাদন করা ও মানুষের মনগড়া তন্ত্রমন্ত্র ত্যাগ করে শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) প্রদর্শিত পথে চলা। তাই নির্ভেজাল তাওহীদ ও ছহীহ সুন্নাহর আলোকে সার্বিক জীবন পরিচালনা করাই আমাদের কর্তব্য।
যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি কিশোরগঞ্জ সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এবং ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন শিক্ষাবোর্ডে’র চেয়ারম্যান ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য কাযী হারূণুর রশীদ, ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, ‘আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরামে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. শওকত হাসান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আমীরে জামা‘আতের গত ২-৫ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শিক্ষা সফরের সাথী স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব জনাব মাসউদ শিকদার। তার বাসাতেই আমীরে জামা‘আত ও তাঁর সফরসঙ্গীগণ দুপুরের আতিথেয়তা গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য যে, প্রফেসর নূরুল ইসলাম ছাত্র জীবনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা হল শাখা ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র কর্মী ছিলেন। যখন আমীরে জামা‘আত নিজেই উক্ত হলের এসিসট্যান্ট হাউজ টিউটর ছিলেন। তাঁর জন্মস্থান নাটোরের মহারাজপুর গ্রামে। সম্মেলন অনুষ্ঠানে তার সাথী ছিলেন রাজশাহী মারকাযের সাবেক ছাত্র আল-আমীন। সম্মেলনে পৃথক প্যান্ডেলে মহিলাদের বিপুল সমাগম ঘটে।
আল-‘আওন : অত্র সম্মেলনে যেলা কমিটি না থাকায় নারায়ণগঞ্জ যেলা আল-‘আওনের পক্ষ থেকে রক্তদাতা সদস্য সংগ্রহ ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ক্যাম্পিংয়ে ১ জনের ব্লাড গ্রুপিং ও ৩ জন ‘ডোনর’ তালিকাভুক্ত হন।