যেলা সম্মেলন

সকল বিষয়ে মধ্যপন্থী হউন

-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

গাযীপুর, ১৮ জানুয়ারী শুক্রবার : অদ্য বাদ আছর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ গাযীপুর যেলার উদ্যোগে মণিপুর হাইস্কুল ময়দানে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রদত্ত প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব সকলের প্রতি উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি বলেন, সমাজে শৈথিল্যবাদী ও চরমপন্থী দু’দল মানুষের আধিক্য দেখা যায়। অথচ মুসলমানকে মধ্যমপন্থী জাতি হিসাবে উত্থান ঘটানো হয়েছে। তিনি বলেন, সকল বিষয়ে রাসূল (ছাঃ)-এর জীবনাদর্শই আমাদের জন্য মানদন্ড। তিনিই সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী। পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ আমাদেরকে সে পথেরই সন্ধান দেয়। তাই সকলকে সমবেতভাবে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একাকী ভাল হবার কোন  অবকাশ নেই।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি জনাব হাবীবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক এবং মাসিক আত-তাহরীক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় মুবাল্লেগ মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাবেক সভাপতি মাওলানা আমানুল্ল­াহ বিন ইসমাঈল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিন হাবীব ও যেলা ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র নেতৃবৃন্দ।

প্রশিক্ষণ

তোমরা আল্লাহর পথে সাধ্যমত প্রস্ত্ততি গ্রহণ কর

-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

নওদাপাড়া, রাজশাহী ১৫ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার : অদ্য সকাল ১০-টায় ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর উদ্যোগে আল-মারকাযুল ইসলামী সালাফী নওদাপাড়া, রাজশাহী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে প্রদত্ত প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপস্থিত কর্মীদের উদ্দেশ্যে উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি বলেন, ‘আহলেহাদীছ আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য ভিতরে-বাইরে ষড়যন্ত্র শুরু থেকেই ছিল, আজও আছে। অতএব সবইকে সচেতন থাকা কর্তব্য। সাথে সাথে নিজেদেরকে ঈমানী শক্তিতে বলিয়ান হওয়া অপরিহার্য। কারণ ঈমানী শক্তি না থাকলে আল্লাহর সাহায্য পাওয়া সম্ভব নয়।

‘আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুযাফফর বিন মহসিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে অন্যান্যের মধ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল।

দো‘আ ও সংবর্ধনা

তোমরা সুবাসিত ফুলের মত সমাজে সুগন্ধি বিতরণ কর

-বিদায়ী ছাত্রদের উদ্দেশ্যে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

নওদাপাড়া, রাজশাহী ২৪ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার : অদ্য সকাল ১০-ঘটিকায় দারুলহাদীছ বিশ্ববিদ্যালয় (প্রাঃ) জামে মসজিদে আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর দাখিল ও আলিম পরীক্ষার্থীদের জন্য দো‘আ ও নবাগত ছাত্রদের সংবর্ধনা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রদত্ত প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে এই প্রতিষ্ঠানের পার্থক্য এই যে, এখানে শিরক ও বিদ‘আতের দুর্গন্ধ নেই। এখানে প্রচলিত জাহেলী সমাজের নোংরামি নেই।  এখানে কেবলি চেষ্টা আছে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে জান্নাতী জীবন গড়ার। হে আমাদের সন্তানেরা! জীবনের যে স্তরেই তোমরা থাক না কেন, এ আদর্শ কখনো হাতছাড়া করো না।

মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রায্যাক বিন ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য ডা. ইদরীস আলী ও ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য এবং মাসিক আত-তাহরীক-এর সহকারী সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম। অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল ও শিক্ষকদের পক্ষে মুহাদ্দিছ মাওলানা আব্দুল খালেক সালাফী। বিদায়ী ছাত্রদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখে আবূ সাঈদ (আলিম পরীক্ষার্থী) ও যিয়াউর রহমান (দাখিল পরীক্ষার্থী)। অনুষ্ঠানে কুরআন তেলাওয়াত করে হিফয বিভাগের ছাত্র আবূ মূসা এবং ইসলামী জাগরণী পরিবেশন করে দাখিল পরীক্ষার্থী আব্দুল্ল­াহ আল-মা‘রূফ ও হিফয বিভাগের ছাত্র হাবীবুল্লাহ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও অত্র মাদরাসার সহকারী শিক্ষক নূরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ ও অভিভাবক ও ছাত্রবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ইসলাম হৌক তরুণ সমাজের জাগরণের চেতনা

-রাবি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে আমীরে জামা‘আত

নওদাপাড়া, রাজশাহী ১০ ফেব্রুয়ারী রবিবার : অদ্য বিকাল ৩-টায় ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর পূর্বপার্শ্বস্থ মিলনায়তনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগত ছাত্রদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি বলেন, এক ধরনের অন্ধ আবেগ-উচ্ছ্বাস আজকের তরুণ সমাজকে গ্রাস করেছে। তাদেরকে ভুলিয়ে দিয়েছে জীবনের মৌলিক উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্যহীন জীবন যাপনের ফলে আজ জাতীয় জীবনে মিথ্যা, দুর্নীতি, অপরাজনীতি ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য তরুণ সমাজকে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হ’তে হবে এবং সকল বাতিল মতাদর্শ পরিত্যাগ করে ইসলামের অবিমিশ্রি আদর্শকেই জাগরণের একমাত্র চেতনা হিসাবে গ্রহণ করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি মেছবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুযাফফর বিন মুহসিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক আব্দুল হালীম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ আবূ আব্দুল্লাহ।

কৃতি ছাত্র সংবর্ধনা

নওদাপাড়া, রাজশাহী ৭ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার : অদ্য সকাল সাড়ে ৯-টায় আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া প্রাঙ্গণে ‘সোনামণি’ রাজশাহী মহানগরীর উদ্যোগে ‘কৃতি ছাত্র সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী মহানগরী ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি ও ‘সোনামণি’-এর প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা রুস্তম আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘সোনামণি’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। প্রধান অতিথি মহোদয় সোনামণি সংগঠনকে মানুষ গড়ার সূতিকাগার হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, ‘সোনামণি’ বাংলাদেশের একটি অনন্য শিশু-কিশোর সংগঠনের নাম। শিশু-কিশোরদের পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে গড়ে তোলার নিয়তেই আমরা ১৯৯৪ সালে এটা শুরু করেছিলাম। তিনি বলেন, একটি সমাজ পরিবর্তন করতে গেলে সর্বাগ্রে সমাজের মানুষের আক্বীদা পরিবর্তন করতে হয়। আর আক্বীদা পরিবর্তনের সবচেয়ে উর্বর ক্ষেত্র হ’ল শিশু-কিশোররা। তিনি বলেন, যেভাবে আমাদের সন্তানদেরকে আক্বীদা ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে তার বিরুদ্ধে রূখে দাঁড়ানো আমাদের ধর্মীয় দায়িত্ব।

তিনি বিভিন্ন শিশু সংগঠনের পার্থক্য বর্ণনা করে বলেন, রাজনৈতিক নেতারা আমাদের সন্তানদেরকে নিয়ে তাদের লাঠিয়াল বানাচ্ছে। ছোট থেকেই তাদের মুখ দিয়ে মুরববীদের গালি দেওয়ানো হচ্ছে। আল্লাহ ও রাসূলের নাম ভুলিয়ে দিচ্ছে ও নেতাদের নামে শ্লোগান শিখাচ্ছে। তিনি বলেন, নষ্ট সমাজের সুন্দর ছেলেটি দুষ্টু হয়েই গড়ে উঠবে। সুন্দর সে কখনোই হ’তে পারবে না। তাই পরিবার ও সমাজকে সুন্দর করা আমাদের প্রত্যেকের নৈতিক ও ধর্মীয় দায়িত্ব। তিনি উপস্থিত শিক্ষক মন্ডলীর উদ্দেশ্যে বলেন, বইয়ের পৃষ্ঠা পড়ানো আপনাদের একমাত্র দায়িত্ব নয়। আদর্শ সন্তান গড়াই আপনাদের প্রধান দায়িত্ব। তিনি কৃতি ছাত্রদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ+ তোমাদের খাতায় লেখার বিনিময় মাত্র। এটা তোমাদের দুনিয়াবী পুরস্কার। আমরা চাই তোমরা আখেরাতে জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হও। পরিশেষে তিনি সোনামণিদেরকে সত্যিকারের সোনামণি হওয়ার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম, সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, দফতর ও যুববিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আমীনুল ইসলাম, প্রচার ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও মাসিক আত-তাহরীক-এর সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, ‘সোনামণি’-এর কেন্দ্রীয় পরিচালক ইমামুদ্দীন, সহ-পরিচালক আব্দুর রশীদ, বযলুর রহমান, মহানগরী পরিচালক আতাউল্লাহ সহ মহানগরী ও মারকায এলাকার বিভিন্ন দায়িত্বশীলবৃন্দ। অনুষ্ঠানে মহানগরীর ১২টি স্কুল ও মাদরাসা থেকে আগত এ ও এ+ পাওয়া ১১০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে পুরস্কৃত করা হয়।

ইসলাম ও রাসূল (ছাঃ)-কে নিয়ে ব্যঙ্গকারী নাস্তিকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন

-মুহতারামা আমীরে জামা‘আত

‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত  ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি ইসলাম ও বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে নিয়ে ব্লগসাইটে করা ব্যঙ্গ ও কটূক্তির তীব্র নিন্দা জানান এবং ব্যঙ্গকারী নাস্তিকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইসলাম ও ইসলামের নবী (ছাঃ)-কে নিয়ে ব্যঙ্গ ও কটূক্তি দেশের বিভিন্ন স্থানে যে হারে বর্তমান সরকারের আমলে বেড়ে যাচ্ছে, তাতে জনগণ ক্রমেই নিশ্চিত হতে যাচ্ছে যে, এ সরকার ইসলাম ও মুসলমানের বিরুদ্ধে অবস্থান  নিয়েছে। নইলে মুসলমানের সন্তান হয়ে ইসলামের নবীর বিরুদ্ধে অশ্রাব্য ও অকথ্য মন্তব্যের পরেও মন্ত্রীপরিষদ ও দলনেতারা এবং এক শ্রেণীর হলুদ পত্রিকা ও কলামিস্টরা যেভাবে তাকে নগ্নভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, তাতে বিস্ময়ে হতবাক হ’তে হয়। তিনি সরকারের নিকট প্রশ্ন রেখে বলেন, ঐরূপ কটূক্তি যদি কেউ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বা তার পিতা শেখ মুজিবের নামে করে, তাকে কি মন্ত্রী ও নেতারা সমর্থন দিবেন? তিনি বলেন, আমরা এইসব  নোংরা লোকদের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করছি এবং এদের ও এদের মদদদাতাদের জন্য হেদায়াত অথবা তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত এলাহী গযবের প্রার্থনা করছি।

প্রবাসী সংবাদ

সিঙ্গাপুর : ১১ই ফেব্রুয়ারী ’১৩ সোমবার : অদ্য সকাল ১০-টায় ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ সিঙ্গাপুর শাখার উদ্যোগে সিঙ্গাপুর জাতীয় সুলতান জামে মসজিদে এক তাবলীগী ইজতেমার আয়োজন করা হয়। সিঙ্গাপুর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহাম্মাদ মোয়াযযেম হোসেন (বগুড়া)-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ইজতেমায় দরসে কুরআন দেন মুহাম্মাদ শফিক (নরসিংদী) এবং দরসে হাদীছ পেশ করেন মুহাম্মাদ শহীদুল ইসলাম (দিনাজপুর)। এছাড়া বক্তব্য রাখেন মুহাম্মাদ মাযহারুল ইসলাম (পটুয়াখালী), মুহাম্মাদ মোয়াযযেম (কুমিল্লা), মুহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম (কুমিল্লা), আব্দুল মতীন (বি-বাড়িয়া) প্রমুখ, অনুষ্ঠানে ইসলামী জাগরণী পরিবেশন করেন- (১) হাসান (টাঙ্গাইল) (২) সাইফুল (কুমিল্লা) (৩) মুহাম্মাদ রকীবুল ইসলাম (বগুড়া) (৪) আব্দুল্লাহ আল-কাফী (টাঙ্গাইল)। উল্লেখ্য যে, উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিভিন্ন যেলা থেকে আগত মোট ৩৬ জন প্রবাসী ভাই নতুন আহলেহাদীছ হন। ফালিল্লাহিল হামদ। সকাল ১০ থেকে এশা পর্যন্ত এক টানা অনুষ্ঠান চলে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন আব্দুল মুকীত (কুষ্টিয়া)।

আমরা নতুন ভাইদেরকে স্বাগত জানাচ্ছি এবং তাঁদেরকে আক্বীদা ও আমলে মযবূত থাকার জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা জানাচ্ছি (স.স.)]

মৃত্যু সংবাদ

‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কুষ্টিয়া-পূর্ব সাংগঠনিক যেলার সভাপতি কাযী মুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াহ্হাব (৪৭) গত ২৯ জানুয়ারী রোজ মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১-টায় কুষ্টিয়া শহরে নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেঊন। মৃত্যুকালে তিনি স্বীয় মাতা, স্ত্রী ও ৪ ছেলে রেখে যান। ঐ দিন রাত ৯-টায় শহরস্থ জয়নাবাদ মন্ডলপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তাঁর জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। তাঁর অছিয়ত মোতাবেক জানাযায় ইমামতি করেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম, প্রচার ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসায়েন, ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, সাবেক  কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মুফাক্ষার হোসাইন ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় সহ-পরিচালক বযলুর রহমান, ঝিনাইদহ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাষ্টার ইয়াকূব হোসাইন এবং যেলা ‘আন্দোলন’ ‘যুবসংঘ’ ও ‘সোনামণি’-এর দায়িত্বশীলবৃন্দ। তাঁকে ছেউড়িয়ায় পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য যে, জনাব আব্দুল ওয়াহহাব ২০০৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে আহলেহাদীছ আক্বীদা গ্রহণ করেন। অতঃপর কুষ্টিয়া-পূর্ব যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি হিসাবে বিগত দুই সেশন দায়িত্ব পালন করেন। ‘আহলেহাদীছ’ হওয়ায় স্থানীয় বিদ‘আতীরা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এবং এক পর্যায়ে ২০১০ সালে তাঁকে মসজিদে যেতে নিষেধ করে দেয়। ফলে তিনি নিজ বাড়ীতে পৃথকভাবে জামা‘আত সহকারে ছালাত আদায় শুরু করেন। ৩/৪ মাস পর পুনরায় সমঝোতা হয় এবং তিনি মসজিদে ফিরে যান। জনাব আব্দুল ওয়াহ্হাব আক্বীদার দিক থেকে এতটাই মযবুত ছিলেন যে, মৃত্যুর পূর্বে তিনি অছিয়ত করে যান যে, কোন বিদ‘আতী যেন তার লাশ না ধরে, গোসল না দেয় এবং বিদ‘আতীদের গোরস্থানেও যেন তাকে দাফন না করা হয়। সে কারণ নিজ অর্থে ক্রয়কৃত ১০ কাঠা জমি তিনি পারিবারিক গোরস্থানের জন্য বরাদ্দ করে যান। অবশেষে সেখানেই তাঁকে প্রথম দাফন করা হয়। তিনি গত বছরে পবিত্র হজ্জব্রত পালন করেন এবং কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. সাখাওয়াত হোসাইনের সাথে ‘আন্দোলন’-এর প্রোগ্রামে জেদ্দা সফর করেন ও সেখানে আয়োজিত প্রবাসীদের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

[আমরা তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।- সম্পাদক]






আরও
আরও
.