‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ টাঙ্গাইল যেলার সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াজেদ (৭৪) গত ১১ই এপ্রিল রোজ বুধবার দুপুর ১-টায় সিএনজিতে যাত্রী থাকা অবস্থায় হঠাৎ ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে পড়ে যান। পরে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং দু’দিন পরে সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ পুত্র ও ৩ কন্যাসহ বহু  সংগঠনিক সাথী, গুণগ্রাহী ও আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। ঐদিন রাত ৯-টায় তার নিজ গ্রাম টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী থানাধীন পাঁচপোটল আহলেহাদীছ জামে মসজিদের সম্মুখস্থ প্রশস্ত ময়দানে তার জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন তার পুত্র হাফেয আব্দুশ শাকূর। জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা। জানাযায় যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ ইউসুফ ছিদ্দীকী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামূন, জামালপুর-দক্ষিণ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি অধ্যাপক বযলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ক্বামারুয্যামান বিন আব্দুল বারী, ময়মনসিংহ-দক্ষিণ যেলা ‘আন্দোলন’-এর প্রধান উপদেষ্টা ডা. আব্দুল কাদির, উপদেষ্টা মুহাম্মাদ মুজীবুর রহমান, সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আবুল কালাম আযাদ, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ ফযলুল হকসহ যেলা ‘আন্দোলন’, ‘যুবসংঘ’ ও ‘সোনামণি’র দায়িত্বশীল ও কর্মীবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। 

উল্লেখ্য যে, এক্সিডেন্টের খবর পাওয়ার সাথে সাথে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত যেলা সেক্রেটারী আব্দুল্লাহ আল-মামূন এবং আব্দুল ওয়াজেদ ছাহেবের ছেলের সাথে মোবাইলে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। দু’দিন পর মৃত্যুর খবর পাওয়ার সাথে সাথে তিনি তাদেরকে সান্ত্বনা দেন ও তাদের অসুস্থ মাকে যথাযথভাবে সেবা করার উপদেশ দেন। তাঁর মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত বলেন, ভাই আব্দুল ওয়াজেদ ছিলেন সংগঠনের সভাপতিদের মধ্যে অনন্যসাধারণ তাক্বওয়াশীল ব্যক্তি। তিনিই মাত্র পাগড়ী পরতেন। তাঁর হাতের লেখা ছিল টাইপের চাইতেও সুন্দর। তিনি সংগঠনের পক্ষে কবিতাও লিখতেন। মাসিক বৈঠকে নিয়মিত আসতেন। তাঁর আচার-আচরণ এবং ইমারতের প্রতি আনুগত্য ছিল প্রশ্নাতীত। আমীরে জামা‘আত মাইয়েতের রূহের মাগফেরাতের জন্য প্রাণখোলা দো‘আ করেন। 

[আমরা তাঁর রূহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি-সম্পাদক]






আরও
আরও
.