আরাফাতকে হত্যার কথা স্বীকার করলো ইসরাঈল

ইহুদীবাদী ইসরাঈলের প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজ শেষ পর্যন্ত স্বীকার করেছেন যে, পিএলও’র সাবেক প্রধান ইয়াসির আরাফাত হত্যায় তাদের হাত ছিল। তিনি বলেছেন, ইয়াসির আরাফাতকে হত্যা করা ঠিক হয়নি। কারণ তার সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক সৃষ্টির সুযোগ ছিল। উক্ত স্বীকারোক্তির মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে ইসরাঈল স্বীয় অবস্থান বিশ্ববাসীর সামনে আরেকবার স্পষ্ট করল। সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে আল-কায়েদার সাথে ইসরাঈলের পার্থক্য হ’ল আল-কায়েদার কোন রাষ্ট্রীয় ভিত্তি নেই আর ইসরাঈল হচ্ছে বিশ্বের বুকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শ্রেষ্ঠ নমুনা।

[গণতন্ত্র ও বিশ্বশান্তির মোড়ল মার্কিন নেতারা একন কি জবাব দিবেন? (স.স.)]

ইসলামী যৌথ সামরিক বাহিনী গঠন করতে ইরানের আহবান

ইসলামী যৌথ সামরিক বাহিনী গঠন করতে মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছে ইরান। ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমাদ ওয়াহিদী এ আহবান জানিয়ে বলেন, বিশ্বের যে কোন জায়গায় নিপীড়িত মানুষের অধিকার রক্ষায় যৌথ এই বাহিনী কাজ করবে। ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, মুসলমানদের অবশ্যই উন্নতমানের সামরিক শক্তিতে পরিণত হওয়া উচিত, যাতে কোন আগ্রাসী শক্তি মুসলিম দেশগুলোতে হস্তক্ষেপ করার সাহস না পায়। যেসব শক্তি মুসলিম দেশগুলোকে পেছনে রাখতে চায়, মুসলমানদের মধ্যকার ঐক্য সেসব শত্রুদেশকে হতাশ করবে বলেও উল্লেখ করেন জেনারেল ওয়াহিদী। তিনি ইসরাঈলকে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু বলে উল্লেখ করে তেল আবিবের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। ইরানের সামরিক শক্তি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে আহমাদ ওয়াহিদী বলেন, তার দেশ সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তির উপর ভরসা করেই সামরিকনীতি গড়ে তুলেছে এবং মুসলিম দেশগুলোর জন্য সে সহযোগিতা সম্প্রসারণ করতে পারে।

[উত্তম প্রস্তাব। কিন্তু ইহুদী-নাছারাদের খপ্পর থেকে মুসলিম দেশগুলি মুক্ত হ’তে পারবে কি? (স.স.)]

আল-জাযিরার বিশ্লেষণ

মিসরে কি আরেকটি বিপ্লব আসন্ন?

প্রায় তিন দশকের শাসক হোসনি মোবারকের পতনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে আবারও সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে মিসর। রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মতভেদ ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাই প্রশ্ন উঠেছে, মিসরে কি আরেকটি বিপ্লব আসন্ন? মোবারকের পতনের পর থেকে প্রকৃত অর্থে কখনোই মিসরে স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, সংবিধান প্রণয়ন, গণভোট সবক্ষেত্রেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চরম মতভেদ লক্ষ্য করা গেছে। এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে বারবার রাস্তায় নামছে বিরোধীরা। সরকারবিরোধীদের অভিযোগ, বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি মোবারকবিরোধী বিপ্লবের মূল চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তিনি মিসরের সব জনগণের জন্য নয় বরং ইসলামী ভাবাদর্শের কাছাকাছি গিয়ে সংবিধান প্রণয়ন করেছেন। তবে সরকার অভিযোগ নাকচ করে বলছে, মোবারকের পতনের পর এই প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছে। মুরসি গণতান্ত্রিকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে মোবারক-পরবর্তী সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়েছেন। এদিকে অস্থিতিশীলতার কারণে দেশের অর্থনীতির ভঙ্গুর দশা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। ন্যায্য মজুরি, কাজ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা না পেয়ে জনগণ হতাশ। এই হতাশা থেকেও বিভিন্ন সময় তারা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, মুরসি জনগণকে এক সুতায় গাঁথতে ব্যর্থ হয়েছেন। যার ফলে জনগণের মধ্যে বিভক্তি এখন চরম পর্যায়ে। সব মিলিয়ে তাই অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, মিসরে কি আরেকটি বিপ্লব আসন্ন? এই প্রশ্ন আরও জোরালো করেছেন মিসরের সামরিক বাহিনীর প্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ফাত্তাহ আল-সিসি নিজেই। তিনি সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, রাজনৈতিক শক্তিগুলোর দ্বন্দ্বের কারণে মিসরের রাষ্ট্রব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।

[প্রচলিত দলীয় গণতন্ত্র কখনোই কোন দেশে স্থিতিশীলতা আনতে পারে না, মিসর  সহ প্রায় সকল গণতান্ত্রিক দেশ তার বাস্তব প্রমাণ। অতএব এসব থেকে তওবা করে দল ও প্রার্থীবিহীন ইসলামী নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতিতে ফিরে আসুন (স.স.)]

বিক্ষোভে উত্তাল তিউনিসিয়া

বিরোধীদলীয় এক নেতাকে হত্যার ঘটনা নিয়ে আবার উত্তাল হয়ে উঠেছে তিউনিসিয়া। হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের জের ধরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হামাদি জাবালি রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই, এমন দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে নতুন মন্ত্রীসভা গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তার এই পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল আন-নাহযাহ পার্লামেন্ট সদস্যরা। উল্লেখ্য, আরব বসন্ত নামের গণ-আন্দোলনে ২০১১ সালে তিউনিসিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক বেন আলীর পতন হয়। ঐ গণ-আন্দোলনের পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে অস্থিরতা অব্যাহত থাকলেও রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের ঘটনা এটাই প্রথম, যা পরিস্থিতিকে চরমভাবে উত্তপ্ত করে তুলেছে।

[বিচার-বিবেচনা বোধ সম্পন্ন ব্যক্তিদের পরামর্শ ভিত্তিক শাসন ব্যতীত গণআন্দোলন নামক মাথা গরম লোকদের মাধ্যমে কোন দেশেই শান্তি ও স্থিতি আসতে পারে না। বরং হিংসা কেবল হিংসা আনয়ন করে। অতএব ফিরে এসো ইসলামী পথে (স.স.)]






আরও
আরও
.