কম দামে জ্বালানি সাশ্রয়ী গাড়ি নির্মাণ করতে চলেছে বুয়েটের পাঁচ শিক্ষার্থী

বুয়েটের পাঁচ শিক্ষার্থী সম্প্রতি ‘নাইপটা-৮’ নামের এক গাড়ির মডেল উদ্ভাবন করেছে। জ্বালানীসাশ্রয়ী কিন্তু অধিক গতি সম্পন্ন এ মডেলটি উদ্ভাবন করে ইতিমধ্যে তারা স্বীকৃতিও লাভ করেছে। বুয়েট ও জাইকার আয়োজিত ‘ইকোরান বাংলাদেশ ২০১৩’ শীর্ষক এক প্রতিযোগিতায় নাইপটা-৮ অর্জন করেছে চ্যাম্পিয়নের পুরস্কার। গাড়িটির বৈশিষ্ট্য হ’ল, এর বডি তৈরি করা হয়েছে স্টেইনলেস স্টিলের ফাঁপা পাইপ দিয়ে। চেসিজ তৈরিতে অ্যালুমিনিয়ামের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে গ্যালভানাইজিং মাইল্ড স্টিল। এসব উপাদান আমাদের দেশে স্বল্পমূল্যে পাওয়া যায় বলে এই গাড়ির উৎপাদন খরচ কম হবে। আর ইঞ্জিন হিসাবে যেহেতু ব্যবহার করা হয়েছে মোটরবাইকের ইঞ্জিন, তাই জ্বালানি খরচ হবে কম। কিন্তু ঘণ্টায় অন্যান্য গাড়ির তুলনায় এই গাড়ি পাড়ি দেবে বেশি পথ। সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা আশা করে তারা বলেন, সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বাংলাদেশকে আর উচ্চমূল্যে কর দিয়ে বিদেশ থেকে গাড়ি আমদানি করতে হবে না। দেশেই তৈরী হবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উন্নত মানের গাড়ি।

কাগজেই টাচস্ক্রিন আনলো ফুজিৎসু

টাচস্ক্রিন হিসেবে কাগজ ব্যবহারের নতুন এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে জাপানের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা ফুজিৎসু। এই নতুন প্রযুক্তি শুধু কাগজে নয়, যে কোনো অসমতল পৃষ্ঠেও কাজ করবে। ফুজিৎসুর গবেষক টাইচি মুরাসি জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তিতে আলাদাভাবে তৈরি কোনো হার্ডওয়্যার ব্যবহার করা হয়নি। এতে ব্যবহার করা হয়েছে সাধারণ ওয়েবক্যাম আর সহজলভ্য প্রজেক্টর। একে কাগজ থেকে শুরু করে সমতল এবং অসমতল যে কোনো পৃষ্ঠা টাচস্ক্রিন হিসেবে ব্যবহারের ক্ষমতা দেয় এর ইমেজ প্রসেসিং প্রযুক্তি। ২০১৪ সাল নাগাদ এই প্রযুক্তি বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

ত্রিমাত্রিক লেজার ক্যামেরা

লেজারের মাধ্যমে দূর থেকে ত্রিমাত্রিক ছবি তোলা যায়, এমন একটি ক্যামেরা তৈরি করেছেন স্কটল্যান্ডের গবেষকেরা। এটি এক কিলোমিটার দূর থেকে নিখুঁতভাবে ত্রিমাত্রিক ছবি তুলতে পারবে। স্কটল্যান্ডের হ্যারিয়ট-ওয়াট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ক্যামেরাটি তৈরি করতে যে লেজার প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন, তা কোন বস্তু স্ক্যান করতে ব্যবহার করা হয়। ক্যামেরাটির কাজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে গবেষকেরা বলেন, ক্যামেরা থেকে পাঠানো লেজার দূরের বস্তুতে লেগে আবার ফিরে আসে। আলোর বেগে এটি কাজ করে। তবে এই লেজার ক্যামেরা মানুষের ত্বক শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই বর্তমানে এটি যানবাহনের ছবি তুলতে ব্যবহার করা হচ্ছে। লেজার ক্যামেরা বস্তুর প্রতি মিলিমিটার পর্যন্ত সূক্ষ্মভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে।






আরও
আরও
.