বর্তমানের ফাইভজি, ওয়াইফাই, বিভিন্ন স্মার্ট ডিভাইসের কারণে মৃত্যু হার বাড়ছে দ্রুত গতিতে। এমনকি ঘুমের সময় পাশে নিয়ে রাখা ডিভাইসটি মস্তিষ্কের প্রতিনিয়ত ক্ষতি করছে। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, দুশ্চিন্তা, কাজের চাপ আর ফোন নিয়ে অনেকের দিন কাটে। এমন অবস্থায় সিলপ টেক্সটিং ঘটতে পারে। এতে মানুষের ঘুমের অনীহা বাড়ে। স্মার্ট ডিভাইজের ক্ষতিকর দিক নিয়ে অনেকদিন ধরেই সোচ্চার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। তিনি বলেন, প্রযুক্তির কল্যাণে আমাদের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করতে পারছে। কিন্তু এ পি জে আবুল কালামের একটা কথা আছে, প্রযুক্তি হ’ল দুই দিকে ধারালো অস্ত্র। বামে গেলেও কাটবে, ডানে গেলেও কাটবে। সঠিক ব্যবহার যেমন মঙ্গলজনক, তার অপব্যবহার কিন্তু অসম্ভব ক্ষতিকারক। ডিভাইসের ইলেকট্রলাইটিক রেডিয়েশন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। ছোট্ট পর্দায় এই যে মনোযোগ দিচ্ছে তাতে ঘাড়ে ব্যথা হচ্ছে, মাথাব্যথা হচ্ছে, চোখের দৃষ্টিশক্তি লোপ পাচ্ছে।

তিনি মনে করেন, কোন অবস্থাতেই একটানা ৪০-৪৫ মিনিটের বেশী ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে না। তার মতে, মোবাইলের অপব্যবহারে শিশুদের মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুধু শিশু নয়, সব বয়সি মানুষের টিউমার, স্মৃতি ও দৃষ্টিশক্তি লোপসহ নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক সময় মৃত্যুও হ’তে পারে।

যুক্তরাজ্যের চক্ষু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে দৃষ্টি বৈকল্য সৃষ্টি হ’তে পারে। এতে করে মায়োপিয়া বা ক্ষীণ দৃষ্টির সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি আরেকটি সমস্যা হ’ল কানে কম শোনা। হেডফোন ব্যবহার করে উচ্চশব্দে গান শুনলে অন্তকর্ণের কোষগুলোর ওপর প্রভাব পড়ে এবং মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক আচরণ করে। একসময় বধির হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে।






আরও
আরও
.