স্বদেশ


ড. গালিবের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা কোন সূত্রই নিশ্চিত করতে পারেনি

-উইকিলিক্স

যাত্রামঞ্চ, গ্রামীণ ব্যাংক বা ব্র্যাক এনজিওতে বোমা হামলা এবং জঙ্গি তৎপরতায় পৃষ্ঠপোষকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আরবী বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর আমীর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবকে আটক করা হলেও কেউ এসবে তার সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল না। সূত্রসমূহ এসব অভিযোগের সাথে তার সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে অপারগতা প্রকাশ করে। বিগত জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী তাকে আটকের পর এ বিষয়ে ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে টমাস মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে একটি গোপনপত্র পাঠান। ‘আটক ড. গালিব : সন্ত্রাসী না প্রতারণার শিকার’ শিরোনামে ২০০৫ সালের ৩ মার্চ পাঠানো এ পত্রের বিষয়টি সম্প্রতি ফাঁস করে দিয়েছে সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিক্স।

পত্রে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিখেন, ‘২৩ ফেব্রুয়ারী প্রফেসর মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবের গ্রেফতারের পর থেকে সংবাদপত্রসমূহ ক্রমাগতভাবে প্রফেসর গালিবকে জেএমজেবি ও জেএমবি’র সশস্ত্র তৎপরতার একজন জোরালো পৃষ্ঠপোষক বলে প্রচার করে যাচ্ছে। পত্রিকাসমূহের রিপোর্ট অনুযায়ী সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিস্ফোরণ ও বোমাবাজির ঘটনাসমূহের প্রেক্ষিতে পুলিশ ড. গালিবের বিরুদ্ধে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর প্রধান হিসাবে চার্জ গঠনের পরিকল্পনা করছে। পত্রিকাসমূহ রিপোর্ট দিচ্ছে যে, তার চরমপন্থী কানেকশন এবং সেই সাথে প্রায় ৬শ’ মসজিদ, মাদরাসা ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণের জন্য বিশাল বিদেশী ফান্ডের উৎসসমূহ প্রমাণের উদ্দেশ্যে পুলিশ ড. গালিবের বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে’।

হ্যারি কে টমাসের পত্রে আরো বলা হয়, ‘ঢাকায় ইন্টারোগেশন সেল জেআইসিতে কোনরূপ সশস্ত্র তৎপরতা পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ততাকে ড. গালিব সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন’।

পত্রের দ্বিতীয় অংশে বলা হয়, ‘বিশ্বস্ত সূত্রসমূহ এ ব্যাপারে বলতে অপারগ যে, সম্প্রতি বিভিন্ন যাত্রামঞ্চে, গ্রামীণ ব্যাংকে বা ব্র্যাক এনজিওতে বোমা হামলার ব্যাপারে ড. গালিব কোনভাবেই জড়িত ছিলেন কি-না। সূত্রসমূহ এ বিষয়টিও নিশ্চিত করতে অপারগ যে, কোনরূপ বিস্ফোরকদ্রব্য অথবা গোলা-বারুদ পাওয়া গেছে কি-না কিংবা কোন বিদেশী অর্থায়ন বা বিদেশী ফান্ডের উৎস মিলেছে কি-না’। -দৈনিক ইনকিলাব, ১লা এপ্রিল ’১২, পৃঃ ১৫, ২য় কলাম।

[হাঁ, বিগত চারদলীয় জোট সরকার তাদের নিজেদের পাপ আড়াল করার জন্য আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ ও তার সম্মানিত আমীরকে ‘গিনিপিগ’ হিসাবে ব্যবহার করেছিল। আমাদের ৪০-এর অধিক নেতা-কর্মীকে তারা জেল-যুলুম ও নির্যাতনের শিকার বানিয়েছিল। এখন তাদের মুখোশ দেরীতে হলেও বেরিয়ে পড়েছে। এজন্য আল্লাহর শুকরিয়া জানাই। (সম্পাদক)]

বোরকা ও রাসূল (ছাঃ)-কে নিয়ে কটূক্তি

(১) গত ২৭শে মার্চ সাতক্ষীরা যেলার কালীগঞ্জ থানার ফতেহপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে মঞ্চস্থ হয় ‘হুজুর কেবলা’ নামক একটি নাটক। নাটকটির রচয়িতা একই গ্রামের মীর যিয়াদ আলীর পুত্র মীর শাহীন (২৮)। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে। নাটকের বিভিন্ন অংকে মহানবী (ছাঃ)-কে নারীলোভী ও বহু বিবাহের প্রবর্তক হিসাবে উপস্থাপন করা হয়। এতে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে নাটকটি বন্ধ করে দেয়।

পরে জনতার দাবির মুখে পুলিশ ফতেহপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেযওয়ান হারূন ও সহকারী শিক্ষিকা মিতা রাণী বালাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। এ ঘটনায় দক্ষিণ শ্রীপুর ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য আবু জাফর সাঁপুই বাদী হয়ে নাট্যকার শাহীনুর রহমানকে আসামী করে কালিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

(২) সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে মাস্টার্সের মৌখিক পরীক্ষায় বোরকা খোলার নির্দেশ অমান্য করায় বিভাগীয় চেয়ারম্যান সহ তিনজন শিক্ষক জনৈকা ছাত্রীকে ‘শূন্য’ দেন ও বিভিন্ন কটূক্তি করেন।

(৩) গত ১লা এপ্রিল ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপযেলার রাধাকানাই উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মুহাম্মাদ আব্দুল কুদ্দূস মাস্টার বোরকা পরার কারণে ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে কানে ধরে উঠবস এবং মাঠে চক্কর দিতে বাধ্য করেছেন।

(৪) রংপুর মেডিকেল কলেজের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এ কে এম নূরুন্নবী লাইজু বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। জানা গেছে, গত ৪ঠা এপ্রিল বুধবার সকাল ১০-টায় ৩৮নং ব্যাচের ওয়ার্ড সি গ্রুপের ক্লাসে ডা. নূরুন্নবী বলেন, তোমরা সিনিয়র মেয়েদের দিকে নজর দেবে না। কারণ তাদের আগেই বিয়ে হয়ে যায়। এজন্য সব সময় জুনিয়র মেয়েদের দিকে নজর দেবে। তাহলে কাজ হয়ে যাবে। এ কথার প্রেক্ষিতে ঐ ক্লাসের হাসান নামের এক ছাত্র দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করে- স্যার, আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ) তার সিনিয়র হযরত খাদীজা (রাঃ)-কে বিয়ে করেন। তখন ঐ শিক্ষক বলেন, ‘আরে নবী তো খাদীজাকে বিয়ে করেছে অর্থের লোভে। শুধু কি তাই, তিনি তো তার পালকপুত্র যায়েদের স্ত্রীকেও বিয়ে করেছেন। এজন্য আল্লাহর কাছ থেকে ওহি নাযিল করে বৈধ করে নিয়েছেন’। এছাড়াও তিনি এক ছাত্রকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আল্লাহ কি আছে রে! তাহলে দুনিয়াতে এত ইসলামী দল কেন। এত হানাহানি কেন’?

[এইসব জ্ঞানপাপীদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশের ভাষা আমাদের নেই। ক্ষমতাসীন সরকারের কোন প্রতিক্রিয়াও জানা যায়নি। তাহ’লে কি ধরে নেব যে, সরকার ইসলামের বিরুদ্ধে ও ইসলামের নবীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে? আমরা অনতিবিলম্বে এইসব শিক্ষকরূপী শয়তানদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি। নইলে ঈমানদার জনগণ কখনোই এগুলো মুখ বুঁজে সহ্য করবে না (স.স.)]

ব্রিটিশ শাসনের আগে এ দেশে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা ছিল না

বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি আয়োজিত বিশেষ বক্তৃতায় ড. নিতীশ সেনগুপ্ত বলেছেন, ঐতিহাসিকভাবে ব্রিটিশ শাসনের আগে এ দেশে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ছিল না। ১৯২৬ সালে সর্বপ্রথম দাঙ্গা হয়।

[ধন্যবাদ এই স্বীকৃতির জন্য। আমরা বলি, সকল দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও সামাজিক অশান্তির জন্য প্রধান দায়ী হ’ল দুর্নীতিবাজ রাজনীতিকরা। যারা ক্ষমতার সিঁড়ি হিসাবে জনগণকে ব্যবহার করে। ইসলামী নীতি অনুযায়ী দল ও প্রার্থীবিহীন নেতৃত্ব নির্বাচন ব্যবস্থা চালু হলে এইসব অসৎ লোকদের নেতৃত্বে আসার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কখনোই হবে না (স.স.)]

যুক্তরাষ্ট্র হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট

আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সহযোগী

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিকে সন্ত্রাসীদের সহায়ক শক্তি হিসাবে চিহ্নিত করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট। এর ফলে এসব দলের সমর্থক হিসাবে গত ৬/৭ বছরে যাদের রাজনৈতিক আশ্রয় মঞ্জুর হয়েছে, তারা এখনও গ্রীন কার্ড পাননি। বলা হচ্ছে যে, নিরাপত্তার প্রশ্নে আবেদন পেন্ডিং রাখা হয়েছে। শতশত বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন দেশের ৫ সহস্রাধিক ইমিগ্র্যান্ট এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। জানা গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-নেত্রীদের যুক্তরাষ্ট্র সফরে কোন বাধা না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের ক্ষেত্রে এ দু’টি দলের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ব্যাপারে আপত্তি দেখানো হচ্ছে নিরাপত্তার অজুহাতে।

[বোরকা ও দাড়ি-টুপী ওয়ালারাই শুধু নয়, এবার সেক্যুলাররাও ধরা খেল। অতি পশ্চিমা সেজেও পশ্চিমাদের মন জয় করা গেল না। সেক্যুলারদের বলব, তোমরা পুরাপুরি ইহুদী-খৃষ্টান না হওয়া পর্যন্ত ওরা তোমাদের বিশ্বাস করবে না। অতএব একটা পথ বেছে নাও। নইলে ইহকাল-পরকাল দু’টিই হারাবে (স.স.)]

আর্সেনিক ঝুঁকিতে দেশের ৭ কোটি মানুষ

দেশে দুই কোটি মানুষ আর্সেনিক দূষিত পানি পান করছে। আর আর্সেনিক দূষণের ঝুঁকিতে আছে সাত কোটি মানুষ। ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি নিয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সর্বশেষ জরিপ চালায় ২০০৯ সালে। ছয়টি বিভাগের ৫৫ যেলার ৩০১টি উপযেলার তিন হাযার ১৩২টি ইউনিয়নের নয় লাখ ৭২ হাযার ৮৬৫টি উৎসের (অগভীর নলকূপ, গভীর নলকূপ, পাতকুয়া, পুকুর, পন্ডস্যান্ড ফিল্টার ইত্যাদি) পানি পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা যায়, ২৮ দশমিক ৯ শতাংশ উৎসের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আর্সেনিক কর্মসূচীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাফরউল্লাহ চৌধুরী বলেন, আর্সেনিকোসিসের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ২০১০ সাল পর্যন্ত দেশে রোগী ছিল ৫৬ হাযার ৭৫৮ জন। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২৪ হাযার ৩৮৯ ও ৩৮ হাযার ৩২০ জন।

[অসৎ প্রতিবেশী আমাদের সকল নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে নদীমাতৃক বাংলাদেশকে মরুভূমি বানিয়েছে। ফলে মাটির নীচে পানির স্তর নেমে গিয়ে আর্সেনিক দূষণ ঘটছে। এখন আমরা নলকূপ দিয়ে পানির নামে বিষ টেনে তুলে পান করছি। অন্যদিকে নদীতে পানি না থাকায় সাগরের লবণাক্ত পানি উপরে চলে আসছে। ফলে লবণাক্ত পানিতে ফসল নষ্ট হচ্ছে। অথচ সরকার নির্বিকার। তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার সাহস না থাকলে অন্ততঃ আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করার সাহসটুকু তো থাকা উচিত (স.স.)]

মূল্যস্ফীতির নতুন রেকর্ড

মূল্যস্ফীতিতে নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। গত মার্চ মাসে খাদ্য-বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ। আগের মাস ফেব্রুয়ারীতে এটা সাড়ে ১৩ শতাংশেরও বেশী ছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে খাদ্য-বহির্ভূত খাতে এতো বেশী মূল্যস্ফীতি অতীতে আর কখনোই ঘটেনি। ‘বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’ (বিবিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। বিবিএস প্রকাশিত ভোক্তার মার্চ মাসের মূল্যসূচক (সিপিআই)-এ দেখা যায়, মার্চ মাসে বাংলাদেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ১০ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ২৮ ভাগ এবং খাদ্য-বহির্ভূত খাতে ১৩ দশমিক ৯৬ ভাগ। গ্রাম পর্যায়ে খাদ্য-বহির্ভূত খাতের মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ১৭ ভাগ। বাংলাদেশে এতোকাল যাবৎ খাদ্য খাতেই সর্বাধিক মূল্যস্ফীতি ঘটেছিল।

অভাবের তাড়নায় ছেলেমেয়েকে নিয়ে মায়ের আত্মহনন!

রাজবাড়ী যেলার পাংশা উপযেলার বনগ্রামে গত ৭ই এপ্রিল রাতে দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে এক মা আত্মহত্যা করেছেন। অভাব-অনটন সইতে না পেরে ঐ গৃহবধূ এ পথ বেছে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহত ব্যক্তিরা হ’ল গৃহবধূ আছিয়া খাতুন (২৭), ছেলে আছিফ (৭) ও মেয়ে খাদীজা (৪)।

জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে উপযেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চর আফড়া গ্রামের ডাবলু সরদারের মেয়ে আছিয়ার সঙ্গে পাট্টা ইউনিয়নের বনগ্রামের আমিরুলের বিয়ে হয়। আমিরুল পেশায় দিনমজুর হ’লেও নিয়মিত কাজ করত না। এ কারণে স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। গত ২০শে মার্চ ঝগড়ার এক পর্যায়ে আমিরুল স্ত্রীকে মৌখিকভাবে তালাক দেয়। পরে এলাকাবাসীর সমঝোতায় ১লা এপ্রিল পুনরায় তাদের বিয়ে পড়ানো হয়। ঘটনার দিন রাতে তাদের ঘরে রান্না হয়নি। সকালে বাড়ির পাশে আমগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মা ও ছেলেমেয়ের লাশ দেখতে পাওয়া যায়। আমিরুল জানায়, বৃষ্টির জন্য কাজ করতে না পারায় বাজার করতে পারেনি সেদিন। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়।

মাত্র ১শ’ টাকার জন্য কিশোরের আত্মহত্যা!

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে খালার উপর অভিমান করে ইউনুস হাওলাদার (১৫) নামে এক কিশোর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গত ১১ই এপ্রিল ভোর ৫-টায় খিলগাঁও থানাধীন উত্তর গোড়ান মাদানী ঝিলপাড়ের নাসিরের ভাড়া-বাড়ি থেকে পুলিশ কিশোর ইউনুসের লাশ উদ্ধার করে। বাসার আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করে। ১০ই এপ্রিল রাতে ইউনুস তার খালা লাবণীর কাছে ১শ’ টাকা চায়। তিনি টাকা না দেয়ায় রাতে সে আত্মহত্যা করে। ইউনুস তার খালার বাসায় থেকে এমব্রয়ডারির কাজ করত। তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট যেলার মংলা সদরের সাহেবের মাঠে।

[একদিকে চলছে ধনিক শ্রেণীর শোষণ, প্রশাসনের নির্যাতন ও রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের লুটপাট, অন্যদিকে চলছে অভাবের তাড়নায় আত্মহননের মিছিল। আল্লাহ তুমি এদেশকে রক্ষা কর! তোমার বান্দাদের সুমতি দাও! (স.স.)]

বিদেশ

ভারতে নীরব গণহত্যার শিকার কন্যা শিশুরা

ভারতে কন্যাশিশুকে বিবেচনা করা হয় ‘অবাঞ্ছিত শিশু’ (আনওয়ান্টেড গার্ল) হিসাবে। যদি গর্ভাবস্থায় নিশ্চিত হওয়া যায় যে, অনাগত শিশুটি কন্যাশিশু, তবে পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ স্থান মায়ের গর্ভেই তাকে হত্যা করা হয়। বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত এক দশকেই ভারতে অন্তত ৮০ লাখ কন্যাশিশুর ভ্রূণ (গর্ভের শিশু) হত্যা করা হয়েছে। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর অন্তত ৫ কোটি কন্যাশিশুর ভ্রূণ হত্যা করা হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, বর্তমান পৃথিবীতে যুদ্ধ, ক্ষুধা, মহামারী, প্রাকৃতিক দুর্যোগে যত লোক মারা যায়, তার চেয়ে অনেক বেশী কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয় ভারতে। একে ‘সাইলেন্ট জেনোসাইড’ বা নীরব গণহত্যা বলে মন্তব্য করছেন তারা। কোন কন্যাশিশু যদি সৌভাগ্যবশত পৃথিবীর আলো দেখার সুযোগ পায়, তার জন্য অপেক্ষা করে আরও নির্মমতা। অনেক সময় এসব কন্যাশিশুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। যদি কোন সহৃদয় পিতামাতা একান্তই তাকে হত্যা করতে না চায় তবে তার স্থান হয় রাস্তা কিংবা ডাস্টবিনের পাশে।

এনডিটিভিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে ১ বছর থেকে ৫ বছর বয়সী কন্যাশিশুদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ছেলেশিশুদের চেয়ে অন্তত ৭০% কম।

কন্যাশিশুর প্রতি এমন ভয়ঙ্কর আচরণের কারণে ভারতে কন্যাশিশু ও ছেলেশিশুর অনুপাতেও বড় ধরনের ব্যবধানের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি বিবিসি প্রচারিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৬১ সনে সাত বছর বয়সের নিচে ভারতে ১ হাযার ছেলেশিশুর বিপরীতে কন্যাশিশু ছিল ৯৭৬ জন। ২০১১ সালে কন্যাশিশুর সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৯১৪ জনে। ভারতে গর্ভাবস্থায় শিশুর সেক্স নির্ধারণের জন্য নিবন্ধিত আলট্রাসাউন্ড ক্লিনিকের সংখ্যা ৪০ হাযারেরও বেশী। অনিবন্ধিত ক্লিনিকও আছে বিপুল সংখ্যায়। ভারতে নারী গণহত্যা বন্ধে আন্দোলন করে এমন একটি প্রতিষ্ঠান ‘দ্য ফিফটি মিলিয়ন মিসিং ক্যাম্পেইন’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের বিশ্ব জেন্ডার সমতা প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারত নারীদের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ রাষ্ট্র। ১৪৬টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ১২৯তম। এশিয়ায় ভারতের চেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে শুধু যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের ৫০ ভাগ কন্যাশিশু এতোটাই অনাদর ও অবহেলায় বেড়ে ওঠে যে, তাদের ইচ্ছা হয় তারা যদি ছেলেশিশু হয়ে জন্ম নিত! ভারতে পরিত্যক্ত শিশুদের ৯০ ভাগই কন্যাশিশু। শুধু মেয়ে হওয়ার কারণেই তাদের পরিত্যাগ করেছে পিতা-মাতারা। বর্তমানে ভারতে পরিত্যক্ত কন্যাশিশুর সংখ্যা ১ কোটি। ইউনিসেফের হিসাবে গত ২০ বছরে ভারতে অন্তত ২০ লাখ কন্যাশিশুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

[দেড় হাযার বছর পূর্বে জাহেলী আরবের কিছু লোক সামাজিক কারণে তাদের কন্যা শিশুদের হত্যা করত বলে জানা যায়। ইসলাম আসার পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু আধুনিক যুগে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে, যে দেশের ক্ষমতায় আছেন গত কয়েক দশক ধরে নারী, সে দেশের কন্যা শিশুদের এই করুণ অবস্থা একথার সত্যতা প্রমাণ করে যে, বস্ত্তবাদ মানুষকে ধ্বংস করে এবং কেবলমাত্র ধর্মই মানুষকে রক্ষা করতে পারে। অতএব হে মানুষ! ফিরে এসো ইসলামের দিকে। নইলে বস্ত্তবাদের হিংস্র থাবায় তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে (স.স.)]

বিশ্বশান্তি বিপন্ন করবে ইসরাঈল

-গুন্টার গ্রাস

১৯৯৯ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী জার্মান কবি গুন্টার গ্রাস (৮৪) সম্প্রতি তার এক কবিতায় লিখেছেন, ইরান নয় বরং ‘ভঙ্গুর’ বিশ্বশান্তি আরো ‘বিপন্ন’ করবে পারমাণবিক শক্তিধর ইসরাঈল। গত ৪ঠা এপ্রিল জার্মানির সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিকসহ ইউরোপ জুড়ে বিভিন্ন দৈনিকে এটি প্রকাশিত হয়। তিনি সতর্ক করে দেন যে, ইসরাঈল প্রথম হামলা চালিয়ে ইরানের জনগণকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে পারে। নোবেল জয়ী এ সাহিত্যিক তার দেশের কাছে দাবী করছেন, ইসরাঈলকে যেন আর কোন পারমাণবিক ডুবোজাহাজ ‘জার্মান ইউবোট’ না দেয়া হয়। প্রসঙ্গত, জার্মানী বেশ কিছুকাল থেকে ইসরাঈলকে নিজেদের ‘ইউবোট’ নামক ডুবোজাহাজ সরবরাহ করছে। ‘যে কথা বলতেই হবে’ শিরোনামের ঐ কবিতায় তিনি বলেন, জার্মানী অতীতে ‘ইহুদীদের সঙ্গে যে আচরণ করেছিল সেই অভিজ্ঞতার কারণে তিনি এতদিন এ বিষয়ে বলতে ভয় পাচ্ছিলেন। তিনি এও বলেন যে, তিনি জানেন এ কবিতা প্রকাশিত হবার পর তাকে অতি পরিচিত কৌশল হিসাবে ‘ইহুদী বিদ্বেষী’ আখ্যা দেয়া হবে। তবুও তিনি না লিখে পারেননি। কারণ তিনি মনে করেন ইসরাঈল প্রথমেই আক্রমণ করে ‘ইরানী জনগণকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে’।

[‘ইহুদী-নাছারা কখনোই মুসলমানের বন্ধু নয়’ সেকথা পবিত্র কুরআনে বহু পূর্বেই হুঁশিয়ার করা হয়েছে (মায়েদাহ ৫১)। অতএব মুসলিম দেশগুলির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এখনই সময় (স.স.)]

ইউরোজোনে বেড়েছে বেকারত্বের হার

ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরোর দেশগুলোতে এ বছর বেকারত্বের হার বেড়েছে। ফেব্রুয়ারীতে ইউরোজোনে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮ শতাংশে। জানুয়ারীতে যা ছিল ১০ দশমিক ৭ শতাংশ। ১৯৯৯ সালে একক মুদ্রা ইউরো চালুর পর থেকে এ বছর ফেব্রুয়ারীতেই বেকারত্বের হার সর্বচ্চে পৌঁছেছে। এর মধ্যে স্পেনে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশী, ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ। সেখানে মোট বেকারের পরিমাণ ৪৭ লক্ষ ৭৫ হাযার।

ইতালীতে অর্থনৈতিক সংকটে ১০ লক্ষাধিক তরুণ চাকরি হারা : ইতালীতে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ২০০৮-২০১১ সালের মধ্যে দশ লাখের বেশী তরুণ চাকরি হারিয়েছেন। ইতালির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো ৭ এপ্রিল একথা জানিয়েছে। এই হিসাবে বলা হয়েছে, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী কর্মীর সংখ্যা ৭১ লাখ দশ হাযার থেকে হ্রাস পেয়ে ৬০ লাখ পাঁচ হাযারে এসে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে ২০১০ সালেই দুই লাখ ৩৩ হাযার কর্মী চাকরি হারিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে সুপ্রিম কোর্টকে চ্যালেঞ্জ

নির্বাচিত কংগ্রেসে পাসকৃত কোন বিল গুটিকয় অনির্বাচিত ব্যক্তি বাতিল করতে পারে না

-ওবামা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার ঐতিহাসিক স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার পরিকল্পনার গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে খুবই বিরল। তিনি রাজনৈতিক ইস্যুতে বিচার বিভাগকে সংযত আচরণ করার আবেদন জানান এবং সতর্ক করে দিয়ে বলেন, অনির্বাচিত প্রতিষ্ঠান সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে এই স্বাস্থ্যসেবা আইন বাতিল হ’লে কোটি কোটি মার্কিন নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি আরো বলেন, কংগ্রেসে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থনে পাস হওয়া একটি বিলের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতো অনির্বাচিত একটি প্রতিষ্ঠানের বাতিল করা উচিত হবে না। ওবামা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের কখনই উচিত নয় নির্বাচিত সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা।

[ধন্যবাদ মিঃ ওবামা! বিচার বিভাগের প্রতি আপনার শ্রদ্ধাবোধ দেখে বলতে ইচ্ছে হয় যে, ওখানেও জনগণের নির্বাচনে বিচারপতি নিয়োগ করুন। যেমন আপনাকে ভোট দিয়েছিল ১০৬ বছরের এক হিতাহিতজ্ঞানহীন বুড়ী। যেটাকে নিয়ে আপনি আপনার প্রথম স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণে গর্ব করেছিলেন। আপনার হিসাবে তাহ’লে মাথার মূল্য আছে, মগযের মূল্য নেই। আপনাদের চালু করা এই প্রতারণাপূর্ণ ভোটের রাজনীতির কল্যাণেই তো আপনাদের মত লোকেরা প্রেসিডেন্ট হতে পারে। সারা বিশ্বে দৈনিক হাযার হাযার নিরীহ মানুষকে হত্যা করেও যাদের রক্তক্ষুধা মেটে না। ধিক! শত ধিক তোমাদের মত নোবেল প্রাইজ ওয়ালা প্রেসিডেন্টদের (স.স.)]

স্রষ্টাকে বাদ দিয়ে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বিপজ্জনক

-পোপ

স্রষ্টা ও নৈতিক মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতনতা ছাড়া প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অর্জন সারা বিশ্বের জন্যই হুমকি বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট। তিনি বলেন, ‘স্রষ্টাকে ঢেকে ফেলা ও মূল্যবোধে কালো ছায়া ফেলা অন্ধকার সত্যিকার অর্থেই আমাদের অস্তিত্ব এবং পৃথিবীর জন্য হুমকি’। পোপ বলেন, সৃষ্টিকর্তা ও নৈতিক মূল্যবোধ, ভালো ও খারাপের মধ্যকার পার্থক্য অন্ধকারে থেকে গেলে আর সব ধরনের আলো কেবল উন্নতি নয় বরং তা এক ধরনের হুমকি- যা আমাদের এবং সারা বিশ্বকেই ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়’।

[এই মানবিক অনুভূতির জন্য পোপকে ধন্যবাদ। কিন্তু বিশ্ব সন্ত্রাসী ইহুদী-খৃষ্টান চক্রকে রোখার জন্য কেবল এতটুকু যথেষ্ট নয়। বরং তাদের আক্বীদায় পরিবর্তন আনা যরূরী। পোপ-পাদ্রীরা তাদের অনুসারীদের মধ্যে এই ভুল বিশ্বাস সৃষ্টি করে দিয়েছেন যে, যীশু খ্রীষ্ট সকল মানুষের পাপ কাঁধে নিয়ে শূলবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন’। অতএব এখন খৃষ্টান নেতারা যত পাপ করুন, তাতে তারা কোনই তোয়াক্কা করবে না। তাই পোপদের অনুরোধ করব। নিজেদের বানোয়াট ধর্ম ত্যাগ করে তওরাত-ইনজীলের আগাম সুসংবাদ অনুসরণে শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর ঈমান আনুন এবং ইসলাম কবুল করে নিজেদের লোকদের তার অনুসারী বানিয়ে ইহকাল ও পরকালে সুখী হউন (স.স.)]

গুজরাটে মুসলিম হত্যা

২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল গুজরাটের বিশেষ আদালত

গুজরাটের একটি বিশেষ আদালত নারী ও শিশুসহ ২৩ নিরীহ মুসলমানকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং পর্যাপ্ত সাক্ষী ও আলামতের অভাবে অপর ২৩ জনকে খালাস দিয়েছে। ২০০২ সালে গুজরাটের গোধরায় একটি ট্রেনে আগুন দেয়াকে কেন্দ্র করে মুসলিমবিরোধী ভয়াবহ দাঙ্গা উস্কে দেয়া হয়েছিল এবং তারই জের ধরে আনন্দ যেলার ওদে শহরে মার্চের দুই তারিখে এ মর্মান্তিক হত্যাকান্ড ঘটেছিল। দাঙ্গাকারী প্রায় দুই হাযার উত্তেজিত জনতা ওদে শহরের কাছে পিরওয়ালি ভাগোলে ২০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। দাঙ্গার হাত থেকে প্রাণে রক্ষা পাওয়ার আশায় এসব বাড়িতে কয়েকজন অসহায় মুসলমান আশ্রয় নিয়েছিল এবং তাদের মধ্যে বেশীর ভাগই ছিল নারী ও শিশু।

চীনে বিশ্বের দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতু উদ্বোধন

চীনের গুনান প্রদেশে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু এবং দীর্ঘ ঝুলন্ত সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। হুনান প্রদেশের জিশোতে অবস্থিত এ সেতুটি ১ হাযার একশ দুই ফুট উঁচু এবং তিন হাযার আটশ’ ৫৮ ফুট দীর্ঘ। ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে এ সেতুর কাজ শুরু করা হয়।

অস্ত্র আমদানীতে শীর্ষে ভারত

অস্ত্র আমদানীতে ভারত এখন সবার শীর্ষে। সুইডেনের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাবিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপ্রি) নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সিপ্রির হিসাব অনুযায়ী ২০০৭ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের ১০ শতাংশ অস্ত্র আমদানী করেছে। আর এ অস্ত্রের ৮০ শতাংশই এসেছে রাশিয়া থেকে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০২ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে অস্ত্র আমদানীতে চীন ছিল শীর্ষে।

চীনের গানসু এলাকায় চীনা ভাষায় কুরআন মাজীদের প্রাচীন অনুবাদের সন্ধান লাভ

উত্তর-পশ্চিম চীনের গানসু এলাকায় মুসলিম গবেষকরা চীনা ভাষায় কুরআন মাজীদের প্রাচীনতম অনুবাদের সন্ধান পেয়েছেন। হাতে লেখা এই অনুবাদ সম্পন্ন হয় ১৯১২ সালে। লীন ছাও ইউনিভার্সিটির মুসলিম সংস্কৃতি কেন্দ্রের গবেষকরা প্রাচীন পান্ডুলিপি সমূহের মধ্যে কুরআন মাজীদের এই অনুবাদ খুঁজে পান। ধারণা করা হচ্ছে যে, ঝাং ও মা ফূ লো নামের দু’জন চীনা মুসলিম আলেম এই অনুবাদ করেন। ১৯০৯ সালে তারা অনুবাদ শুরু করে ১৯১২ সালে সমাপ্ত করেন। গবেষকদের মতে চীনা ভাষায় এটিই কুরআনের সবচেয়ে প্রাচীন অনুবাদ।

[মুহাদ্দিছ, বেনারস, ভারত, ফেব্রুয়ারী ২০১২, পৃঃ ৪৫]






ইসরায়েলই মুসলিম চরমপন্থী তৈরী করছে - ব্রিটিশ এমপি
বাংলাদেশ থেকে ট্রেন যাবে সিঙ্গাপুর
ইহূদীবাদী ইস্রাঈলী সেনাদের আত্মহত্যার মিছিল!
দাঙ্গা থেকে বাঁচিয়ে বিশ্বনন্দিত হ’লেন পুত্রহারা ইমাম
শ্রীলঙ্কায় কাঁঠাল খেয়ে বেঁচে আছে লাখ লাখ মানুষ
১৫ কেজি সোনা পেয়েও ফেরত দিলেন বাংলাদেশী পরিচ্ছন্নতা কর্মী তাহের আলী!
স্পেনের পর জার্মানী ও নেদারল্যান্ডসের মসজিদে মসজিদে আযান!
সিলেট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে পাওয়া গেল মানুষ বিক্রির দলীল!
সকল মহিলার প্রতি হিজাব পরার জন্য অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্টের আহবান
আবহাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের প্রায় দুই কোটি শিশু
এবারও মেলেনি চামড়ার দাম
২০১৮ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বছর
আরও
আরও
.