আলু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন

অল্পখরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে আলু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রযুক্তি গবেষণায় নতুনমাত্রা যোগ করলেন হিব্রু ইউনিভার্সিটি অফ জেরুযালেমের বিজ্ঞানী হেইম রাবিনোউইচ। আলুর গায়ে লেগে থাকা নতুন সবুজ কান্ডের মত অংশের সঙ্গে সস্তা কিছু ধাতু ও তার সংযোগ ঘটিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রক্রিয়াটি সম্পাদন করা হবে। এ পদ্ধতিতে একটি আলু ব্যবহার করে এলইডি লাইটের মাধ্যমে ৪০দিন পর্যন্ত কোন ঘর আলোকিত করা যাবে। এতে করে প্রত্যন্ত শহর এবং গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে বলে জানিয়েছেন রাবিনোউইচ। তিনি বলেন, আলু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রক্রিয়াটি পুরনো হ’লেও আলুর সবুজ অংশ থেকে তা করার ধারণা এটাই প্রথম।

শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরী হচ্ছে ড্রোন বিমান

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরী হচ্ছে মনুষ্যবিহীন ড্রোন বিমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগের একদল তরুণ গবেষক ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ জাফর ইকবালের তত্ত্বাবধানে এই ড্রোন তৈরির কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ইতিমধ্যেই ড্রোনের একটি পরীক্ষামূলক ডিজাইন তৈরী করা হয়েছে। আগামী এপ্রিল নাগাদ এটি আকাশে উড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত বছরের এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া বিমানটির ডিজাইন তৈরির পর এখন প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সংযোজনের কাজ চলছে। মনুষ্যবিহীন এই ড্রোনে ক্যামেরার মাধ্যমে ভিডিওচিত্র তোলা যাবে। এছাড়া দেশের সীমানা পাহারা দেওয়া, উপর থেকে তাৎক্ষণিক ছবি তোলা ও আবহাওয়া সম্পর্কে তথ্য জানা, রেল লাইন পাহারা সহ বিভিন্ন উপকার পাওয়া যাবে।

এবার চাঁদে চাষাবাদের আয়োজন

এবার চাঁদে চাষাবাদের লক্ষ্যে সেখানে তিন ধরনের উদ্ভিদের বীজ পাঠাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সেখানে বীজগুলো থেকে চারা গজানোর চেষ্টা করা হবে। পৃথিবীর বাইরে কোথাও বীজ অঙ্কুরিত করার চেষ্টা এটাই প্রথম।

নাসা চাঁদে ক্রেস (সালাদে ব্যবহৃত পাতাবিশিষ্ট ঝাল স্বাদের শাক-গাছ), ব্যাজল (পুদিনা বা ধনেপাতার মত সুগন্ধিযুক্ত গুল্ম) ও শালগমের বীজ পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। এই বীজগুলো বিশেষভাবে নির্মিত ঢাকনাযুক্ত এক প্রকার ধাতব পাত্রের ভেতরে রাখা হবে। লুনার প্লান্ট গ্রোথ চেম্বার নামের এ পাত্রে ১০ দিনের জন্য পর্যাপ্ত বাতাস থাকবে। যা বীজগুলো অঙ্কুরিত হওয়া এবং পাঁচ দিন বেড়ে ওঠার জন্য যথেষ্ট। তবে এ ক্ষেত্রে সূর্যের প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করা হবে। সর্বশেষ এই পরীক্ষা মহাকাশচারীদের জন্য চাঁদে অবস্থানের সময় নিজস্ব খাদ্য তৈরীর পথ সুগম করবে।  মুন এক্সপ্রেস কর্মসূচির অংশ হিসাবে ২০১৫ সালে নতুন এ মিশনের কার্যক্রম শুরু হবে। মুন এক্সপ্রেস হচ্ছে চাঁদে অভিযানের বাণিজ্যিক একটি প্রকল্প। নাসা জানিয়েছে, চাঁদে চারা উৎপাদনের মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠে প্রাণের অস্তিত্বের উপযুক্ততাও মূল্যায়ন করা যেতে পারে। চন্দ্রপৃষ্ঠে মানুষের বসবাস ও কাজ করার সুদীর্ঘ প্রত্যাশা পূরণের পথে এটা প্রথম পদক্ষেপ।

[পৃথিবীতে প্রায় সিকি মানুষ না খেয়ে মরছে। তাদের সহজে খাদ্য যোগানোর ফর্মূলা আবিষ্কার করুন। কেননা আল্লাহ মানুষকে পৃথিবী আবাদ করার জন্যেই এখানে পাঠিয়েছেন (স.স.)]






আরও
আরও
.