পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট। কিন্তু সম্প্রতি সুবিশাল এক পর্বতমালার সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তারা। কারণ ভূগর্ভের কেন্দ্রমন্ডল ও গুরুমন্ডলের মাঝে ঐ পর্বত অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। এভারেস্টের চেয়ে এই পাহাড়ের উচ্চতা অন্তত চার থেকে পাঁচ গুণ বেশী বলে দাবী করেছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি ভূগর্ভের বিষয়ে গবেষণা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী। ভূমিকম্প ও পরীক্ষামূলক পারমাণবিক বিস্ফোরণের জেরে তৈরি হওয়া তরঙ্গের সেসমিক ডেটা বিশ্লেষণ করে সুবিশাল ঐ পর্বতমালার অস্তিত্বের কথা জানতে পারেন তারা।

উল্লেখ্য, সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এভারেস্ট শৃঙ্গের উচ্চতা ৮ হাযার ৮৪৮ মিটার। অর্থাৎ প্রায় ৯ কি.মি.। অন্যদিকে ভূবিজ্ঞানীদের দাবী অনুযায়ী ভূগর্ভে লুকিয়ে থাকা ঐ পর্বতমালার সর্বোচ্চ শৃঙ্গের উচ্চতা প্রায় ৩৮ কি.মি.। কিন্তু কিভাবে ভূগর্ভের ঐ অংশ পর্বত হিসাবে গড়ে উঠল? বিজ্ঞানীদের অনুমান, সম্ভবত প্রাচীনকালে টেকটনিক প্লেট গুরুমন্ডলের ভিতরে ঢুকে গিয়েছিল। পরবর্তীকালে ঐ প্লেট গুরুমন্ডল ও কেন্দ্রমন্ডলের মাঝে বিস্তৃত হয়ে যায়। এর ফলে এই পর্বত গজিয়ে ওঠে বলে অনুমান করা হচ্ছে। 

[এটি নিঃসন্দেহে আল্লাহর অপূর্ব সৃষ্টি বৈচিত্র্যের অংশ। যে জন্য আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই আসমান ও যমীনের সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিবসের আগমন-নির্গমনে জ্ঞানীদের জন্য (আল্লাহর) নিদর্শন সমূহ রয়েছে’ (আলে ইমরান ৩/১৯০)। এতে বুঝা যায় যে, আল্লাহর সৃষ্টির বহু কিছু আজও বিজ্ঞানীদের অজ্ঞাতে রয়েছে। অতএব সবার উচিত কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বর্ণিত আল্লাহর কালাম সমূহের উপর নিশ্চিন্ত বিশ্বাস পোষণ করা এবং সেই অনুযায়ী আমল করা (স.স.)]






আরও
আরও
.