আল্লাহ মহান
এফ.এম. নাছরুল্লাহ হায়দার
কাঠিগ্রাম, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।
গভীর রজনী দমকা বাতাস
অাঁধার ঢাকা ঘোর,
শান্ত পৃথিবী ঘুমিয়ে আছে
নিদ্রায় বিভোর।
কুল-কুল ধ্বনি বইছে হাওয়া
পদ্মা নদীর পাড়ে,
চন্দ্র তারার প্রদীপ জ্বেলে
লক্ষ বছর ধরে।
আকাশ পরী উল্কাগুলো
ভেলকি দিয়ে যায়,
আল্লাহ তুমি অতি মহান
তোমার ইশারায়।
রাত জাগাপাখি বলছে ডাকি
আল্লাহ মহান তুমি
তোমার দয়ায় সৃষ্টি সকল
বিশ্ব জগৎভূমি।
ছুবহে ছাদিক শেষে জাগল ভুবন
মুয়াযযিনের আল্লাহু আকবার ডাকে,
ভোরের আলো উঠল হেসে
অদূর গাঁয়ের ফাঁকে।
***
হক্ব ও বাতিল
মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ
নলত্রী, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।
কুরআন-হাদীছ পেয়েও যারা
গড়ছে বিদ‘আত কারখানা,
ছহীহ হাদীছের মত ছাড়ছেতো
ইজমা-কিয়াস ছাড়ছে না।
ব্যক্তিপূজায় অন্ধ হয়ে
কুরআন-হাদীছ ভুলছে যারা,
ছহীহ হাদীছ বলতে গেলে
মনগড়া রায় বলছে তারা।
বলুন তো ভাই হাদীছ ছেড়ে
ইজমা-কিয়াস কি মানা যায়?
হাদীছ ছেড়ে ইজমায় আমল
কেমন তাদের বিবেক ভাই?
ভুল ধরলে ছহীহ-যঈফ
দু’টিই সঠিক কয় তারা,
ছহীহ হাদীছ মানবে না তাই
করে নানান পাঁয়তারা।
মনগড়া রায় মেনে মেনে
হচ্ছে তাদের দিল ভারী,
তাইতো তারা হক্বপন্থীদের
করে সদা টিটকারী।
ইলম-কালাম কিছু নাই
তবু মুফতী বনে যায়,
নানান মানুষ ভ্রান্ত যে হয়
তাদের মুখের মিষ্টি কথায়।
হক্বপন্থীদের কথা শুনে
করে তারা ভৎর্সনা,
ছহীহ হাদীছ বলতে গেলে
শুনতে হয় ঢের গঞ্জনা।
যে যাই বলুক হক্ব ও বাতিল
কখনোই তো মিশবে না,
যতই তারা ফন্দি আটুক
করুক যত মন্ত্রণা।
এসো শিরক-বিদ‘আত ছেড়ে
অাঁকড়ে ধরি আল-কুরআন,
তবেই মোরা পরকালে
লাভ করিব পরিত্রাণ।
***
তাবলীগী ইজতেমার দাওয়াত
আবুল কাসেম
গোভীপুর, মেহেরপুর।
আহলেহাদীছ ডাক দিয়েছে
চল সবে ইজতেমায়
সম্মেলনে যেতে হবে
বসে থাকার নেই সময়।
সবাই মিলে বসব মোরা
ইজতেমার ময়দানে
শুনব তাওহীদের বাণী,
বক্তব্যের মাঝে মাঝে হবে
ইসলামী জাগরণী।
জাহান্নাম বিষয়ে বক্তব্য
যেদিন শুনেছি মোর কানে,
সেদিন থেকেই আযাবের ভয়
লেগেছে আমার প্রাণে।
আন্দোলনের নেতা-কর্মী সব
একনিষ্ঠ ত্যাগী মুসলমান,
সব কিছু বিসর্জন দিয়েও
ইসলামের রাখেন সম্মান।
আল্লাহর বাণী শুনেছি সেদিন
বলেছেন অনেক ভাই,
সেসব অমূল্য বক্তব্য
মোরা আজও ভুলি নাই।
ইজতেমার ভাষণ শুনলে
বাড়ে সবার ঈমান,
তাই সেখানে যোগদানে
জানাই সবাইকে আহবান।
***