আসাম সরকার প্রদেশটির মাদ্রাসাসমূহে স্কুলে পরিণত করার জন্য নানামুখী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যা নিয়ে চিন্তিত সেখানকার মুসলিম নেতারা। তারা আসাম সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, সংবিধানের ৩০-এ ধারা অনুযায়ী সংখ্যালঘুরা নিজেদের পসন্দমত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে পারবে এবং সরকার তাতে সহযোগিতা করবে। অথচ আসাম সরকার দেশের সংবিধানবিরোধী পদক্ষেপ নিচ্ছে।

আসাম প্রদেশ জমঈয়তে আহলেহাদীছের সম্পাদক আলমগীর সরদার বলেন, আসাম সরকারের মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও সংবিধান বিরোধী। নানা ভাষা ও নানা মতের ভারতবর্ষকে আজ গৈরিকীকরণের অপচেষ্টায় মেতে উঠেছে বর্তমান সরকার। প্রদেশটির বর্তমান মাদ্রাসাগুলোতে আধুনিক শিক্ষার সাথে সাথে নামমাত্র ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হয়। বর্তমান সরকার সেটাও চাইছে না। আমরা সরকারের কাছে মাদ্রাসা শিক্ষা যাতে বন্ধ না হয়, তার অনুরোধ জানাই।

জামায়াতে ইসলামী হিন্দের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি মাওলানা আব্দুর রফীক বলেন, আসাম সরকার মাদ্রাসার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আসামের ঐতিহ্য বিরোধী। আসামের প্রায় ১ কোটি মুসলমানের জন্য ১১ হাযার মাদ্রাসা আছে। তার মধ্যে প্রায় হাযার খানেক সরকারী মাদ্রাসা আছে। এগুলি ব্রিটিশ আমল থেকে আছে।

মাদ্রাসা বন্ধ করে দিলে সেখানে যে হাযার হাযার একর জমি মুসলিমরা দান করেছে তার কী হবে? তাছাড়া মাদ্রাসায় শুধু মুসলিমরা পড়াশোনা করে না, অমুসলিমরাও পড়াশোনা করে। সংখ্যালঘু প্রান্তিক মানুষদের শিক্ষার সুযোগ করে দিতে আসাম সরকারকে মাদ্রাসার পরিকাঠামোর উন্নতি করতে হবে।

তারা বলেন, আসাম সরকার যে পদ্ধতিতে মাদ্রাসা তুলে দিতে চাইছেন, সেটা সংবিধান পরিপন্থী। ধর্মনিরপেক্ষ দেশে কোন সরকার এভাবে সংবিধানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে পারে না।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল মতীন বলেন, ভারতের সংবিধানে মাদ্রাসা ও সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার কথা বলা আছে। তাই আসাম সরকারের এই প্রস্তাব সংবিধান ও দেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ বিরোধী।






আরও
আরও
.