কিডনী বিকল করতে পারে কোমল পানীয়
কোল্ড ড্রিংকস পান করলে কিডনী বিকল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, কোল্ডড্রিংকস কিংবা যে কোন সফট ড্রিংকস মানুষের কিডনীর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। খাবারে প্রয়োজনের অতিরিক্ত চিনিও কিডনীর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হ্রাস করে। তারা দেখিয়েছেন, দিনে দু’বোতল কোল্ডড্রিংকস প্রোটিনিউরিয়া বা মূত্রের মাধ্যমে অতিরিক্ত প্রোটিনের নির্গমনের কারণ হয়।
প্রোটিনিউরিয়া কিডনীর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট হওয়ার নির্দেশক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, কোল্ডড্রিংকসে মিষ্টি স্বাদ তৈরী করার জন্য যে পরিমাণ ফরুকটোস সিরাপ ব্যবহার করা হয় তা কিডনী বিকল করতে যথেষ্ট। কিডনীর কোষগুলো অতিরিক্ত লবণ পুনঃশোষণ করে। এছাড়া এর ফলে, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, হাইপার টেনশনও ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পায়।
স্মার্টফোনে নিয়ন্ত্রিত হবে রোবট ভ্যাকুয়াম ক্লিনার
প্রযুক্তি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ডাইসন ১৬ বছর গবেষণার ভিত্তিতে প্রথমবারের মতো নিয়ে এসেছে স্মার্টফোনের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণের উপযোগী স্বয়ংক্রিয় বা রোবটচালিত একটি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার। ঘরবাড়ি পরিষ্কার করার কাজে এই রোবটচালিত ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ‘বৈপ্লবিক পরিবর্তন’ আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাড়ির লোকজন ঘরের বাইরে থাকা অবস্থায়ও যন্ত্রটি স্মার্টফোনের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট স্থান বা আসবাব পরিষ্কার করে রাখতে পারবে। উচ্চক্ষমতার প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরী যন্ত্রটি কার্যকরভাবে ময়লা পরিষ্কার করে সত্যি সত্যিই মানুষের শ্রম অনেক বাঁচিয়ে দিতে পারবে বলে নির্মাতারা দাবী করছেন।
জাপানে আগামী বছর এটি বিক্রি শুরু করা হবে। ডাইসন ৩৬০ আই তৈরীর গবেষণায় মোট দু’কোটি ৮০ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড খরচ হয়েছে। এ প্রকল্পে ডাইসনের দুই শতাধিক প্রকৌশলী কাজ করেছেন। যন্ত্রটির চোখ তৈরীতে বীজগণিত, সম্ভাব্যতার তত্ত্ব, জ্যামিতি ও ত্রিকোণমিতি সমন্বিতভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। ঘূর্ণনের প্রযুক্তিটি তৈরীর কাজে ৩১ জন সফটওয়্যার প্রকৌশলী এক লাখ ঘণ্টারও বেশী সময় ব্যয় করেছেন।
ভারতে অাঁটি ছাড়া আম উদ্ভাবন
অাঁটি ছাড়া আম উদ্ভাবন করেছেন ভারতের বিহার রাজ্যের ভাগলপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তারা উৎপাদন করেছেন প্রায় অাঁটি ছাড়া এই আম। ছয় মিলিমিটার আকারের বরইয়ের অাঁটির মতো বা তার চেয়ে ছোট অাঁটি আছে এই আমে। গবেষকরা জানিয়েছেন, নতুন উৎপাদন করা এই আমের ৯৫ শতাংশই খাওয়া যাবে।