ব্যাটারি চার্জ হবে ঘাম থেকে!

যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী এবার উদ্ভাবন করেছেন একটি বিশেষ উল্কি বা ট্যাটু। এটি জৈব ব্যাটারি হিসাবে কাজ করে এবং মানুষের শরীরের ঘাম থেকে বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন করতে পারে। মার্কিন রসায়নবিদদের সংগঠন আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির সম্মেলনে এই প্রযুক্তির প্রদর্শনী হয়েছে। এ জৈব ব্যাটারির জ্বালানি আসবে ল্যাকটেট (ল্যাকটিক অ্যাসিডের রাসায়নিক লবণ) থেকে। প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের পর শরীর থেকে যে ঘাম বের হয়, তাতে এই ল্যাকটেট পাওয়া যায়। তবে এ মুহূর্তে মাত্র চার মাইক্রোওয়াট চার্জ করা সম্ভব হয়েছে, যা পরিমাণে খুব বেশী নয়। তবে প্রযুক্তিটির উন্নয়নের মাধ্যমে আরও বেশী চার্জ করার চেষ্টা চলছে।

চুল গজানোর নতুন ঔষধ আবিষ্কার

চুল পড়ে যাওয়া ব্যক্তিদের জন্য এবার আবিষ্কার হ’ল চুল গজানোর ওষুধ। দীর্ঘদিন যাবৎ বিজ্ঞানীরা চুলের মরা কোষে জীবন ফিরিয়ে দিতে নানা ধরনের গবেষণা করছেন। লেজার ট্রিটমেন্ট, হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টসহ ব্যয়বহুল ও জটিল নানাবিধ কিছু পদ্ধতি এরই মধ্যে উদ্ভাবিত হয়েছে। এগুলো সাধারণের নাগালের বাইরে। যে কারণে চিকিৎসা নিতে পারেন না সাধারণ মানুষ। তবে এবার বিজ্ঞানীরা অবশেষে চুল গজানোর ওষুধ বানাতে সক্ষম হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দীর্ঘদিন গবেষণার পর মাথার সেসব কোষে চুল গজাতে পেরেছেন যেসব কোষ ইতিমধ্যেই মৃত হিসাবে গণ্য হয়েছিল। তাঁরা মূলত ‘এলোপেশিয়া আরাইতা’ নামের একটি রোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের ওষুধ ব্যবহারে সফলতা অর্জন করেছেন।

এরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সম্পূর্ণ মাথা অথবা খুলির বিচ্ছিন্ন কিছু অংশে চুল গজানোর কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ইঁদুরের ওপর গবেষণা শেষে বিজ্ঞানীরা এলোপেশিয়া আরাইতা আক্রান্ত ৩ ব্যক্তির ওপর অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনে কার্যকর ওষুধ প্রয়োগ করেন। তারপর আসে এই কাঙ্খিত সফলতা।

ভুঁড়ি বাড়লে স্মৃতিশক্তি কমে যায়

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, মধ্য বয়সে স্থুল পেট যুক্ত ব্যক্তিদের ভবিষ্যতে সাধারণ অবস্থার থেকে ৩.৬ গুণ প্রবণতা থাকে স্মৃতি শক্তি লোপ পাওয়ার। রুশ ইনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটের সঙ্গে যৌথ গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে, যে প্রোটিনটি ফ্যাট বিপাকের সঙ্গে যুক্ত থাকে সেই একই প্রোটিন মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাসে স্মৃতি ও শিক্ষা গ্রহণের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে। যকৃতের মধ্যে শরীরের সবচেয়ে বেশি ফ্যাট বিপাক হয়। পিপিএআর আলফা যকৃতে ফ্যাট বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। পিপিএআর আলফা তাই যকৃতের মধ্যে সর্বাধিক পরিমাণে পাওয়া যায়। যেহেতু পিপিএআর আলফা সরাসরি ফ্যাট বিপাকের সঙ্গে যুক্ত, তাই বৃহৎ ভুঁড়িওয়ালা ব্যক্তিদের যকৃতে পিপিএআর আলফার পরিমাণ কমতে থাকে। ফলে ফ্যাট বিপাক অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে যকৃতে পিপিএআর আলফার পরিমাণ কমতে থাকলেও পরবর্তী সময়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ এমনকি মস্তিষ্কেও কমতে থাকে এই প্রোটিনের পরিমাণ। ফলে লোপ পেতে থাকে স্মৃতিশক্তি।






আরও
আরও
.