এক গ্রহের চার সূর্য!

আমাদের সৌরজগতে সূর্যকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে পৃথিবীসহ ৮টি গ্রহ। কিন্তু সম্প্রতি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ভিন্ন এক সৌরজগতে এমন এক গ্রহের সন্ধান পেলেন, যার আকাশ চারটি সূর্যের আলোয় আলোকিত। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ভিন্ন সৌরজগতে একটি গ্রহের দুই নক্ষত্রকে ঘিরে আবর্তন করার ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু এমন চার সূর্যের মধ্যে কোন গ্রহের অবস্থান দেখতে পাওয়া এই প্রথম।

পৃথিবীর তিনগুণ ওযনের হীরা!

পৃথিবীতে বিদ্যমান হিরার হিসাব বের করা দুরূহ। তবে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক দাবী অনুযায়ী মহাকাশে এমন এক নতুন গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে, যেখানে হীরা আছে পৃথিবীর ওযনের প্রায় তিনগুণ। গ্রহটি আয়তনে পৃথিবীর প্রায় দ্বিগুণ। গ্রহটির নাম উল্লেখ করা হয় ‘৫৫ কেনক্রি-ই’। এটি এত দ্রুত আবর্তিত হয় যে সেখানে মাত্র ১৮ ঘণ্টায় এক বছর পূর্ণ হয়। গবেষকদের দাবী অনুযায়ী, পানি ও পাথুরে শিলার পরিবর্তে ৫৫ কেনক্রি-ইর ভূ-পৃষ্ঠ পুরোটাই কার্বন আর হীরক খন্ড দিয়ে ঢাকা। অবিশ্বাস্য রকমের উষ্ণ এ গ্রহটির ভূ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ১,৬৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বায়ু ও পানি থেকে পেট্রোল

বাতাস ও পানির সংমিশ্রণে পেট্রোল উৎপাদন করেছেন ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা। পানি থেকে হাইড্রোজেন এবং বায়ু থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড নিয়ে এ ধরনের পেট্রোল তৈরী করে সম্প্রতি এ অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন তারা। এখনো বিষয়টা ততটা এগোয়নি৷ শুধু জানা গেছে, উত্তর ইংল্যান্ডের টি সাইড এলাকার ‘এএফএস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা পানি আর বাতাস নিয়ে এ কাজটি সম্পন্ন করেছেন৷ এএফএস-এর প্রধান নির্বাহী পিটার হ্যারিসন জানিয়েছেন, বাজারে এখন যেসব পেট্রোল পাওয়া যায় তার চেয়ে এই পেট্রোল অনেক পরিষ্কার৷ সিনথেটিক বা কৃত্রিম বলেই এ পেট্রোল তুলনামূলকভাবে বেশি পরিষ্কার৷ এর আরেকটা ভালো দিক হ’ল, এতে ক্ষতিকর সালফার থাকে না। আর তাই পরিবেশ দূষণের আশঙ্কাও নেই।

[আল্লাহ বলেন, তোমরা কি দেখোনা যে, আল্লাহ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সবই তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন এবং তোমাদের প্রতি তাঁর প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অনুগ্রহরাজি পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন?... (লোকমান ৩১/২০)। অতএব হে মানুষ! বিজ্ঞান গবেষণার মাধ্যমে আল্লাহ্র দেওয়া কল্যাণসমূহ আহরণ কর ও তাঁর প্রতি সিজদাবনত হও (স.স.)]

পৃথিবী থেকে খসে চাঁদের জন্ম!

চাঁদ এক সময় পৃথিবীর অংশ ছিল। পরে এক সময় মহাজগতের অন্য একটি বড় বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষে সেটি ছিটকে পড়ে বাইরে চলে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সম্প্রতি এমন দাবীই করেছেন। তারা বলেন, পৃথিবী ও চাঁদের গাঠনিক উপাদান ও রাসায়নিক বিষয়বস্তুর মধ্যে মিল থাকার বিষয়টি ব্যাখ্যা করবে তাদের এই তত্ত্ব। তাদের দাবি, চাঁদের যখন সৃষ্টি হয়, পৃথিবী তখন অনেক বেশি দ্রুত গতিতে আবর্তিত হ’ত। একটি দিন মাত্র দুই-তিন ঘণ্টা স্থায়ী ছিল। দ্রুত গতিতে পৃথিবীর আবর্তনের কারণে মহাজগতের কোন ভারী বস্তুর সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়। এই বড় ধরনের সংঘর্ষ থেকে চাঁদের সৃষ্টি হয়। তাদের দাবী অনুযায়ী, সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর আবর্তন এবং পৃথিবীর চারপাশে চাঁদের আবর্তনের মধ্যে পারস্পরিক মাধ্যাকর্ষণজনিত ক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পৃথিবীর আবর্তন আজকের অবস্থানে পৌঁছায়।






আরও
আরও
.