(১) অধ্যক্ষ আব্দুছ ছামাদের ইন্তেকাল : প্রবীণ আহলেহাদীছ আলেম, কুমিল্লার বুড়িচং থানাধীন কোরপাই কাকিয়ারচর ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ ও ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ও তাওহীদ ট্রাস্ট (রেজিঃ)-এর সাবেক নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুছ ছামাদ (৮৭) গত ২৬শে ডিসেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত ১-টায় কুমিল্লার বুড়িচং থানাধীন কাকিয়ারচর গ্রামে নিজ বাড়ীতে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেঊন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৫ পুত্র ও ৪ কন্যা সহ বহু নাতি-নাতনী, আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান। পরদিন ২৭শে ডিসেম্বর দুপুর ২-টায় তার বাড়ী সংলগ্ন কাকিয়ারচর পূর্বপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তাঁর জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন তাঁর সেজো জামাতা মাওলানা মুহাম্মাদ হারূণ হোসাইন। অতঃপর পারিবারিক গোরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
তার জানাযার ছালাতে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক তাসলীম সরকার, কুমিল্লা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা ছফিউল্লাহ সহ যেলা ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তি, সমাজ নেতাসহ যেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক মুছল্লী যোগদান করেন। জানাযা পূর্ব সংক্ষিপ্ত ভাষণে ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন সমবেত মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবের সালাম পৌঁছে দেন এবং তাঁর পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
(২) ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ চাঁপাই নবাবগঞ্জ সাংগঠনিক যেলার সাবেক দফতর সম্পাদক জনাব মুহাম্মাদ ফযলুল হক (৭৪) গত ২৮ ডিসেম্বর রোজ রবিবার বেলা সাড়ে ১০-টায় হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেঊন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে যান। পরদিন সকাল সাড়ে ১০-টায় যেলার গোমস্তাপুর থানাধীন নিজ গ্রাম বাঙ্গাবাড়ীতে তাঁর জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার ছালাতে ইমামতি করেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও মাসিক আত-তাহরীক-এর সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় দফতর ও যুব বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আমীনুল ইসলাম, ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় পরিচালক আব্দুল হালীম বিন ইলিয়াস, রাজশাহী মহানগরী ‘আন্দোলন’-এর সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ সিরাজুল হক, রাজশাহী মহানগরী ‘যুবসংঘে’র সাধারণ সম্পাদক নাজীদুল্লাহ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ-উত্তর সাংগঠনিক যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ, যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি আমানুল্লাহ সহ যেলা ‘আন্দোলন’ ‘যুবসংঘ’ ও ‘সোনামণি’র দায়িত্বশীলবৃন্দ। তাঁকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য যে, তার জানাযা পড়ানোর জন্য আমীরে জামা‘আতকে অছিয়ত করা ছিল। কিন্তু দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তিনি যেতে না পারায় তার পক্ষে মোটরসাইকেল যোগে কেন্দ্রীয় প্রচার ও যুববিষয়ক সম্পাদক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ রাজশাহী থেকে গিয়ে জানাযায় যোগদান করেন এবং আমীরে জামা‘আতের পক্ষে ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন ইমামতি করেন।
(৩) শঠিবাড়ীতে পেট্রোল বোমায় পোড়া গর্ভবর্তী নারীর মৃত্যু : গত ১৪ জানুয়ারী রাত ১-টা আগে-পিছে আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রহরায় ৩০টি গাড়ী রংপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে রংপুরের শঠিবাড়ীতে গভীর রাতে দুবৃত্তদের পেট্রোল বোমা হামলায় গাড়ীর ৪ জন যাত্রী সাথে সাথে মারা যায়। আহতদের মধ্যে একটি পরিবারের গর্ভবতী মা ও দুই সন্তান অগ্নিদগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিকেলে স্থানান্তরিত হন। সেখান থেকে পরে সেনা প্রহরায় ঢাকার সেনাবাহিনী হাসপাতাল সিএমএইচে নেওয়া হয়। সেখানে তিনদিন পর তিনি ৭ মাসের একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। তার একদিন পর তিনি নিজে মারা যান। অগ্নিদগ্ধ দু’টি মেয়ে এখনও সিএমএইচে চিকিৎসাধীন আছে। গত ২০শে জানুয়ারী মঙ্গলবার সকালে তার লাশ ঢাকা থেকে এ্যাম্বুলেন্সযোগে এনে গাইবান্ধায় নিজ গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। মৃতার ভাই মাইদুল ইসলাম ২১ তারিখ সকালে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব-এর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন ও দো‘আ চান। উল্লেখ্য যে, ২০০৯ সালে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পর তিনি দাওয়াত পান এবং আহলেহাদীছ হন। তাঁদের বাড়ী গাইবান্ধা যেলার সুন্দরগঞ্জ উপযেলার ১১নং হরিপুর ইউনিয়নের লাখিয়ারপাড়া গ্রামে। কুড়িগ্রাম যেলাধীন উলিপুর থানার সীমান্তে গ্রামটির অবস্থান। তিনি সকল মুমিন ভাই-বোনদের নিকট তাঁর বোনের পরকালীন মুক্তি ও অগ্নিদগ্ধ ভাগিনেয়ীদের দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য দো‘আ চেয়েছেন।
[আমরা তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।-সম্পাদক]