বুধ গ্রহে বরফের সন্ধান

পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ বুধে বিজ্ঞানীরা বরফের সন্ধান পেয়েছেন। সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে অবস্থিত বুধ গ্রহের তাপমাত্রা ৪২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৮০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। যদিও বুধ পৃথিবীর নিকটতম গ্রহের অন্যতম তথাপি অন্যান্য গ্রহের চেয়ে বুধ সম্পর্কে আমরা খুব কম জানি। ১৯৭৪-৭৫ সালে মেরিনার স্পেস ক্র্যাফট বুধ গ্রহের ভূ-পৃষ্ঠের ৪৫ শতাংশ ছবি ধারণ করেছিল। বুধের বাকি অংশ সম্পর্কে এতদিন পরিষ্কার ধারণা ছিল না। ১৯৯১ সালে মহাকাশ বিজ্ঞানী দুয়ানে মুহলেম্যান এবং ব্রায়ান বাটলার জেট প্রোপালসন ল্যাবরেটরীতে উদ্ভাবিত ডিশ এন্টেনা গোল্ড স্টোনের মাধ্যমে বুধের যে চিত্র পেয়েছেন, তাতে বুধের মেরু অঞ্চলের বরফ ও পানির সন্ধান পেয়েছেন বলে দাবী করেছেন। রাডার চিত্রে দেখা গেছে, বুধের উত্তর মেরুতে বরফ আছে যা দেখতে অনেকটা মঙ্গল ও বৃহস্পতির বরফের মত। বিজ্ঞানীরা এখন বিশ্বাস করেন যে, বুধের উত্তর মেরুতে সূর্যের আলোকে ঢেকে দিচ্ছে বরফের স্তর। সেখানকার তাপমাত্রা-২৩৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১২৫ ডিগ্রি কেলডিন।

আসছে ভূমিকম্প ওয়ালপেপার

ভূমিকম্পের কারণে প্রতি বছর বহু মানুষের প্রাণ যায়। ভেঙে পড়ে ঘরবাড়ি। তবে জার্মান বিজ্ঞানীরা এবার এমন এক ওয়ালপেপার আবিষ্কার করেছেন, যেটা বাড়ির দেয়াল ভেঙ্গে পড়া প্রতিহত করতে পারে। এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘ইন্টেলিজেন্ট কম্পোজিট সিসমিক ওয়ালপেপার’। গ্লাস ফাইবার দিয়ে তৈরি এই পেপার কোন বাড়ির দেয়ালে লাগালে সেটা ভূমিকম্পের সময় সহজে ভেঙ্গে পড়বে না। আর পড়লেও ওয়ালপেপারের ভেতরে থাকা বিশেষ প্লাষ্টিকের কারণে ইটের টুকরোগুলো সহসাই মানুষের মাথার ওপর পড়বে না। কেননা ঐ প্লাষ্টিক সেগুলোকে কিছু সময়ের জন্য আটকে রাখতে পারবে। আর ততক্ষণে ঘরের ভেতরে থাকা মানুষগুলো বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে। জার্মানির কার্লসরুয়ে ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধীনে থাকা ইনস্টিটিউট অব সলিড কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন মেটেরিয়াল টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা এই ওয়ালপেপার আবিষ্কার করেছেন।

ক্যান্সার চিকিৎসায় কার্যকর উপাদান আবিষ্কার

ক্যান্সার চিকিৎসায় গবেষকরা এমন একটি উপাদানের সন্ধান পেয়েছেন যা দিয়ে সুস্থ দেহকোষের ক্ষতির আশংকা না করেও আরো কার্যকরভাবে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা যাবে। তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয় ও সেবা মেডিকেল সেন্টারের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে এ গবেষণা পরিচালনা করেছেন। গবেষকরা তাদের গবেষণায় যে উপাদান চিহ্নিত করেছেন তা এক দশক আগে স্নায়ুকোষকে স্ট্রোকের পর রক্ষায় বের করা একটি ওষুধ থেকে নেয়া। গবেষণায় দেখা গেছে, উপাদানটি সুস্থ ও ক্যান্সার আক্রান্ত কোষের নতুন কোষ তৈরির প্রক্রিয়া প্রাথমিকভাবে বাধাগ্রস্ত করে। উপাদানটির কারণে ক্যান্সার কোষগুলো দ্রুত মারা গেলেও সুস্থ কোষগুলো এক ঘণ্টার মধ্যেই উপাদানটির প্রভাব কাটিয়ে উঠে আবার নতুন করে কোষ উৎপাদন শুরু করে।







আরও
আরও
.