এমন সুন্দর সৃষ্টি যাঁর তাঁর পরিচয় শোন

তাঁর সৃষ্টির নৈপুণ্যের মাঝে ত্রুটি নেই কোন।

ঐ যে দূরে নীলাভ আকাশ দাঁড়িয়ে স্তম্ভ ছাড়া

তাতে খচিত চন্দ্র-সূর্য অসংখ্য গ্রহ-তারা।

অবনি মাঝে হেথায় হেথায় গগণ ছোঁয়া পাহাড়

তাত্থেকে কোথাও সুদৃশ্য ঝর্ণা প্রবাহিত হয় আবার।

হরেক রকম বৃক্ষে ধরে নানান সাধের ফল

খাইলে পরে দেহের মাঝে বাড়ে শক্তি-বল।

পাখ-পাখালীর কণ্ঠে শুনি মিষ্টি-মধুর গান

তাদের কলরবে খুশীর দোলায় ভরে যায় প্রাণ।

গুলশানে ফোঁটে সুরভিত রঙ্গীন ফুল

গুণগুণ গানে মধু আহরণে যায় ছুটে অলিকুল।

কার ইঙ্গিতে তৈরী এমন বিশাল অথৈয় পাথার

জলজ প্রাণী সহ তাতে রয়েছে বিবিধ আহার।

নিপুণ হাতে রিযিক বানায় কোন সে কারিগর?

জোয়ার-ভাটা দিবস-যামী কার এই চরাচর?

সমস্ত সৃষ্টির মালিক যিনি তিনিই আল্লাহ তা‘আলা

হায়াত-মওত সবই তাঁর যায় কি তাকে ভোলা?

তিনি কাউকে জন্ম দেননি জন্মদাতা নেই তাঁর

অংশীদার স্থাপন করিও না ইবাদতে তাঁর।

ধরার বুকে সৃষ্টি বিষয়ে ভাবো যদি ভাই

তবেই তাঁকে যথার্থ চিনবে সন্দেহ এতে নেই।






আরও
আরও
.