কুমারপাড়া, সিলেট ৭ই ফেব্রুয়ারী শুক্রবার : অদ্য সিলেট শহরের কুমারপাড়ায় অবস্থিত আত-তাক্বওয়া মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারে বাদ জুম‘আ অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি বলেন, শ্রেষ্ঠ বিধান হ’ল অহি-র বিধান তথা পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের বিধান। তাই সকল বিধান বাতিল করে জীবনের সর্বক্ষেত্রে অহি-র বিধান কায়েম করতে হবে। ইহূদী-নাছারারা তাদের ধর্মের বিধানকে টুকরো টুকরো করেছে। তাদেরই চালান করা মতবাদ সমূহের খপ্পরে পড়ে মুসলমানদের হাতেই ১৯২৪ সালের ৩রা মার্চ ওছমানীয় খিলাফত বিলুপ্ত হয়েছে। তিনি বলেন, মুসলমান আজ আল্লাহর সামনে মাথা নত করা বাদ দিয়ে কবর-মাযার ও ছবি-মূর্তির সামনে মাথা নত করছে। পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের দাওয়াত ব্যাপকভাবে প্রচারিত হ’লে এগুলি দ্রুত শেষ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। এজন্য জামা‘আতবদ্ধভাবে দাওয়াতী কার্যক্রম চালাতে হবে। তিনি বলেন, চরমপন্থীরা খারেজী আক্বীদার অনুসারী। তারাই হযরত আলী (রাঃ)-কে হত্যা করেছিল। তাই যাবতীয় চরমপন্থা হ’তে সবাইকে দূরে থাকতে হবে।   

লন্ডন প্রবাসী জনাব আব্দুল মুন‘ইমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য কাযী হারূণুর রশীদ (ঢাকা), কুমিল্লা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা ছফিউল্লাহ, ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর উপদেষ্টা তাসলীম সরকার। এছাড়া সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিলেট যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা ফায়যুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাবীর, দফতর সম্পাদক রূহুল ইসলাম, সিলেট যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি আব্দুর রায্যাক, প্রশিক্ষণ সম্পাদক তুফায়েল আহমাদ, মৌলভীবাজার যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ ছাদিকুন নূর, সাধারণ সম্পাদক আবু মুহাম্মাদ সোহেল, ‘যুবসংস’-এর সভাপতি আব্দুল্লাহ সুমন, সহ-সভাপতি আব্দুল হাসীব, প্রচার সম্পাদক আব্দুশ শাকূর, সুনামগঞ্জ যেলার তাহেরপুর উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ হানীফ, সহ-সভাপতি নযরুল ইসলাম সহ সিলেট, মৌলভীবাজার, ঢাকা ও কুমিল্লা যেলা ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘ’-এর বিভিন্ন স্তরের কর্মী ও সুধীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন সিলেট এডুকেশন সেন্টার-এর কো-অর্ডিনেটর ও যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাবেক সভাপতি আব্দুছ ছবূর চৌধুরী।

জুম‘আর খুৎবা : সমাবেশের পূর্বে আমীরে জামা‘আত উক্ত মসজিদে জুম‘আর খুৎবা প্রদান করেন। খুৎবায় তিনি বলেন, প্রথম দিন থেকেই মানুষ পূর্ণ চেতনা ও জ্ঞান সম্পন্ন সভ্য মানুষ হিসাবেই যাত্রা শুরু করেছে এবং আজও সেভাবেই তা অব্যাহত রয়েছে। সে কখনোই বানর বা বানরজাতীয় পশুর উত্তরসূরী নয়।

তিনি বলেন, আদমকে জান্নাত থেকে নামিয়ে দেওয়ার সময় আল্লাহ তাদেরকে বলেন, ‘যখন আমার নিকট থেকে তোমাদের কাছে কোন হেদায়াত পৌঁছবে, তখন যারা আমার হেদায়াতের অনুসরণ করবে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তান্বিত হবে না’ (বাক্বারাহ ২/৩৮)। অতএব মানব জাতিকে অবশ্যই আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ হেদায়াত পবিত্র কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ মেনে জীবন যাপন করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) আমাদেরকে উক্ত মর্মে ৫টি নির্দেশ দিয়ে গেছেন। তথা জামা‘আতবদ্ধ জীবন যাপন, আমীরের আদেশ শ্রবণ করা ও মান্য করা, প্রয়োজনে দ্বীনের স্বার্থে হিজরত করা ও আল্লাহর পথে হিজরত করা (আহমাদ, তিরমিযী, ছহীহুল জামে‘ হা/১৭২৪)। আমাদের এ পথেই দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ কামনা করতে হবে। 

উল্লেখ্য যে, এদিন বাদ মাগরিব তিনি শহরের উম্মুল ক্বোরা মাদ্রাসা ও কিউসেট ইন্সটিটিউট পরিদর্শন করেন।







আরও
আরও
.