সাতক্ষীরা ২৬শে নভেম্বর মঙ্গলবার :
অদ্য বাদ আছর যেলা শহরের আব্দুর রাযযাক পার্কে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন
বাংলাদেশ’ সাতক্ষীরা যেলার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির
ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি তাঁর ভাষণে বলেন, শুধু দুনিয়াবী স্বার্থ দিয়ে
মানুষকে সুখী করা যায় না। তাকে পরকালমুখী করতে পারলে ও তাকদীরে বিশ্বাসী
করতে পারলেই কেবল সুখী করা যায়। তিনি বলেন, মানুষ আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি।
তার আদি ঠিকানা জান্নাত। দুনিয়াবী পরীক্ষার জীবন শেষে আবার তাকে আল্লাহর
নিকটেই ফিরে যেতে হবে। সেখানে জান্নাত পেতে হ’লে তাকে দুনিয়াবী জীবনে
পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের অনুসরণ করতে হবে। শিরক ও বিদ‘আত করে জান্নাতে
যাওয়া যাবে না। পাশাপাশি মানুষকে হকের দাওয়াত দিতে হবে। তিনি বলেন, আমরা
শুধু দাওয়াত দিয়েই বসে থাকিনি। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সঠিক পথে ফিরিয়ে
আনতে আমরা ‘যুবসংঘ’, ‘আন্দোলন’, ‘মহিলা সংস্থা’, ‘সোনামণি’ ও আল-‘আওন’ গঠন
করেছি। তিনি আরো বলেন, এদেশে কেউ জীবিত মানুষের পূজা করছে, কেউ মৃত মানুষের
পূজা করছে। অথচ ইবাদত হতে হবে স্রেফ আল্লাহর উদ্দেশ্যে। আর আনুগত্য করতে
হবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর, কোন মৃত ওলী-আওলিয়ার নয়। তিনি বলেন, মাদরাসা
শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে যাবতীয় শিরকী ও বিদ‘আতী সিলেবাস পরিবর্তন করতে হবে। এ
ব্যাপারে আলেমদেরকে যথাযোগ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। তারা মুখ বন্ধ করে
থাকলে তাদেরকে আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করতে হবে। তিনি বলেন, পরকালে মুক্তি
পেতে হ’লে যাবতীয় মাযহাবী গোঁড়ামী পরিহার করে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের
আলোকে জীবন গঠন করতে হবে।
যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন, যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুয্যামান ফারূক, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা মহিদুল ইসলাম, যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি মুজাহিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান প্রমুখ। সম্মেলনে সঞ্চালক ছিলেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি মাওলানা ফযলুর রহমান। এছাড়াও সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর নযরুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক গোলাম মুক্তাদিরসহ বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীলবৃন্দ।
আল-‘আওন : সম্মেলন স্থলের পাশে স্বেচ্ছাসেবী নিরাপদ রক্তদান সংস্থা আল-‘আওন-এর ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩৫ জনের ব্লাড গ্রুপিং করা হয় এবং ৬৫ জন ডোনর তালিকাভুক্ত হন।