বিমান ভাড়ার একটা বড়
অংশই তেল খরচ। বিমানের জ্বালানী হিসাবে ব্যবহৃত তেলের দাম অনেকটাই বেশী।
যার সরাসরি প্রভাব পড়ে ভাড়ায়। বাড়তি ভাড়া যাত্রীদের পাশাপাশি বিমান
সংস্থাকেও সমস্যায় ফেলে। এ থেকে পরিত্রাণের চেষ্টা চলছে বহুদিন ধরেই। নানা
রকম পরীক্ষাও চলছে। তারই অংশ হিসাবে আংশিক জৈব জ্বালানী ও সাধারণ জ্বালানীর
সাহায্যে উড়ল বিমান। ভারতের উত্তরাখন্ডের রাজধানী দেরাদূনের জলি গ্র্যান্ট
বিমানবন্দর থেকে উড়ে দিল্লী পৌঁছে বিমানটি। স্পাইসজেটের এই বিমান সফলভাবে
অবতরণ করার পর অনেকেই আশা করছেন আগামী দিনগুলোতে জৈব জ্বালানী ব্যবহারের পথ
আরও সুগম হবে। ৭২ আসনের এই বিমানের ডান দিকের ইঞ্জিনে জৈবজ্বালানি প্রয়োগ
করা হয়েছিল। কৃষি কাজে ব্যবহার হয় এমন কিছু জিনিসের সঙ্গে আরও কয়েকটি
সামগ্রীর সংমিশ্রণে তৈরি হয় এই তেল। বিমানের জন্য এই জৈব জ্বালানী
প্রস্ত্তত করেছিল দেরাদূনের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব পেট্রোলিয়াম। কয়েকটি
রাজ্যের প্রায় পাঁচশো পরিবার বিমান তৈরির এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
যাত্রার সূচনা করেন উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। ২৫
মিনিটে দিল্লী বিমান বন্দরে অবতরণ করে বিমানটি। সে সময় সেখানে উপস্থিত
ছিলেন নীতীন গডকরি, ধর্মেন্দ্র প্রধান, হর্ষ বর্ধন এবং জয়ন্ত সিনহার মতো
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।